পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় : সবাই সার্বভৌমত্বকে সম্মান দেখাবে- এই প্রত্যাশা বাংলাদেশের

আগের সংবাদ

মেয়র প্রার্থীদের প্রতিশ্রæতির ফুলঝুরি : ‘পরিকল্পিত সিলেটে’ প্রাধান্য

পরের সংবাদ

প্রযুক্তিতে বন্দি শৈশব : হুমকিতে শিশুস্বাস্থ্য

প্রকাশিত: জুন ১৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

** ছয়শর বিপরীতে খেলার মাঠ রয়েছে ২৫৬ ** তীব্র মানসিক চাপে ভুগছে ৬০ শতাংশ কিশোর-কিশোরী **
ঝর্ণা মনি : শৈশব হারিয়ে গেছে। হারিয়ে গেছে দুরন্তপনার সাক্ষী খেলার মাঠ। বর্ণিল শিশুকাল হারিয়ে যাচ্ছে স্মার্টফোন, ল্যাপটপ আর নামিদামি ব্র্যান্ডের ট্যাবে। শিশুর চোখ আটকে আছে স্মার্টফোনের পর্দায়। মোবাইলে পাবজি, ক্যান্ডি ক্রাম, ক্লেশ অব ক্লেন কিংবা লুডু স্টারে। মাঠের খেলার সঙ্গে এই প্রজন্মের সংযোগ নেই বললেই চলে। যে বয়সে ছেলেমেয়েদের বাধাহীন জীবনযাপন, খেলার মাঠে ছুটে চলা, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায় মেতে ওঠার কথা- সে বয়সেই তারা ঘরবন্দি থেকে স্মার্টফোনসহ প্রযুক্তিগত বিভিন্ন ডিভাইসের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েছে। বিশ্বে প্রতিদিন ১ লাখ ৭৫ হাজার অর্থাৎ প্রতি আধা সেকেন্ডে একজন শিশু নতুন করে ইন্টারনেটের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে। স্মার্টফোনের মাধ্যমে শিশুরা খুব সহজেই ভার্চুয়াল জগতে প্রবেশ করে। ৩-৪ বছরের বাচ্চারাও এখন ইউটিউবে নানা ধরনের ভিডিও দেখে। শিশুরা এখন স্মার্টফোনে কার্টুন দেখার নেশায় মেতে ওঠে। বিটিআরসির তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে শিশুদের প্রায় ৩ দশমিক ৫ শতাংশ নিয়মিত ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকে। এই আসক্তির বিষয়টি সারা পৃথিবীতেই উদ্বেগজনক সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। এ কারণে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনলাইন গেম, মোবাইল ফোন, কম্পিউটার বা ভিডিও গেমের ক্ষতিকর ব্যবহারকে রোগ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। ইউনিসেফের তথ্যমতে, বাংলাদেশে ১০ থেকে ১৭ বছর বয়সি শিশুদের মধ্যে ৩২ শতাংশই অনলাইন বিপদের মুখে আছে। এ সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে প্রতি তিনজন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর একজন শিশু।
গবেষণায় দেখা গেছে, প্রযুক্তির ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীলতা আমাদের মস্তিষ্ককে অকার্যকর করে দিচ্ছে। ‘প্রযুক্তি অ্যাডিকশন’ এর কারণে শিশুদের মানসিক বিকাশে যে ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে তা হলো- শিশুদের বিকাশ বিলম্বিত হতে পারে। ফলে বাধাগ্রস্ত হবে শিশুর মানসিক ও সামাজিক বিকাশ; মারাত্মকভাবে ঘুমের ক্ষতি হতে পারে; মস্তিষ্কের প্রবৃদ্ধি দ্রুত কমে যেতে পারে; বিষণ্নতা, উদ্বেগ, মনোযোগ ঘাটতি, মনোব্যাধিসহ আচরণগত বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে; শিশুদের নৈতিক অবক্ষয় ঘটতে পারে। অনেক গেম ও সিনেমায়

