সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মামলা করে বিপাকে ভুক্তভোগীরা

আগের সংবাদ

উন্নয়ন ও প্রত্যাশায় ফারাক অনেক : ক্লিন সিটি খ্যাত রাজশাহীর মানুষ অনেক সেবা পান না

পরের সংবাদ

ভোটার উপস্থিতিই প্রধান চ্যালেঞ্জ আ.লীগের : রাসিক নির্বাচন

প্রকাশিত: জুন ১৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক, রাজশাহী : ঘনিয়ে আসছে রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচন। এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়রপ্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের বিপক্ষে শক্ত কোনো প্রতিদ্ব›দ্বী নেই। ফলে সহজ জয়ে তার আবারো মেয়র নির্বাচিত হওয়ার বিষয়টি অনুমেয়। তবে ভোটকেন্দ্রে সাধারণ ভোটারদের নিয়ে আসাই প্রধান চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের। প্রচারণায় ভোটারদের সকাল সকাল কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন মেয়রপ্রার্থী লিটন।
এবারের নির্বাচনে তার প্রতিদ্ব›দ্বী জাতীয় পার্টির সাইফুল ইসলাম স্বপন ও জাকের পার্টির লতিফ আনোয়ার থাকলেও নগরীতে তাদের প্রচারণা চোখে পড়ার মতো নয়। এ দুই প্রার্থীর মাইকিং. পোস্টারিং, ব্যানার এবং ফেস্টুনও সেভাবে চোখে পড়েনি। শক্ত প্রতিপক্ষ না থাকলেও ব্যয়বহুল প্রচারণা চালাচ্ছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী লিটন। বিরোধী দলের অভিযোগ, মাইকিং ও প্রচারণায় চরম শব্দদূষণ হচ্ছে নগরীতে। মাত্রাতিরিক্ত মাইকিংয়ে বয়স্ক ও অসুস্থদের বেশ সমস্যা হচ্ছে। ভোটের সময় একের পর এক উন্নয়নের প্রতিশ্রæতি দেয়া হলেও বাস্তবায়ন নেই।
২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের লিটনের দেয়া কর্মসংস্থানসহ নানা প্রতিশ্রæতির বাস্তবায়ন পাঁচ বছরেও হয়নি। উল্টো নগরীতে অধিক হারে অটোরিকশা নামিয়ে যানজট বৃদ্ধি করা হয়েছে। এছাড়া এ সময়কালে উদ্বেগজনক হারে ভরাট হয়েছে পুকুর ও জলাশয়। ফলে বর্তমান অবস্থা পরিবেশের জন্য হুমকি তৈরি হয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, নির্বাচনে লিটনপন্থিরা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাক ডাবলু সরকার ও তার অনুসারীদের ‘মাইনাস’ করে ভোটের কার্যক্রম চালাচ্ছেন। তবুও এরমধ্যে কয়েকদিন নৌকার পক্ষে প্রচারণায় নামেন ডাবলু। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওকে ইস্যু করে দৃশ্যমান হয়েছে আওয়ামী লীগের কোন্দল। বিশ্লেষকদের ধারণা, সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগেরই অনেক নেতাকর্মী ভোটদান থেকে বিরত থাকবেন। এছাড়া ইভিএমে ভোটের আয়োজন হওয়ায় অনেকেই বিড়ম্বনায় পড়তে পারেন ভোট দিতে গিয়ে। সেজন্য ভোটের মাঠে কত সংখ্যক সাধারণ মানুষের উপস্থিতি হবে- সেই প্রশ্ন রয়েই যায়।
অবশ্য বিষয়টি নিয়ে সজাগ থেকে কাজ করছে আওয়ামী লীগ। ক্ষমতাসীন দলের মেয়রপ্রার্থীর আশা, ৭০ শতাংশ ভোট পড়বে নির্বাচনে। গত বুধবার সন্ধ্যায় নগরীর শালবাগান এলাকায় গণসংযোগকালে এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ভোটারদের উদ্দেশে বলেন, উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে সবাই নৌকায় ভোট দেবেন। আপনারা সকাল সকাল কেন্দ্রে গিয়ে ভোট উৎসবে অংশ নিয়ে ভোট দিয়ে আসবেন। উন্নয়ন দৃশ্যমান হয়েছে, এবার নির্বাচিত হলে ব্যাপক কর্মসংস্থান করা হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়