হাসপাতালে খালেদা জিয়া

আগের সংবাদ

অপরাধের স্বর্গরাজ্য রোহিঙ্গা ক্যাম্প

পরের সংবাদ

নষ্ট হচ্ছে গ্রামীণ সড়ক : নবাবগঞ্জে অবাধে কৃষি জমির উর্বর মাটি বিক্রি

প্রকাশিত: জুন ১৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সাহিদুল হক খান ডাবলু, নবাবগঞ্জ (ঢাকা) থেকে : ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার নয়নশ্রী ইউনিয়ন। কৃষিভিত্তিক এই ইউনিয়নের শান্তিনগর গ্রামে নির্বিচারে কৃষি জমির মাটি কেটে বিক্রি করছে একটি চিহ্নিত চক্র। স্থানীয়দের অভিযোগ উপজেলা প্রশাসন তথা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের চোখ ফাঁকি দিয়ে ফেরদৌস ফকির নামের স্থানীয় এক প্রভাবশালী ব্যক্তি, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকদের সমন্বয়ে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মাটি বিক্রির জমজমাট ব্যবসা করছেন।
অন্যদিকে ওই এলাকায় কৃষি জমি কাটা মাটি ও টপ সয়েল বিক্রি করার ফলে হুমকি মুখে পড়ছে কৃষিখাদ্য উৎপাদন ব্যবস্থা। এ ছাড়া রাত দিন মাহেন্দ্রযোগে মাটি বহন করে বিভিন্ন স্থানে বিক্রির ফলে নষ্ট হচ্ছে স্থানীয় গ্রামীণ কাঁচাপাকা সড়ক।
জানা যায়, উপজেলার নয়নশ্রী ইউনিয়নের শান্তি নগর এলাকার বিলপল্লী গ্রামের বাসিন্দা ফেরদৌস ফকির কৃষি জমির মাটি ভেকু দিয়ে কেটে করে, মাহেন্দ্রযোগে বহন করেন এবং গ্রামীণ কাঁচাপাকা সড়ক নষ্ট করে বিভিন্ন স্থানে মাটি বিক্রি করেন। ফলে প্রতিনিয়ত স্থানীয় কাঁচা-পাকা সড়কগুলো ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
শান্তিনগর এলাকার গাজী খালেক নামে এক ব্যক্তি বলেন, ফসলি জমির মাটি কেটে এভাবে বিক্রি করা হলে দ্রুত কৃষিজমি হারিয়ে যাবে। তিনি বলেন, একটু বৃষ্টি হলেই কাঁচা সড়ক দিয়ে হাঁটা যায় না। শিক্ষার্থীরা স্কুলে যেতে হিমশিম খাচ্ছে প্রতিনিয়ত। শান্তিনগর গ্রামের আসমা বেগম (৪৫) বলেন, বিলপল্লীর গেন্ধু ফকিরের ছেলে ফেরদৌস ফকির সম্প্রতি রাতদিন ভেকু দিয়ে মাটি কেটে বিক্রি করছে। মাটি বহনকারী মাহেন্দ্র আমাদের রাস্তাঘাট নষ্ট করে দিয়েছে। কিছু বললে তার লোকজন আমাদের লাঠি নিয়ে মারতে আসে।
স্থানীয় ভুক্তভোগী জনসাধারণের দাবি, নয়নশ্রীতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির ইশারায় ও সহযোগীতায় এ মাটি কাটছে ফেরদৌস ফকির ও তার পরিবারের সদস্যরা। দ্রুত ফেরদৌস ফকিরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে অন্যরাও এ মাটি ব্যবসা শুরু করতে পারে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাহিদুজ্জামান বলেন, কৃষি জমির উর্বর মাটি কাটা ঠিক নয়। কৃষি জমির মাটি ও টপ সয়েল বিক্রি করা হলে হুমকির মুখে পড়বে দেশের খাদ্য উৎপাদন ব্যবস্থা। এ বিষয়ে আমাদের সচেতন হতে হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী মো. মতিউর রহমান বলেন, কৃষিজমির মাটি বিক্রি করা যাবে না। মাটি কাটা বন্ধে ইতিপূর্বে অনেক মাটি ব্যবসায়ীকে জেল জরিমানা করেছি। মাটি বিক্রির কাজে ব্যবহার করা ট্রাক ও মাহেন্দ্র আটক করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। গোপনে যারা মাটি বিক্রির ব্যবসা করে তাদের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে উপজেলা প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়