চুরি, যৌনতা, ধর্ষণ, হত্যা, নির্যাতন বা অঙ্গহানি দেখানো হয়- যা শিশুকে সহিংস হতে উদ্বুদ্ধ করে। বেশি সময় মোবাইল, টিভি বা কম্পিউটার মনিটরে চোখ রাখলে শিশুদের চোখে নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে। এসবের ক্ষতিকর রশ্মিতে শিশুর মস্তিষ্ক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। শিশুদের স্থূলতা দেখা দিতে পারে। এছাড়া ডায়াবেটিস, স্ট্রোক ও হৃদরোগেও আক্রান্ত হতে পারে। মাথাব্যথাসহ আরো নানা রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটতে পারে।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশনের (সিক্যাফ) ২০২৩ সালের জরিপ অনুযায়ী, সাইবার অপরাধে ভুক্তভোগীদের ১৪ দশমিক ৮২ শতাংশের বয়সই ১৮ বছরের নিচে, যা ২০১৮ সালের জরিপের তুলনায় ১৪০ দশমিক ৮৭ শতাংশ বেশি। ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সবচেয়ে বেশি অপপ্রচারের শিকার হয় শিশুরা। বয়সভিত্তিক অপরাধের ধরনে ভুক্তভোগীদের মধ্যে ১৮ থেকে ৩০ বছর বয়সিরা এ ধরনের অপরাধের শিকার সবচেয়ে বেশি, যা প্রায় ১২ শতাংশের ওপরে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এডুকেশনাল এন্ড কাউন্সেলিং সাইকোলজি বিভাগের চেয়ারপারসন অধ্যাপক মাহজাবীন হক ভোরের কাগজকে বলেন, শিশু যত বেশি আসক্ত হয়ে পড়বে, তত তাকে ফিরিয়ে আনা কঠিন হবে। এজন্য বাবা-মায়েরা মৌলিক কিছু পদক্ষেপ নিতে পারেন। ঘরে একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য প্রযুক্তির ব্যবহার সম্পূর্ণ বন্ধ রাখা উচিত। এ সময়টা বরাদ্দ করুন বই পড়া, রান্না করা, ছবি আঁকা বা অন্য কোনো কাজের জন্য। একটা সময় বেঁধে প্রযুক্তি ব্যবহারের অভ্যাস করুন। একটা গাইডলাইন তৈরি করুন। কতক্ষণ পড়াশোনা, কতক্ষণ গেমস বা ইন্টারনেট ব্যবহার করবে- সবকিছুর। তাহলেই অকারণে প্রযুক্তির ব্যবহার কমে আসবে। শিশুকে যাবতীয় ভালো কিছুর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়ার দায়িত্ব বাবা-মায়ের।
ছয়শর বিপরীতে খেলার মাঠ রয়েছে ২৫৬ : ঢাকা শহরে নগরায়ণের ফলে উধাও হয়ে যাচ্ছে খেলার মাঠ। ইট, বালু, পাথরের আড়ালে আটকা পড়েছে শিশুদের বর্ণিল শৈশব। গ্রামের শিশুরা খেলাধুলার কিছুটা সুযোগ পেলেও শহুরে শিশুদের সে সুযোগ কম। এমনকি শহরের স্কুলগুলোতেও এখন মাঠ প্রায় নেই বললেই চলে। আর এসব শিশুর দিনের বেশির ভাগ সময়ই কাটে স্কুলে, আবার মাঠের অভাবে টিফিনের ফাঁকেও খেলার সুযোগ পায় না তারা।
গড়ে সাড়ে ১২ হাজার মানুষের জন্য অন্তত তিন একর আয়তনের একটি খেলার মাঠ নিশ্চিত করার পরামর্শ নগর পরিকল্পনাবিদদের। এ হিসেবে রাজধানীতে প্রায় এক হাজার ৬০০টি খেলার মাঠ প্রয়োজন। রয়েছে মাত্র ২৫৬টি। অভিযোগ, সরকার ও দায়িত্বশীল সংস্থাগুলোর ব্যর্থতার কারণেই মাঠ উধাও হয়ে যাচ্ছে। নগরবিদরা বলছেন, রাজধানীতে জনপ্রতি ৯ বর্গমিটার খোলা জায়গা প্রয়োজন। আছে মাত্র ১ বর্গমিটারেরও কম। আর ১৫ মিনিটের হাঁটা দূরত্বে থাকা উচিত একটি করে খেলার মাঠ। নাগরিক সুবিধা দেয়ার দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের। করপোরেশন কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রতিটি