সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মামলা করে বিপাকে ভুক্তভোগীরা

আগের সংবাদ

উন্নয়ন ও প্রত্যাশায় ফারাক অনেক : ক্লিন সিটি খ্যাত রাজশাহীর মানুষ অনেক সেবা পান না

পরের সংবাদ

গণতন্ত্রের জন্য দরদ এবং বাঘের অজুহাত

প্রকাশিত: জুন ১৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

২০১৩-১৪ সালের আগুন-সন্ত্রাসের অন্তত ১০ বছর পর চট্টগ্রামের মানুষ দেখল সে অপশক্তির কয়েকটি বর্বর কাণ্ড। গত ১৪ জুন ছিল বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনগুলোর আহ্বানে ডাকা ‘তারুণ্যের সমাবেশ’। সে সমাবেশে যোগ দিতে যাওয়ার পথে জামাল খান মোড়ে ডা. খাস্তগীর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দেয়ালে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসনির্ভর ম্যুরাল ও দেয়ালচিত্র ভাঙচুর করেছে সমাবেশে যোগ দিতে যাওয়া নেতাকর্মীরা। নগরীর জামাল খান মোড়ে দেয়ালচিত্রের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বাঙালির দীর্ঘ মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাস। ৫০টি ট্যাম্পার্ড গøাসে তুলে ধরা হয়েছিল এই ইতিহাস। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে স্থানীয় পত্রিকাগুলো লিখেছে, বিকাল ৪টার দিকে নগরীর কাজীর দেউড়ি এলাকায় বিএনপি আয়োজিত তারুণ্যের সমাবেশে যাওয়ার পথে যুবদলের একটি মিছিল থেকে এ ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। পরে একই মিছিল থেকে আসকার দিঘি-সংলগ্ন আঞ্চলিক লোক প্রশাসন কেন্দ্রের কাচের নামফলক, সিসি ক্যামেরা ও মানবতার দেয়াল ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় পাঁচ যুবদল কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
অনেক বছর পর শান্ত নগরে এমন মারদাঙ্গা মিছিল-সমাবেশ দেখে জনমনেও অস্বস্তি তৈরি হয়েছে। সাধারণ মানুষ মনে করছে বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের ওপর আক্রোশের বহিঃপ্রকাশ এখনই যদি এমন হয় তাহলে বিএনপি জোট ক্ষমতায় গেলে কেমন উন্মত্ত আচরণ করবে। নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তথা বাইডেন প্রশাসনের বাংলাদেশ নিয়ে বদ নিয়ত ততই পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। তাদের সাম্প্রতিক কিছু সিদ্ধান্ত দেখে মনে হচ্ছে একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলকে ক্ষমতায় আনার জন্য তারা আদাজল খেয়ে নেমেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ঐতিহাসিক কারণে আওয়ামী লীগ বিদ্বেষী। তাদের প্রবল বিরোধিতা সত্ত্বেও ১৯৭১ সালে পাকিস্তান ভেঙে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল। শুধু তাই নয়, বঙ্গবন্ধু সংবিধানে সমাজতন্ত্রকে সন্নিবেশিত করেছিলেন এবং বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে পরীক্ষিত বন্ধুরাষ্ট্র সোভিয়েত ইউনিয়নসহ পূর্ব ইউরোপের অন্যান্য দেশের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন। বাংলাদেশকে ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ বলে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করা নিক্সন-কিসিঞ্জার প্রশাসন শুরু থেকে বঙ্গবন্ধু, তার সরকার তথা স্বাধীন বাংলাদেশবিরোধী অবস্থান নিয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের পর প্রবল খাদ্য সংকটের সময়ে ১৯৭৪ সালে চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করে খাদ্য জাহাজ বঙ্গোপসাগর থেকে ফিরিয়ে নিয়ে গিয়ে বাংলাদেশকে গভীর সংকটে নিক্ষেপ করেছিল। তাতে দুর্ভিক্ষাবস্থা নেমে এসেছিল। এর ফলে দেশে বঙ্গবন্ধুর নিন্দিত হওয়ার ক্ষেত্র প্রস্তুত হয়েছিল, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও বঙ্গবন্ধু এবং তার সরকার খুবই বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছিল। অবশ্য এ কাজগুলো সবই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একা করেনি, এ দেশের স্বাধীনতাবিরোধী সাম্প্রদায়িক শক্তি, প্রতিবিপ্লবী রাজনৈতিক দল, তৎকালীন চীনপন্থি বামদল এবং কিছু গোপন পার্টি অতি নিষ্ঠার সঙ্গে সহযোগিতা করেছিল। সে সময় কিছু তথাকথিত নিরপেক্ষ ব্যক্তি ও সংগঠন, কিছু সংবাদপত্র মার্কিনিদের এজেন্ট হিসেবে কাজ করেছে। এই শক্তির সবচেয়ে বড় যে অপকর্মটি ছিল তাহলো এক নিরপরাধ, মানসিক প্রতিবন্ধী নারী বাসন্তীর জালপরা ছবি প্রকাশ করা।
