পেঁয়াজ-সবজির দামে স্বস্তি, মাছ চড়া

আগের সংবাদ

ভোটের জন্য প্রস্তুত খুলনা কার ভাগ্যে ছিঁড়বে শিকে

পরের সংবাদ

পিলার ও দেয়ালে ফাটল : ধর্মপাশায় ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম চলে বারান্দায়

প্রকাশিত: জুন ১১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মো. সাজ্জাদ হোসেন শাহ্/জুবায়ের পাশা হিমু, সুনামগঞ্জ ও ধর্মপাশা থেকে : উদ্বোধনের সাত বছর যেতে না যেতেই সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) কমপ্লেক্স ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ভবনটির ১৪টি কক্ষের মধ্যে ৮টি কক্ষের মেঝে ধসে গেছে। কক্ষের পিলার ও দেয়ালে দেখা দিয়েছে ফাটল। ফলে এক বছর ধরে ইউপি ভবনের বারান্দায় সভা, সালিশ করার পাশাপাশি দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ধর্মপাশা উপজেলা কার্যালয় ও ইউপি সূত্রে জানা যায়, এলজিইডির অধীনে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ইউপির দোতলা ভবনটি নির্মাণ করা হয়। ৯৩ লাখ টাকা ব্যয়ে মেসার্স আনোয়ারা এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নির্মাণকাজ সম্পন্ন করে। ২০১৬ সালের ২ সেপ্টেম্বর ভবনটি উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনের চার বছরের মধ্যেই ভবনটির কক্ষের পিলার ও দেয়ালে দেখা দেয় ফাটল। কিছুদিন পর পরিষদ ভবন মিলনায়তনসহ ১৪টি কক্ষের মধ্যে ৮টি কক্ষের মেঝের একাংশ ধসে যায়। এ ভবনের চারটি শৌচাগারই ব্যবহারের অনুপযোগী। এছাড়াও ভবনের কয়েকটি দরজা-জানালাও ভেঙে গেছে। ইউপি সূত্র আরো জানায়, গত বছরের বৈশাখ মাসে প্রবল ঝড় ও বজ্রপাতে ভবনে থাকা আইপিএস ও সোলার প্যানেলটি নষ্ট হয়ে যায়। বর্ষাকালে বন্যার কবল থেকে রক্ষা পেতে ভবনটির চারপাশে ইউপির উদ্যোগে বাঁশ ও বালির বস্তা দিয়ে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা করা হয়। তবে ভয়াবহ বন্যা হওয়ায় ভবনটির ব্যাপক ক্ষতি হয়।
ইউপি চেয়ারম্যান মোকাররম হোসেন বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবনটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় রয়েছে। ভবনের নিচের মাটি সরে যাওয়ায় ১৪টি কক্ষের মধ্যে ৮টি কক্ষের মেঝে ধসে গেছে। নানা স্থানে দেখা দিয়েছে ফাটল। তাই তিনি কক্ষগুলো ব্যবহার করতে পারছেন না। চারটি শৌচাগারই ব্যবহারের অনুপযোগী। কয়েকটি দরজা-জানালাও ভেঙে গেছে। ঝুঁকি এড়াতে ভবনটির বারান্দায় এক বছর ধরে ইউপির দাপ্তরিক কার্যক্রম, সভা, সালিশ বৈঠক করা হচ্ছে। বৃষ্টি হলে বারান্দার ছাদ দিয়ে চুইয়ে পানি পড়ে। এ সময় সেখানেও আর বসা যায় না। উপজেলা প্রকৌশলী শাহাবউদ্দিন বলেন, খোঁজ নিয়ে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ইউএনও শীতেষ চন্দ্র সরকার বলেন, ইউপি চেয়ারম্যানকে ভবনের কী কী সমস্যা আছে, এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছি। প্রতিবেদন পাওয়ার পর এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রতিবেদনটি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়