মশার লার্ভার ঘনত্ব পরিমাপ ও ম্যাপিং কার্যক্রম শুরু আজ

আগের সংবাদ

ভূ-রাজনীতির নতুন ক্ষেত্র ‘ব্রিকস’ : যুক্তরাষ্ট্রের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে বাংলাদেশ, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে নতুন মাত্রা

পরের সংবাদ

মুদ্রানীতি সংকোচনমূলক বলছে ডিসিসিআই

প্রকাশিত: জুন ১৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথমার্ধের (জুলাই-ডিসেম্বর) জন্য ঘোষিত মুদ্রানীতিকে সংকোচনমূলক নীতি বলে মনে করছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)।
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় গতকাল রবিবার এক বিবৃতিতে সংগঠনটির সভাপতি ব্যারিস্টার মো. সামীর সাত্তার বলেন, ঘোষিত মুদ্রানীতিতে ঋণের সুদের হারের সীমা ৯ শতাংশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ ব্যবস্থার ফলে ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণের সুদের হার ডাবল ডিজিটে উন্নীত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যেটি বর্তমান বৈশ্বিক অস্থির অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে ব্যবসায়ীদের ব্যবসা পরিচালনায় বেশ প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবে। পাশাপাশি এ ধরনের উদ্যোগ বিশেষ করে কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের ব্যবসা পরিচালন ব্যয় বাড়াবে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে মুদ্রানীতিতে বিদ্যমান অর্থনৈতিক চাহিদা, আমদানি কার্যক্রমে নজরদারি অব্যাহত রাখা এবং স্থিতিশীল বাণিজ্য পরিবেশ নিশ্চিতকরণ- এসব বিষয়ে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে।
সংগঠনটি বলছে, রেপো ও রিভার্স রেপোর হার যথাক্রমে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ ও ৪ দশমিক ৫ শতাংশে বাড়ানোর মাধ্যমে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে, যদিও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রেপো ও রিভার্স রিপো রেটের কার্যকারিতা নিয়ে আমরা এখনো নিশ্চিত নই। কারণ, ইতোপূর্বেও এ ধরনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল, যা থেকে কাক্সিক্ষত সফলতা পাওয়া যায়নি। ঢাকা চেম্বারের সভাপতি মনে করেন, সরকারি খাতে বেশি মাত্রায় ঋণ নেয়া বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহকে সংকুচিত করবে। সরকারি খাতের ঋণ প্রবাহ হ্রাসের জন্য সরকারি ব্যয় কৃচ্ছসাধন, সুশাসন, স্বচ্ছতা ও দক্ষতা আনয়ন এবং অগ্রাধিকারমূলক উন্নয়ন প্রকল্প নিতে হবে। তিনি আরো বলেন, ব্যাংক খাত থেকে সরকারের ঋণ নেয়ার প্রবণতা কমিয়ে আনতে কর আহরণের মাত্রা বাড়ানোর ওপর আরো বেশি হারে জোরারোপ করা উচিত, এতে করে ব্যাংক খাতের ওপর সরকারের নির্ভরতা অনেকাংশে হ্রাস পাবে।
বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় হারে স্থিতিশীলতা আনয়নে সামীর সাত্তার মনে করেন, সমন্বিত মুদ্রা বিনিময় হার দেশের মুদ্রাবাজারকে স্থিতিশীল করবে। যদিও এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের কঠোর নজরদারি নিশ্চিত করতে হবে। ইআরকিউ এনকেশমেন্ট লিমিট ৫০ শতাংশ হ্রাস এবং ইডিএফ সুদ হার ৪ দশমিক ৫ শতাংশ করা একটি সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত। যার মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব হবে বলে আশা করা যায়। দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ানোর জন্য হুন্ডির মতো অবৈধ চ্যানেলের মাধ্যমে রেমিট্যান্স আসার প্রবণতা রোধকল্পে বাংলাদেশ ব্যাংককে আরো কঠোর হতে হবে। খেলাপি ঋণ নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে যথাযথ উদ্যোগ নেয়ার ওপর জোর দেন তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়