প্রতিবার নির্বাচন ঘনিয়ে এলে মার্কিন সরকার তৎপর হয়ে ওঠে একটি বিশেষ দল ও গোষ্ঠীর পক্ষে। এবারো তার ব্যতিক্রম হয়নি। এর প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে বাংলাদেশিদের জন্য তারা আলাদা একটি ভিসানীতি ঘোষণা করেছে এবং তারপর থেকে তারা লাগাতার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে। এমনকি তারা আমাদের শ্রম আইন কী ধরনের তাও জানার চেষ্টা করেছে। এর মধ্যে ৬ জন কংগ্রেসম্যান খুব তৎপর হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ নিয়ে। এই ৬ জন ইতোমধ্যে একটি চিঠি দিয়েছে প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে। সে চিঠিতে দাবি করা হয়েছে যে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশে হিন্দুদের সংখ্যা অর্ধেক হয়ে গেছে। সে চিঠির প্রতিক্রিয়ায় ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন করেছে সেক্যুলার সিটিজেন, বাংলাদেশ নামক একটি সংগঠন।
সম্মেলনে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সংখ্যা কমে আসা নিয়ে ৬ মার্কিন কংগ্রেসম্যানের চিঠির তথ্য মিথ্যা এবং বাস্তবতাবিবর্জিত বলে মন্তব্য করে সেই চিঠি প্রত্যাখ্যান করেছে সেক্যুলার সিটিজেন বাংলাদেশ। সংগঠনটির নেতারা বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে গত ১৭ মে লেখা এক চিঠিতে দেশটির ছয়জন কংগ্রেসম্যান বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের অবস্থা নিয়ে যেভাবে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রদান করেছেন তা দেখে আমরা বেশ আতঙ্কিত ও হতবাক। ১২ জুন সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সেই চিঠি প্রত্যাখ্যানের কথা জানান সেক্যুলার সিটিজেন বাংলাদেশের আহ্বায়ক ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বল। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের কাছে পাঠানো এক ইমেইলে সেক্যুলার সিটিজেনস বাংলাদেশের সদস্যরা দাবি করেছেন যে, মার্কিন কংগ্রেস সদস্যদের উল্লিখিত চিঠিটি পক্ষপাতদুষ্ট এবং সংখ্যালঘুর সংখ্যা কমানোর বিষয়ে ইতিহাস বিকৃত করে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রদান করা হয়েছে। পাশাপাশি খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষও একইভাবে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে বলে সেখানে উল্লেখ করা হয়। কিন্তু সেখানে উল্লেখ করা হয়নি যে, বিএনপি-জামায়াতের শাসনকাল অর্থাৎ বিগত ২০০১-২০০৬ সালে তাদেরই নেতৃত্বে দেশের বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন করা হয়। এছাড়া এই জোটের নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলেও সংঘটিত সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিষয়ে কোনো আলোচনাই করেননি এই কংগ্রেসম্যানরা, যার বিষয়ে সাহাবুদ্দিন চুপ্পু কমিশনের রিপোর্টে পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, ‘বর্তমান সরকারের সময়ে ধর্মীয় ও জাতিগত সম্প্রদায়গত পরিচয় ভুলে গিয়ে যোগ্যতা ও মেধার সঠিক মূল্যায়নের মাধ্যমে সবার সরকারি চাকরি করার অধিকার এবং পেশাগত সুবিধা লাভের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে- এই বিষয়গুলো মার্কিন কংগ্রেসম্যানরা তাদের বিবেচনায় নেননি।’ এই সংবাদ সম্মেলনের বিষয়টি তুলে দেয়ার কারণটি হচ্ছে কংগ্রেসম্যান, প্রকৃত অর্থে যারা বাংলাদেশের একটি রাজনৈতিক শক্তির লবিস্ট হিসেবে কাজ করছেন তাদের বক্তব্যের জবাবে এ কথাগুলোই লিখতাম। তবে এর সঙ্গে যোগ করতাম, বাংলাদেশে এখন অন্তত সরকার বা সরকারি দলের পক্ষ থেকে কোনো সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক বক্তব্য দেয়া হয় না। দেশের প্রধানমন্ত্রী সবসময় বলেন, ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার। এই উপমহাদেশের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বেশি।
এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসম্যানদের সঙ্গে সুর মিলিয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের পার্লামেন্ট সদস্যরা। ইউরোপীয় ইউনিয়নের ৬ পার্লামেন্ট সদস্য বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে ভূমিকা রাখতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নে পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান জোসেফ বোরেলকে এ বিষয়ে একটি চিঠি দিয়েছেন। একই সঙ্গে মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধ ও চলমান রাজনৈতিক সংকটে দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান খুঁজে বের করার আহ্বান জানিয়েছেন তারা। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারকে কোণঠাসা করার জন্য আরো একটি পদক্ষেপের সংবাদ জানা গেল। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডব্লিউ) তৎপরতায়। এইচআরডব্লিউ বলছে, জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা মিশনে বাংলাদেশের অবদান সবচেয়ে বেশি। এই অবস্থান ধরে রাখতে বাংলাদেশকে জাতিসংঘের মানবাধিকার-সংক্রান্ত যাচাই-বাছাই নীতিমালা যথাযথভাবে মেনে চলতে হবে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে, জাতিসংঘের হয়ে কাজ করা তাদের কোনো নাগরিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত নয়। এইচআরডব্লিউ যে তথা দিচ্ছে তা কি পুরোপুরি সত্য? বাংলাদেশে কি এমন দমন-পীড়ন চলছে? বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গাদের হয়রানি করছে নাকি রোহিঙ্গারাই সরকার থেকে শুরু করে পুরো জাতিকে হয়রানি করছে? আমাদের ভুলে গেলে চলবে না যে, এই এইচআরডব্লিউ যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের লক্ষ্যে গঠিত ট্রাইব্যুনালের বিপক্ষে কীভাবে অবস্থান নিয়েছিল। গত কয়েক মাস ধরে পাকিস্তানে যেসব ঘটনা ঘটছে তার ধারেকাছেও কি আছে বাংলাদেশের অবস্থান। সেখানে এইচআরডব্লিউ নীরব কেন? সেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নীরবতা কেন? দুই দেশের জন্য মার্কিনিদের দুই নীতি কেন? এইচআরডব্লিউ কি সেখানেই মানবাধিকার নিয়ে সোচ্চার হয় যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরব হয়?
বাংলাদেশে মতপ্রকাশের অপরাধে ড. হুমায়ুন আজাদকে নিষ্ঠুরভাবে আঘাত করে আহত করা হয়েছিল, যে কারণে পরে তার মৃত্যু হয়েছিল। লেখক-ব্লগার, মুক্তচিন্তক অভিজিৎ রায়কে হত্যা করা হয়েছিল। সে সঙ্গে মতপ্রকাশের অপরাধে একে একে হত্যা করা হয় আহমেদ রাজিব হায়দার, শফিউল ইসলাম, ওয়াশিকুর রহমান, অনন্ত বিজয় দাস, নীলয় চ্যাটার্জি, ফয়সল আরেফিন দীপন, নাজিমুদ্দিন সামাদসহ অনেককে। হলি আর্টিজান বেকারিতে এক রাতে দেশি-বিদেশি কুড়ি ব্যক্তিকে হত্যা করে জঙ্গিরা। মতপ্রকাশে বাধার কথা বলতে গেলে আগে উগ্র ও জঙ্গিবাদীদের কথা উল্লেখ করতে হবে। আজ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জোর করে যে রাজনৈতিক শক্তিকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতায় বসিয়ে দিতে চায় সে রাজনৈতিক শক্তির সহায়ক ও সৃষ্ট সেই উগ্রবাদী শক্তি। গণতন্ত্রের দোহাই দিয়ে কীভাবে গণতন্ত্র হত্যাকারী, চরম অসহিষ্ণু মৌলবাদীদের ক্ষমতায় আনতে চায় গণতন্ত্রের ধ্বজাধারী রাষ্ট্র ও মানবাধিকার রক্ষাকারী সংগঠনটি? মার্কিনিদের এই নীতি আমরা দেখেছি কয়েক বছর আগেও। তাদের কাছে যাকে আপসহীন মনে হবে, দেশপ্রেমিক জাতীয়তাবাদী মনে হবে, নিজ দেশের জন্য বিকল্পহীন মনে হবে তাদের নিশ্চিহ্ন করাই কাজ। অনতিদূরের উদাহরণ হলো ইরাকের সাদ্দাম হোসেন, লিবিয়ার গাদ্দাফি। সিরিয়ার আসাদকে টার্গেট করা হয়েছিল রাশিয়ার কড়া সমর্থনের কারণে, সফল হয়নি। তাদের এবারের টার্গেট হচ্ছেন শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুর মতো বাগে আনতে না পেরে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে তারা। এবারো তাদের ফর্মুলা একই। যেমন ইরাক, লিবিয়া, আফগানিস্তান। এ রাষ্ট্রগুলোকে ধ্বংস করার আগে কোনো না কোনো অজুহাত তৈরি করেছিল তারা। তাদের অজুহাত অনেকটা সেই বাঘের মতো। গল্পটি সবারই জানা। নদী থেকে পানি পান করছিল একটি বাঘ। হঠাৎ সে দেখতে পেল, নিচের দিকে একটি হরিণও পানি পান করছে। বাঘ বলল, তোর কেমন সাহস! আমার পানি ঘোলা করলি। হরিণ ভয়ে ভয়ে বলল, হুজুর আমি আপনার পানি কীভাবে ঘোলা করব? আমি তো ভাটিতে, আপনি উজানে। বরং আপনার ঘোলা পানিই আমার দিকে আসছে। তুই করিসনি তাহলে তোর বাপে করেছে বলে হরিণের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ল বাঘ। আসলে বাঘের একটি অজুহাতের দরকার ছিল।

কামরুল হাসান বাদল : কবি ও সাংবাদিক।
[email protected]

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়