সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মামলা করে বিপাকে ভুক্তভোগীরা

আগের সংবাদ

উন্নয়ন ও প্রত্যাশায় ফারাক অনেক : ক্লিন সিটি খ্যাত রাজশাহীর মানুষ অনেক সেবা পান না

পরের সংবাদ

চোরাই স্বর্ণের ভরি ২০ আনায়, দামও অর্ধেক

প্রকাশিত: জুন ১৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : চোরাই স্বর্ণ ১৬ আনার বদলে বিক্রি হয় ২০ আনা ভরিতে। প্রতি ভরির দাম ধরা হয় ৩৫-৪০ হাজার টাকা। ঢাকার তাঁতীবাজার, উত্তরা, মিরপুর ও নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে চোরাই স্বর্ণ বেচাকেনা হয়। এসব স্বর্ণ যারা কেনেন, এমন কয়েকজন ব্যবসায়ীকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার নজরদারিতে রাখা হয়েছে।
রাজধানী ভাটারার মাদানী অ্যাভিনিউয়ের নূর জুয়েলার্সে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনায় ৮ জনকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান ডিএমপি গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার মশিউর রহমান। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
গত বুধবার কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও নারায়ণগঞ্জ থেকে ওই ৮ জনকে গ্রেপ্তার করে লালবাগ বিভাগের

লালবাগ জোনাল টিম। তারা হলেন- মো. শরীফ ওরফে জামাই শরীফ, মো. আমির হোসেন ওরফে মোটা আমির, মো. ইয়াছিন আরাফাত মোল্লা ওরফে কানা মোটা ইয়াছিন, মো. ফারুক, মো. নুরে আলম সুমন ওরফে ডিবি সুমন, মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে আব্দুল্লাহ, মোকাররম হোসেন ওরফে রুবেল ওরফে মনির হোসেন ওরফে মনু ও মো. পারভেজ। তাদের কাছ থেকে ২ ভরি চোরাই স্বর্ণ, স্বর্ণ বিক্রির নগদ ১২ লাখ টাকা ও তালা কাটার কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন যন্ত্রপাতি উদ্ধার করা হয়।
উপকমিশনার মশিউর রহমান জানান, চুরির আগে রেকি করেন চোর চক্রের সদস্যরা। যেসব দোকানে সিসি ক্যামেরা নেই, সেগুলো টার্গেট করেন। মালিক ও কর্মচারী কখন দোকানে আসেন, কখন যান- সবই পর্যবেক্ষণ করে সুযোগ বুঝে চুরি করা হয়। দোকান বা প্রতিষ্ঠানের সামনে বড় ছাতা বা চাদর মেলে দ্রুততার সঙ্গে তালা কেটে মালামাল ও টাকা নিয়ে পালান চোরেরা। একই কায়দায় গত ১৪ এপ্রিল জুমার নামাজের সময় ছাতা দিয়ে আড়াল তৈরি করে ভাটারার নূর জুয়েলার্সে চুরি হয়।
তিনি আরো বলেন, দোকান মালিকের দাবি ১৮৬ ভরি স্বর্ণ ও ৫০ হাজার টাকা চুরি হয়েছে। তদন্তে ডিবি পুলিশ জানতে পারে, চুরিতে ১৩ জন অংশ নেয়। তাদের মধ্যে ৮ জনকে গ্রেপ্তারে সমর্থ হই আমরা। এক ব্যবসায়ীর দোকান থেকে চুরি হওয়া স্বর্ণ আরেক ব্যবসায়ী কেনেন। ৯৫-৯৮ হাজার টাকার ভরির স্বর্ণ তখন বিক্রি হয় ৩৫-৪০ হাজার টাকায়। তিনি জানান, গ্রেপ্তার আসামিদের রিমান্ডে এনে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। চোরাই স্বর্ণ যারা কেনেন, তাদেরও নজরদারিতে রাখা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়