পেঁয়াজ-সবজির দামে স্বস্তি, মাছ চড়া

আগের সংবাদ

ভোটের জন্য প্রস্তুত খুলনা কার ভাগ্যে ছিঁড়বে শিকে

পরের সংবাদ

সামাজিক বনায়নের বাহানায় বেদখল বনের জমি

প্রকাশিত: জুন ১১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

শেরপুর প্রতিনিধি : শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার গারো পাহাড়ে সামাজিক বন সৃজনের অজুহাতে বেদখল হয়ে যাচ্ছে বনের জমি। জানা গেছে, স্থানীয় প্রভাবশালীও কথিত বনের অংশীদাররা বন কর্মকর্তাদের যোগসাজশেই বনের জমি দখল করে অবৈধভাবে চাষাবাদ করে আসছে। বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে, এককালে যেখানে গভীর অরণ্য ছিল। এখন সেখানে বাড়িঘর গড়ে উঠেছে। গভীর অরণ্য এখন জনবসতি। শত শত একর বনের জমিতে এখন পুরোদমে চাষাবাদ হচ্ছে। নতুন করে সামাজিক বন সৃজনের অর্থ বরাদ্দ না থাকলেও বন কর্মকর্তাদের যোগসাজশেই স্থানীয় প্রভাবশালীরা নিজের অর্থে বন সৃজন করে পাহাড়ি জমি দখল করে নিচ্ছে। অনেকেই আবার গড়ে তুলছেন বিভিন্ন ফলের বাগান।
সরজমিনে অনুসন্ধানে গিয়ে দেখা গেছে, রাংটিয়া ফরেস্ট বিট অফিসের পেছনে ও আশপাশে, গজনী বিট এলাকার নকশী, গান্দিগাঁও, বহেড়া তলা, দরবেশ তলা, হালচাটি মালিটিলা, বাকাকুড়া, নয়াপাড়া, পানবর, তাওয়াকোচা, গুরুচরণদুধনইসহ বিভিন্ন স্থানে বনের জমি বেদখলের প্রতিযোগিতায় মেতে উঠেছে প্রভাবশালীরা। গড়ে উঠেছে শত শত বাড়িঘর। সামাজিক বনের অংশীদাররা বন সৃজন ও বন পাহারার অজুহাতে বন কর্মকর্তাদের যোগসাজশে এসব অবৈধ বাড়িঘর গড়ে তোলা হচ্ছে। বাকাকুড়া ও গান্দিগাঁও এলাকার বনের জমি প্রায় পুরোপুরি বেদখল হয়ে গেছে। গত চার পাঁচ বছরের মধ্যে পশ্চিম বাকাকুড়ায় বনের জমিতে নয়াপাড়া নামে নতুন একটি গ্রামের আবির্ভাব হয়েছে। এখানে সামাজিক বনায়ন সৃজনের অজুহাতে বনের জমি বেদখল করে নিয়েছে দখলদাররা। ফলে দিনে দিনে সংকুচিত হয়ে আসছে বনের জমি। বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ঝিনাইগাতী উপজেলার রাংটিয়া ফরেস্ট রেঞ্জের আওতায় বনের জমি রয়েছে ৮৮০২.৮১ একর। এর মধ্যে বেদখল দেখানো হয়েছে ১৪২৬.৫ একর। কিন্তু বাস্তবে বেদখলের পরিমাণ হবে দিগুণ। এসব বেদখলীয় জমি উদ্ধারের বিষয়ে আদালতে মামলাও দেয়া হয়েছে। কিন্তু বনের জমি উদ্ধার হয়নি। বর্তমানেও বনের জমি দখল প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। গত কয়েকদিন আগে নয়াপাড়ায় সামাজিক বনের গাছসহ ২০ শতাংশ জমি ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়। সাইফুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি ওই জমি ক্রয় করে ঘর নির্মাণ করে বলে অভিযোগ রয়েছে। আবার কেউ কেউ আখ চাষ করে দখল করে নিয়েছে বনের জমি, বাকাকুড়া গ্রামের সাইফুল ইসলাম, বাবু ও মুসাসহ আরো অনেকেই বনের প্রায় ২০ একর জমি দখল করে আখ চাষ ও বৃক্ষরোপণ করেছে। অসাধু বন কর্মকর্তাদের যোগসাজশেই বেদখল হচ্ছে বনের জমি। দেখার কেউ নেই। উদ্ধারের বিষয়ে নেই কোনো তৎপরতা।
এ ব্যাপারে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে রাংটিয়া ফরেস্ট রেঞ্জের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মকরুল ইসলাম আকন্দ ও শেরপুরের সহকারী বন সংরক্ষক আবু ইউসুফের সঙ্গে এ বিষয়ে জানতে ফোন দেয়া হলে তারা ফোন ধরেননি। ময়মনসিংহ বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আ ন ম আব্দুল ওয়াদুদ এ বিষয়ে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যে শেরপুরের সহকারী বন সংরক্ষক আবু ইউসুফকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানান।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়