জিএম কাদের : স্বাধীনতার ৫০ বছরেও দেশে সাংবাদিকতা অনিরাপদ

আগের সংবাদ

রাজশাহীতে লিটনকে টেক্কা দেয়ার মতো প্রতিদ্ব›দ্বী নেই

পরের সংবাদ

প্রতিহিংসা-ক্ষোভ থেকে হত্যার পরিকল্পনা

প্রকাশিত: জুন ১৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : খবর প্রকাশ ও মামলা খারিজ হওয়ার পর ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ায় সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিমকে শায়েস্তা করার পরিকল্পনা করেন ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম ওরফে বাবু। এরই ধারাবাহিকতায় হামলার দিন নিজস্ব সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে ঘটনাস্থলের কাছে থেকেই সাংবাদিককে বেদম প্রহার করান ওই চেয়ারম্যান। একপর্যায়ে অসুস্থ হয়ে মারা যান নাদিম। মূলত ব্যক্তিগত প্রতিহিংসা ও ক্ষোভ থেকে শায়েস্তা করার পরিকল্পনা থেকে সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে প্রহার করে তাকে হত্যা করা হয়।
বহুল আলোচিত জামালপুরে সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিমকে নৃশংসভাবে হত্যাকাণ্ডের ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে গতকাল শনিবার এসব তথ্য জানান র‌্যাব মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। এর আগে গতকাল সকালেই পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ ও বগুড়া থেকে বাবু ছাড়াও মো. মনিরুজ্জামান মনির ওরফে মনিরুল (৩৫), জাকিরুল ইসলাম (৩১) ও মো. রেজাউল করিমকে (২৬) গ্রেপ্তার করা হয়।
র‌্যাব লিগ্যাল এন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বাবুর অপকর্ম নিয়ে অনলাইন পোর্টালে কয়েকটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেন সাংবাদিক নাদিম। এর পর থেকেই বাবু ক্ষিপ্ত হয়ে নাদিমকে বিভিন্নভাবে হুমকিসহ তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। পরে ময়মনসিংহের সাইবার ট্রাইব্যুনাল মামলাটি খারিজ করে দেন। মামলা খারিজের বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগী নাদিম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেয়ায় বাবু আরো ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে শায়েস্তা করার পরিকল্পনা করেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৪ জুন রাত আনুমানিক ১০টার দিকে নাদিম বাড়ি ফেরার পথে বকশীগঞ্জ বাজারের পাটহাটি এলাকায় বাবু তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে ওত পেতে থাকেন। একপর্যায়ে সহকর্মীসহ মোটরসাইকেল করে নাদিম ঘটনাস্থলে পৌঁছলে বাবুর সন্ত্রাসীরা তাকে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। পরে পেছন থেকে দৌড় দিয়ে বাবুর আরো কয়েকজন লোক এসে তাকে মারতে মারতে পাশের একটি অন্ধকার গলিতে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যায় ও এলোপাতাড়ি আঘাত করতে থাকে। এ সময় প্রধান অভিযুক্ত বাবু ঘটনাস্থলের কাছ থেকেই পুরো ঘটনার নেতৃত্ব দেন। নাদিমের সহকর্মী তাকে বাঁচাতে গেলে বাবুর সন্ত্রাসীরা তাকেও মারধর করে। একপর্যায়ে নাদিমের চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে বাবু ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরের দিন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নাদিম মারা যান।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়