মশার লার্ভার ঘনত্ব পরিমাপ ও ম্যাপিং কার্যক্রম শুরু আজ

আগের সংবাদ

ভূ-রাজনীতির নতুন ক্ষেত্র ‘ব্রিকস’ : যুক্তরাষ্ট্রের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে বাংলাদেশ, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে নতুন মাত্রা

পরের সংবাদ

রাসিক নির্বাচন : প্রচারণায় উত্তাপ থাকলেও শঙ্কা নেই

প্রকাশিত: জুন ১৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

আমানুল্লাহ আমান, রাজশাহী থেকে : রাজশাহী সিটি করপোরেশনে (রাসিক) চলছে শেষ মুহূর্তের নির্বাচনী প্রচারণা। নির্বাচন ঘিরে কাউন্সিলর প্রার্থীদের নিয়ে বেড়েই চলেছে উত্তাপ। পরিস্থিতি সামাল দিতে ভোটের আগেই কয়েকটি ওয়ার্ডে মোতায়েন করতে হয় অতিরিক্ত পুলিশ। যদিও মেয়র পদ নিয়ে উত্তেজনার কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে যে কোনো সহিংসতা ঠেকাতে ভোটের মাঠে থাকবেন ছাত্রলীগের তিন হাজার নেতাকর্মী। গতকাল রবিবার সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির ৩৭ সদস্যের একটি টিম রাজশাহীতে এসেছে। এ টিমের অধীনে পরিচালনা হবে রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের ৩৭টি ইউনিট।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনী প্রচারণার শুরু থেকেই মাঠ দখলে নিতে শক্তিমত্তা প্রকাশ শুরু করেন কাউন্সিলর প্রার্থীরা। স¤প্রতি ৩, ৭, ১৪, ১৯, ২১, ২৩ ও ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থীর সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। সবশেষ গত শনিবার সন্ধ্যায় ৭ নম্বর ওয়ার্ডের চন্ডিপুর এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে কয়েকজন নারী আহত হন। ভোটের দিন এ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী মতিউর রহমান মতি এবং জহিরুল ইসলাম রুবেলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের প্রবল আশঙ্কা রয়েছে। সূত্র জানায়, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে তৌহিদুল হক সুমন ও আশরাফ বাবুর সমর্থকদের মধ্যে হতে পারে সংঘর্ষ। জয় পেতে ২১ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী নিজাম উল আজিম এবং গোলাম ফারুকের সমর্থকরা যেতে পারেন হার্ডলাইনে। এছাড়া ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী অধ্যাপক আব্দুস সামাদ ও মো. আলাউদ্দিন রয়েছেন মুখোমুখি অবস্থানে। তাদের সমর্থকরা ঘটাতে পারেন যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা।
তবে মেয়র পদ ঘিরে নেই কোনো উত্তেজনা। আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের জয়ের বিষয়টি প্রায় নিশ্চিত হওয়ায় চিন্তিত নন ক্ষমতাসীন দলের নেতারা। প্রার্থীও প্রচারণায় পার করছেন ব্যস্ত সময়। গতকাল রবিবার বিকালে সহস্রাধিক নেতাকর্মী নিয়ে তালাইমারি, কাজলা চার রাস্তার মোড়, কেডিক্লাব-ধরমপুর মোড় ও কালীতলা এলাকায় পথসভা করেন খায়রুজ্জামান লিটন। এ সময় ভোটারদের কাছে নৌকায় ভোট প্রার্থনা করেন তিনি। অবশ্য নৌকার জয় নিশ্চিতে যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মাঠে থাকার ঘোষণা দিয়েছে ছাত্রলীগ।
সূত্র জানিয়েছে, রাসিকের ৩০টি ওয়ার্ডে ৩৭টি সাংগঠনিক ইউনিট রয়েছে ছাত্রলীগের। এবারের রাসিক নির্বাচন উপলক্ষে ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানকে প্রধান সমন্বয়ক করে কেন্দ্রীয় কমিটির আরো ৩৭ সদস্য নিয়ে একটি কমিটি করা হয় সংগঠনটির। ৩৭ সদস্য গতকাল রবিবার রাজশাহী পৌঁছে নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু করেছেন। ৩৭ জন কেন্দ্রীয় নেতা ৩৭টি ইউনিট পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন।
আগেরদিন শনিবার ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যসহ আরেকটি টিম রাসিকে এসে ঘুরে যান। ভোটের দিন ৩০টি ওয়ার্ডে অন্তত ৩ হাজার ছাত্রলীগ নেতাকর্মী মাঠে থাকবেন। এ বিষয়ে রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি নুর মোহাম্মদ সিয়াম ভোরের কাগজকে বলেন, নৌকার জয়ের লক্ষ্যে কাউকে বিন্দুমাত্র ছাড় দেবে না ছাত্রলীগ। আমাদের নেতাকর্মীরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মেয়র পদের ভোট কেন্দ্রিক সহিংসতার চেষ্টা হলে, অবশ্যই ছাত্রলীগ তা প্রতিহত করবে। তবে রাজশাহীতে নৌকার যে গণজোয়ার; কেউ সহিংসতার চেষ্টা করলে, তাদের প্রতিহত করতে জনগণই যথেষ্ট।’
এ ব্যাপারে ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান ভোরের কাগজকে বলেন, ‘আমাদের কেন্দ্রীয় টিম পাঠানোর উদ্দেশ্য হচ্ছে, শেষ মুহূর্তে কোথাও কোনো গ্যাপ বা অবশিষ্ট কিছু রয়েছে কিনা- তা পর্যবেক্ষণ করা এবং কোথাও কোনো ত্রæটি থাকলে তা সংশোধন করে নৌকার বিজয়ের পথকে সুগম করা। এছাড়া ছাত্রলীগের ওয়ার্কিং ফোর্সের সর্বোচ্চ ব্যবহার করে নৌকার বিজয়ের সুরকে তরঙ্গায়িত করা।’
জানতে চাইলে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপস) বিজয় বসাক ভোরের কাগজকে বলেন, ‘রাসিক নির্বাচনে সাড়ে ৩ হাজার ইউনিফর্ম পরিহিত পুলিশ মাঠে থাকবে। নির্বাচন ঘিরে আমরা তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা হাতে নিয়েছি। গত নির্বাচনগুলোতে যেসব ওয়ার্ডে ঝামেলা হয়েছিল, সেসব এলাকায় থাকবে বিশেষ নজরদারি।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়