জিএম কাদের : স্বাধীনতার ৫০ বছরেও দেশে সাংবাদিকতা অনিরাপদ

আগের সংবাদ

রাজশাহীতে লিটনকে টেক্কা দেয়ার মতো প্রতিদ্ব›দ্বী নেই

পরের সংবাদ

টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে তৃতীয় বৃহত্তম জয় : আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে রেকর্ড জয় টাইগারদের

প্রকাশিত: জুন ১৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : আফগানদের বিপক্ষে সাদা পোশাকের প্রথম দেখাতেই হেরেছিল হয়েছিল টাইগাররা। ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত সেই ম্যাচে বাংলাদেশকে তারা বড় ব্যবধানে হারিয়েছিল। সেই আফগানিস্তানের বিপক্ষেই গতকাল লিটন বাহিনী ৫৪৬ রানের বড় ব্যবধানে জিতে ইতিহাস গড়েছে। আফগানদের বিপক্ষে টেস্টের দুই ইনিংসে ১৪৬ ও ১২৪ রানের নান্দনিক ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা নির্বাচিত হয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ম্যাচে ২৭০ রান করে তামিম ইকবালকে পেছনে ফেলেন শান্ত। টেস্টে এক ম্যাচে বাংলাদেশের পক্ষে তামিমের রান ২৩১। এই তালিকায় ২৮১ রান নিয়ে সবার উপরে মুমিনুল হক। ঢাকা টেস্টের তৃতীয় দিনে আফগানিস্তানকে ৬৬২ রানের লক্ষ্য দিয়ে গতকাল চতুর্থ দিনে ১১৫ রানে গুঁড়িয়ে লিটন বাহিনী ম্যাচ জিতেছে ৫৪৬ রানের বিশাল ব্যবধানে। যা নিজেদের ২৩ বছরের টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জয়। আর টেস্ট ক্রিকেটের ১৪৬ বছরের ইতিহাসে তৃতীয় বৃহত্তম জয়। ১৯২৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার মাঠেই ইংলিশরা ৬৭৫ রানে জয় পেয়েছিল। এরপর ১৯৩৪ সালে সেই অস্ট্রেলিয়াই ইংল্যান্ডের মাঠে গিয়ে স্বাগতিকদের ৫৬২ রানে হারায়। তবে সে সময় টেস্ট ম্যাচ গড়াত তিন-চার-পাঁচ কিংবা সীমাহীন দিনে। ১৯৫০ সালের পর পাঁচ দিনের টেস্ট ম্যাচের সূচি নির্ধারিত হয়। সেই হিসেবে আধুনিক ক্রিকেটে পাওয়া সবচেয়ে বড় জয়টি টাইগারদের দখলে। চলতি শতাব্দীতেও এটি সবচেয়ে বড়। আফগানিস্তানের বিপক্ষে এই টেস্টে নাজমুল হোসেন শান্ত এবং মুমিনুল হকের জোড়া সেঞ্চুরিতে ৬৬২ রানের বিশাল লক্ষ্য দেয় স্বাগতিকরা। সেই রান তাড়ায় সফরকারীরা মাত্র ১১৫ রানেই থেমে যায়। শুধু রানের ব্যবধানেই নয়, বাংলাদেশের স্মরণীয় জয়ের ম্যাচে টাইগাররা রেকর্ডবইয়ে পৃথক একাধিক ক্ষেত্রে নাম তুলেছে। দুই ইনিংস মিলিয়ে মাত্র ৪৩২ বল খেলতে পেরেছে সফরকারীরা। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে যেটি রেকর্ড। এর আগে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা ২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে সর্বনি¤œ ৫৭৬ বলের মধ্যে দুবার অলআউট করেছিল। মিরপুরের সে ম্যাচটি তারা জিতেছিল ইনিংস ও ১৮৪ রানে। সবমিলিয়ে প্রতিপক্ষকে সবচেয়ে কম বলের মধ্যে দুবার অলআউট করে দেয়ার রেকর্ডটি ইংল্যান্ডের। ১৮৯৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে দুবার অলআউট করতে তাদের লেগেছিল মাত্র ২৪৮ বল।
আফগানদের বিপক্ষে টাইগারদের এই অনন্য রেকর্ড জয়ের পেছনে বড় অবদান দলের পেসারদের। আফগানিস্তানের বিপক্ষে রেকর্ড জয়ের টেস্টে ১৪ উইকেট নিয়েছেন বাংলাদেশের তিন পেসার তাসকিন-এবাদত ও শরিফুল। যা কোনো টেস্টে বাংলাদেশ পেসারদের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারের রেকর্ড। আগেরটি ছিল ২০২২ সালে মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১৩ উইকেট নিয়েছিল টাইগার পেসাররা। আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে শরিফুল-এবাদত ৫টি করে এবং তাসকিন ৪ উইকেট নেন। ব্যাটার-বোলারদের দুর্দান্ত নৈপুণ্যে ঢাকা টেস্টে ইতিহাস গড়া জয় পেয়েছে স্বাগতিকরা। টাইগারদের এত বড় অর্জনে ব্যাট হাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। প্রথম ইনিংসে ১৪৬ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ১২৪ রান করে তিনি জিতেছেন ম্যাচসেরার পুরস্কার। এছাড়া সেঞ্চুরি করেছেন মুমিনুল হক। ফিফটি তুলে নিয়েছেন জাকির হাসান, মাহমুদুল হাসান জয় ও লিটন দাস। দুই ইনিংসে নাজমুল হাসান শান্ত করেছেন ২৭০ রান। আফগানিস্তান প্রথম ইনিংসে ১৪৬ এবং দ্বিতীয় ইনিংসে করেছে ১১৫ রান। দুই ইনিংস মিলিয়ে ২৬১ রান। আফগানিস্তানের ব্যাটাররা দুবার ব্যাট করার সুযোগ পেয়েও টেক্কা দিতে পারেনি শান্তকে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়