ওয়ার্ডে অন্তত একটি করে খেলার মাঠ করতে গণপূর্ত, রাজউক, গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের মতো সংস্থাগুলোর সহযোগিতা তারা পায় না। সংশোধিত ডিটেইল এরিয়া প্ল্যান (ড্যাপ) প্রণয়নের আগে রাজউকের জরিপে দেখা যায়, দুই সিটির ১২৯টি ওয়ার্ডে এক হাজার ১৩৭ একর জায়গায় পার্ক থাকার কথা। সেখানে আছে মাত্র ২৭১ একরে। খেলার মাঠ থাকার কথা এক হাজার ৮৭৬ একর জায়গায়। আছে মাত্র ২৯৪ একরে।
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকার ওয়ার্ড রয়েছে ১২৯টি। এর মধ্যে ৪১টি ওয়ার্ডে কোনো খেলার মাঠ নেই। এই তথ্য রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনার (ড্যাপ) খসড়ায় উল্লেখ রয়েছে। খেলার জন্য কোনো ধরনের মাঠ নেই ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ১০টি ওয়ার্ডে। আর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৩১টি ওয়ার্ড খেলার মাঠশূন্য। অন্য ওয়ার্ডগুলোতে খেলার মাঠ থাকলেও সব মাঠ আবার জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত নয়। নগর পরিকল্পনাবিদদের সংগঠন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি) ঢাকা শহরের খেলার মাঠ নিয়ে ২০১৯ সালে একটি গবেষণা করেছিল। ‘ঢাকা শহরে বিদ্যমান খেলার মাঠের ঘাটতি ও চাহিদা পর্যালোচনা’ শীর্ষক ওই গবেষণা অনুযায়ী, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ৯৩টি ওয়ার্ডে (দুই সিটিতে নতুন যুক্ত হওয়া ৩৬টি ওয়ার্ড ছাড়া) সরকারি-বেসরকারি মিলে ২৩৫টি খেলার মাঠ আছে। এর বাইরে নতুন যুক্ত হওয়া ৩৬ ওয়ার্ডে ২১টি খেলার মাঠ রয়েছে। বিআইপির গবেষণায় আসা ২৩৫টি মাঠের মধ্যে ১৪১টি রয়েছে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মালিকানায়। কলোনির মাঠ আছে ২৪টি, ঈদগাহ মাঠ আছে ১২টি। ১৬টি সরকারি মাঠ বিভিন্নভাবে দখল হয়ে গেছে। এর বাইরে মাত্র ৪২টি মাঠ আছে, যেগুলো সবাই ব্যবহার করতে পারে। কিন্ডারগার্টেন সমিতির তথ্য অনুসারে, এর বাইরে রাজধানীতে ১০ হাজারের বেশি কিন্ডারগার্টেন রয়েছে- যেখানে কয়েক লাখ শিক্ষার্থী পড়ছে। সরকারি স্কুলের ছোট বড় মাঠ থাকলেও কিন্ডারগার্টেনসহ অন্যান্য স্কুলে কোনো মাঠ নেই। আর ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলগুলোর অবস্থাও একই।
খেলার মাঠ না থাকাকে সবচেয়ে বড় দুর্ভাগ্য বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত বছর (১১ মে, ২০২২) শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে অভিভাবকদের আরো বেশি আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সব থেকে দুর্ভাগ্য হলো, ঢাকা শহরে খেলাধুলার জায়গা সব থেকে কম। ইতোমধ্যে আমরা কিছু উদ্যোগ নিয়েছি। যেখানে খালি জায়গা পাচ্ছি আমরা খেলার মাঠ করে দিচ্ছি। আমাদের শিশুরা এখন ফ্ল্যাটে বাস করে, ফ্ল্যাটে বাস করে করে সেই ফার্মের মুরগির মতোই হয়ে যাচ্ছে। আর এখন তো মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, আইপ্যাড এগুলো ব্যবহার করে ওগুলোর মধ্যে পড়ে থাকে। এটা মানসিকভাবে-শারীরিকভাবে সুস্থতার লক্ষণ না। বাবা-মা, অভিভাবকদের আমি অনুরোধ করব কিছু সময়ের জন্য হলেও ছেলেমেয়েরা যাতে হাত-পা ছুড়ে খেলতে পারে সেটা আপনাদের উদ্যোগ নেয়া উচিত। প্রতিটি এলাকায় খেলার মাঠ থাকা একান্তভাবে প্রয়োজন। আমাদের যারা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন তাদের প্রশিক্ষণের জন্য সংসদ ভবনের পাশের মাঠে আমরা নির্মাণকাজ শুরু করেছি। তাদের জন্য একটা একাডেমিও আমরা তৈরি করে দিচ্ছি।’
