পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় : সবাই সার্বভৌমত্বকে সম্মান দেখাবে- এই প্রত্যাশা বাংলাদেশের

আগের সংবাদ

মেয়র প্রার্থীদের প্রতিশ্রæতির ফুলঝুরি : ‘পরিকল্পিত সিলেটে’ প্রাধান্য

পরের সংবাদ

ফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার প্রতিপক্ষ স্পেন

প্রকাশিত: জুন ১৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : উয়েফা নেশন্স লিগের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে গতকাল রাতে ইতালিকে ২-১ গোলে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে স্পেন। এর আগে প্রথম সেমিফাইনালে নেদারল্যান্ডসকে ৪-২ গোলে উড়িয়ে ফাইানাল নিশ্চিত করেছিল ক্রোয়েশিয়া। আগামী ১৯ জুন শিরোপা ঘরে তোলার লড়াইয়ে ফাইনালে মুখোমুখি হবে এই দুই দল।
এ নিয়ে টানা দ্বিতীয়বার নেশন্স লিগের ফাইনালে উঠল স্পেন। ২০২১ সালে এই ইতালিকেই ২-১ গোলে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছিল তারা। তবে ফ্রান্সের কাছে হেরে শিরোপা ছোঁয়া হয়নি তাদের। দারুণ পারফরম্যান্সে ম্যাচসেরা হন রদ্রি। ম্যাচের শুরুতে স্পেন এগিয়ে গেলেও প্রথমার্ধেই সমতায় ফেরে ইতালি। তবে শেষ বাঁশি বাজার মাত্র দুই মিনিট আগে জোসেলুর গোলে ২-১ ব্যবধানে জয় নিশ্চিত হয় দে লা ফুয়েন্তের শিষ্যদের। ম্যাচ শেষে জয়ের নায়ক জোসেলু বলেন, ‘সবকিছুর জন্য আমি খুব খুশি। কোচ এবং এই দলটি জয়ের দাবিদার। আমরা বেশ আবেগ দিয়ে ম্যাচটি খেলেছি। দল ফাইনালে যাওয়ায় আমরা খুবই আনন্দিত এবং গর্ববোধ করছি। এটি ছিল কঠিন এবং সুন্দর একটি জয়। এভাবেই আমাদের চূড়ান্ত সাফল্যের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।’
এ দিন ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণ করে খেলতে থাকে দুই দল। তবে প্রথম গোলের দেখা পায় স্পেন। ম্যাচের ৩ মিনিটের মাথায় গোল করে দলকে এগিয়ে দেন ইয়েরেমি পিনো। ইতালির সবচেয়ে অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার ও অধিনায়ক লিওনার্দো বোনুচ্চি গোলরক্ষকের পাস নিয়ন্ত্রণে নিতে একটু বেশি দেরি করার সুযোগ পেয়ে যান পিনো। ছুটে গিয়ে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বক্সে ঢুকে নিখুঁত কোনাকুনি শটে বল জালে জড়ান তিনি। তবে ম্যাচে ফিরতে বেশি সময় নেয়নি মানচিনির শিষ্যরা। ম্যাচের ১১ মিনিটে সফল স্পট কিক থেকে দলকে সমতায় ফেরান সিরো ইমোবিল। ডি বক্সে স্প্যানিশ ডিফেন্ডার লি নমোর হাতে বল লাগলে পেনাল্টি পায় ইতালি। এরপর ম্যাচের ২১ মিনিটে ডেভিড ফ্রাত্তেসি জালে পাঠালে এগিয়ে যাওয়ার উল্লাসে ফেটে পড়ে ইতালিয়ান সমর্থকরা। তবে ভিএআরের সাহায্যে অফসাইডের গোলটি বাতিল করেন রেফারি। প্রথমার্ধে বল দখলের পাশাপাশি আক্রমণেও আধিপত্য দেখানো স্পেন ১-১ গোলের ড্র নিয়ে বিরতিতে যায়।
বিরতি থেকে ফিরে ম্যাচের ৪৮ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায় স্পেন। তবে মিকেল মোরিনোর ভলি কোনোমতে এক হাত দিয়ে ঠেকিয়ে দেন ইতালির গোলরক্ষক জিনলুইজি ডোন্নারুম্মা। তবে নির্ধারিত সময়ের ২ মিনিট আগে জালকে অক্ষত রাখতে পারেননি তিনি। ম্যাচের ৮৮ মিনিটে স্পেনের আক্রমণ ঠিকমতো ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হয় ইতালি। ফিরতি বল ডি বক্সের বাইরে পেয়ে জোরাল শট নেন রদ্রি। বল প্রতিপক্ষে দুজনের গায়ে লেগে চলে আসে গোলমুখে থাকা জেসেলুর কাছে। ঠাণ্ডা মাথায় বল জালে জড়ান তিনি। আর এই গোলেই জয় নিশ্চিত হয় তাদের। এই নিয়ে নতুন কোচের অধীনে তিন ম্যাচে তিন গোল করলেন জোসেলু। এই জয়ে স্পেন কোচ দে লা ফুয়েন্তের মাথা থেকে চাপের বোঝা কিছুটা হলেও অপসারিত হয়েছে। গত মার্চে স্কটল্যান্ডের কাছে পরাজিত হওয়ার পর থেকে দারুণ সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন তিনি। এটি ছিল দায়িত্ব গ্রহণের পর তার দ্বিতীয় ম্যাচ।

