পেঁয়াজ-সবজির দামে স্বস্তি, মাছ চড়া

আগের সংবাদ

ভোটের জন্য প্রস্তুত খুলনা কার ভাগ্যে ছিঁড়বে শিকে

পরের সংবাদ

মধ্যপাড়া পাথরখনি : সময়মতো বিল না পাওয়ায় শ্রমিকদের অভিনব প্রতিবাদ

প্রকাশিত: জুন ১১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মোস্তাফিজুর রহমান বকুল, পার্বতীপুর (দিনাজপুর) থেকে : দিনাজপুরের পার্বতীপুরের মধ্যপাড়া খনিতে রেকর্ড পরিমাণ পাথর উৎপাদন করেও সময়মতো বিল পাচ্ছে না ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জিটিসি। গত মে মাসে রেকর্ড পরিমাণ ১ লাখ ৩৮ হাজার টন পাথর উত্তোলন করা হয়েছে। এর আগে কখনই এক মাসে এত বিপুল পরিমাণ পাথর উত্তোলন করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু বিগত দুই মাস ধরে উৎপাদন বিল না পাওয়ায় ৭০ জন বিদেশি খনি বিশেষজ্ঞ-প্রকৌশলীসহ সাত শতাধিক দেশি খনি শ্রমিক-কর্মচারীর বেতনভাতা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে জিটিসিকে।
এ অবস্থায় সময়মতো বিল পরিশোধের দাবিতে জিটিসির অধীনে কর্মরত খনি শ্রমিকরা দোয়া মাহফিলের মাধ্যমে এক অভিনব প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছে। গতকাল শনিবার বেলা ৩টার দিকে মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের (এমজিএমসিএল) প্রধান কার্যালয়ের সামনের চত্বরে ব্যানার টানিয়ে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে জিটিসির উপমহাব্যবস্থাপক মো. জাহিদ হোসেন, ব্যবস্থাপক মোকসেদুল সরকার মুকুলসহ সাত শতাধিক খনি শ্রমিক-কর্মচারী অংশ নেন। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ধর্মবিষয়ক উপকমিটির সভাপতি ইসলামী চিন্তাবিদ খন্দকার গোলাম মওলা নকশেবন্দী ও আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সম্পাদক মাওলানা মো. খলিলুর রহমান সরকার।
এ সময় শ্রমিকরা অভিযোগ করে বলেন, খনি কর্তৃপক্ষ নগদ টাকায় পাথর বিক্রি করছে অথচ পাথর উত্তোলন বিল পরিশোধ করছে না। এতে করে খনির ভূগর্ভে স্টোপ উন্নয়ন ও কয়লা উত্তোলন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। একটি চক্র এমজিএমসিএলে পাথর উত্তোলন বন্ধ করতে নানা ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। খনির উন্নয়ন এবং উৎপাদনবিরোধী ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেন শ্রমিকরা।
এদিকে এমজিএমসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আবু দাউদ মো. ফরিদুজ্জামান গতকাল মোবাইল ফোনে ভোরের কাগজকে জানান, পাথর বিক্রি না হওয়ায় ঠিকাদারের বিল সময়মতো দেয়া যাচ্ছে না।
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে মধ্যপাড়া খনি বাণিজ্যিক উৎপাদনে যায়। এরপর থেকে নানা প্রতিকূলতায় প্রতিদিন তিন শিফটে ৫ হাজার টন লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে অর্ধেক পাথরও উত্তোলন করতে পারেনি পেট্রোবাংলা। ফলে ২০১৩ সালের জুন পর্যন্ত ৬ বছরে খনিটি লোকসান দিয়েছে প্রায় শত কোটি টাকা। এ অবস্থায় ২০১৪ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি ৬ বছরের জন্য খনির উৎপাদন ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দেয়া হয় জার্মানিয়া ট্রেস্ট কনসোর্টিয়ামকে (জিটিসি)। এই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের হাত ধরে ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে প্রথমবার লাভের মুখ দেখে খনিটি। পূর্ণমাত্রায় পাথর উৎপাদন করায় টানা চার অর্থবছর মুনাফা অব্যাহত আছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়