শাহজালালে ১২ কোটি টাকার কোকেনসহ ভারতীয় গ্রেপ্তার

আগের সংবাদ

খুলনায় খালেকের হ্যাটট্রিক, বরিশালে খোকন : খুলনায় শান্তিপূর্ণ ভোট, উপস্থিতি কম > তালুকদার আবদুল খালেক ১,৫৪,৮২৫ ভোট, আবদুল আউয়াল ৬০,০৫৪ ভোট

পরের সংবাদ

অপসারণ চান স্থানীয়রা : নেটপাটায় বাধাগ্রস্ত মরিচ্চাপ নদীর পানি নিষ্কাশন

প্রকাশিত: জুন ১২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

এস কে হাসান, আশাশুনি (সাতক্ষীরা) থেকে : সাতক্ষীরার আশাশুনিতে মরিচ্চাপ নদীতে নেটপাটা বসিয়ে পানি নিষ্কাশনের প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টির অভিযোগ পাওয়া গেছে। অবিলম্বে এসব নেটপাটা অপসরণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, কামালকাটি-কুন্দুড়িয়া মরিচ্চাপ নদীর সেতুর সামনে নদীতে আড়াআড়িভাবে নেটপাটা বসিয়ে মাছ ধরার ফাঁদ পেতেছে বুধহাটা ইউপির মহিলা মেম্বার মমতাজ বেগম। নিজের ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে তিনি এ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। আর তার স্বামী কাছেদ গাজী পার্শ্ববর্তী একই নদীতে স্থানীয় নলিদ দাশকে দিয়ে ফাঁদ (আটন) দিয়ে মাছ আহরণ করছেন। এর কিছু দূরে যেতেই নদীতে দেখা গেল বাইন জাল দিয়ে মাছ ধরছে কুন্দুড়িয়া গ্রামের সুজয়, উজ্জ্বল ও পেচু সরদার। এছাড়া বাঁকড়া সেতুর একই অবস্থা দেখা গেছে। সেখানে ও নেটপাটা দিয়ে মাছ আহরণ অব্যাহত রয়েছে। এভাবেই গায়ের জোরে নদীতে চলছে মাছ ধরার মহোৎসব। স্থানীয়রা জানান, নদীতে জোরপূর্বক নেটপাটা দেয়ার ফলে কোনো নৌকা নদীতে চলাচল করতে পারছে না। প্রতিবাদ করতে গেলে মামলা দিয়ে ফাঁসিয়ে দেয়ার হুমকি দেয়া হয় বলে জানান তারা। নদী থেকে মৎস্য আহরণকারী উজ্জ্বল সাধু বলেন, কোনটা বৈধ কোনটা অবৈধ এটা জানি না আমরা। সংসারে অভাব, তাই নদীতে মাছ ধরে সংসার চালাই।
ইউপি সদস্য মমতাজ বেগম বলেন, নেটপাটা নয়, জাল দেয়া আছে সেখানে। আমরা মাছ ধরার জন্য সন্ধ্যার পর নেটপাটা ও আটন বসিয়ে মাছ ধরি। তবে সকালেই আবার সব তুলে রাখি। আশাশুনি উপজেলা মৎস্য অফিসার সত্যজিৎ মজুমদার বলেন, ইতিপূর্বে নদীতে অভিযান চালিয়ে অবৈধ নেটপাটা অপসারণ করা হয়েছে। মরিচ্চাপ নদীতে অবৈধ নেটপাটার বিষয়টি আমরা শুনেছি। দ্রুত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়