এদিকে জুভেন্টাসে উল্লেখযোগ্য পারফর্মেন্স করতে না পারলেও সেন্টার ব্যাক লিওনার্দো বনুচ্চিকে একাদশভুক্ত করেছিলেন ইতালির কোচ রবার্তো মানচিনি। এর মূল্য দিতে হয়েছে আজ্জুরিদের। ম্যাচ শেষে ফরোয়ার্ডদের পারফরম্যান্স নিয়েও হতাশা প্রকাশ করেন তিনি। ম্যাচ শেষে মানচিনি বলেন, ‘আমরা আবার সবকিছু নতুনভাবে করতে শুরু করেছি এবং এভাবেই এগিয়ে যাব। এ মুহূর্তে আমাদের দলে ভালো মিডফিল্ডার এবং ডিফেন্ডার আছে, কিন্তু মেধাবী ফরোয়ার্ডের ঘাটতি আছে। জানি না কেন। আমরা বিষয়গুলো ভিন্নভাবে সাজিয়েছিলাম এবং প্রথমার্ধে স্পেনের পাসিং লাইনের সুর কেটে দিয়ে কাজগুলো ভালোভাবেই করেছিলাম। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে আমরা খুব বেশিই বিবর্ণ হয়ে গিয়েছিলাম। শেষ মুহূর্তের গোলে হলেও যোগ্যতা দিয়েই জয়লাভ করেছেন স্পেন। সম্ভবত কৌশলগতভাবে স্বাভাবিকতার চেয়ে ভিন্ন খেলার মূল্য দিতে হয়েছে আমাদের।’
গতবারও সেমিফাইনালেই স্পেনের কাছে হেরে নেশন্স লিগ থেকে বিদায় নিয়েছিল ইতালি। এবারো তার প্রতিশোধ নেয়া হলো না তাদের। গত দুই বিশ্বকাপে মূলপর্বেই খেলতে পারেনি আজ্জুরিরা। ধারাবাহিক এত ব্যর্থতার মাঝে গত মার্চে ২০২৪ সালের ইউরোর বাছাইয়ে ইংল্যান্ডের কাছে হেরে যায় তারা। নেশন্স লিগ সেমিফাইনালে হারের মধ্য দিয়ে এই মৌসুমে সবকিছু হারানোর পালা শেষ হয় ইতালির। ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের সব ফাইনালে হেরেছে ইতালিয়ান ক্লাব। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ইন্টার মিলান, ইউরোপা লিগে রোমা ও কনফারেন্স লিগে ফিওরেন্টিনার হারের পর ফিফা অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ ফাইনালে হেরেছে ইতালির যুবারা। আর এবার নেশন্স লিগ থেকেও বিদায় নিল ইতালির জাতীয় দল।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়