তীব্র মানসিক চাপে ভুগছে ৬০ শতাংশ কিশোর-কিশোরী : মানসিক স্বাস্থ্যের বিকাশে খেলাধুলার প্রভাব যে কতটা, তা নিয়ে চলছে নানা ধরনের গবেষণা। শিশু-কিশোরদের মানসিক স্বাস্থ্যের ব্যাধির জন্য খেলাধুলা কমে যাওয়া, বড়দের নিয়ন্ত্রণ এবং বিভিন্ন ক্রিয়াকলাপে জড়িত না হওয়া দায়ী। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে, শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা বিশ্বব্যাপী মৃত্যুহারের চতুর্থ প্রধান ঝুঁকির কারণ। ইউনিসেফের জরিপ অনুযায়ী, ১৩ শতাংশেরও বেশি কিশোর-কিশোরী মানসিক ব্যাধি নিয়ে বসবাস করে। শিক্ষার্থীরা হয় তাদের পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত থাকে বা মোবাইল ফোন নিয়ে তাদের সময় পার করে। তারা ভুলে যায় বাইরে খেলাধুলা করাও তাদের আনন্দ দিতে পারে। খেলাধুলা মানসিক সতেজতা তৈরি করতে সাহায্য করে। বাংলাদেশ ব্রেস্ট ফিডিং ফাউন্ডেশন, পাবলিক হেলথ ইনস্টিটিউট, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ কয়েকটি সংস্থার করা যৌথ গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশের ১৩-১৯ বছর বয়সি শহুরে ছেলেমেয়েদের ৬০ শতাংশের বেশি মাঝারি থেকে তীব্র মানসিক চাপে ভোগে। এই মানসিক চাপের ফলে তাদের শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের ব্যাপক ক্ষতি হয়। যেমন, নাগরিক এই কিশোর-কিশোরীদের একটি বড় অংশ স্থূলতা, বিষণ্নতা বা অবসাদে ভোগে। ২৬ শতাংশের বেশি শহুরে কিশোর-কিশোরীর ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মহসিন রেজা ভোরের কাগজকে বলেন, অন্যায়-অনাচার, অপরাধ দমন ও শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় শিশু-কিশোরদের সুস্থ মানসিকতাসম্পন্ন নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে খেলার মাঠের বিকল্প নেই। মাঠের মুক্ত বিনোদন না পেয়ে মোবাইল ফোন, নেশা, অপরাধ থেকে শুরু করে নানারকম আসক্তির দিকে ঝুঁকছে শিশুরা। এতে তাদের স্বাস্থঝুঁকি যেমন বাড়ছে তেমনি সুনাগরিক হয়ে গড়ে ওঠার অনিশ্চয়তা বেশি।
পরিবেশবিদ, পবার (পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন) চেয়ারম্যান আবু নাসের খান ভোরের কাগজকে বলেন, আগে যেখানে শিশু-কিশোররা আড্ডা দিত, তাদের সামাজিকীকরণের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতো সে জায়গাগুলো কমে যাওয়ায় শিশুরা অনেকটা ঘরকুনো হয়ে উঠেছে। তাদের স্মার্টফোনে আসক্তি বেড়েছে, তারা বিভিন্ন অপরাধে জড়িত হয়ে পড়ছে। এর প্রভাব পড়ছে সমাজে ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের বেড়ে ওঠায়। সরকারের উচিত হবে, খেলার মাঠ উদ্ধার করে শিশু-কিশোরদের সামাজিকীকরণের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়