তারেক-জোবায়দার বিরুদ্ধে আরো তিন ব্যাংকারের সাক্ষ্য

আগের সংবাদ

বিপাকে রোহিঙ্গারা, বিপাকে বাংলাদেশ : ভূ-রাজনীতির গ্যাঁড়াকলে কমল খাদ্য সহায়তা > এক বেলা খাবারের জন্য মাথাপিছু বরাদ্দ কমে ৯ টাকা

পরের সংবাদ

সব নাগরিকের মতামতের ভিত্তিতে চলবে নগরভবন : খুলনায় তালুকদার খালেক

প্রকাশিত: জুন ১০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বাবুল আকতার, খুলনা থেকে : বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেছেন, নৌকায় ভোট দিন। শেখ হাসিনা আপনাদের স্মার্ট খুলনা উপহার দেবে। আগামী প্রজন্মের জন্য খুলনা হবে স্মার্ট নগরী। যে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি খুলনার উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে অর্থায়ন করছেন। যে কারণে তিনি খুলনায় মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ডেন্টাল কলেজ, ক্যান্সার ইনস্টিটিউট, শেখ রাসেল আইটি পার্কসহ অসংখ্য উন্নয়ন করেছেন। আগামীতেও এই খুলনায় যুব সমাজের জন্য আত্মকর্মসংস্থানের জন্য বিনিয়োগ করবেন। যা ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর পরিকল্পনায় নেয়া হয়েছে। আপনারা খুলনার উন্নয়নের স্বার্থে নৌকায় ভোট দিন। খুলনাকে সমৃদ্ধ করুন।
গতকাল শুক্রবার নগরীর ৪নং ওয়ার্ডসহ বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ ও পথসভায় মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- নুর ইসলাম বন্দ, মো. আশরাফুল ইসলাম, মো. মোজাম্মেল হক হাওলাদার, শেখ সৈয়দ আলী, শহিদুল ইসলাম বন্দ, শেখ মাহবুবুর রহমান, শেখ ওহিদুজ্জামান, মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ, বাচ্চু মোড়ল, সোহেল বিশ্বাস, মোড়ল মেহেদী হাসান, আব্দুল হালিম, মো. জিহাদ শেখসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও মেয়র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, ন্যায় বিচারের স্বার্থে নগরীতে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত করা হবে। কোনো নাগরিক যেন তার ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত না হয় সে দিকে বিশেষ নজর রাখা হবে। সে জন্য সব নাগরিকের মতামতের ভিত্তিতে নগরভবন চলবে। এখানে কোনো অপশক্তিকে প্রশ্রয় অতীতে দেয়া হয়নি ভবিষ্যতেও দেয়া হবে না। তিনি আরো বলেন, একটি সময় ছিল খুলনা সন্ত্রাস ও মৃত্যুর নগরী। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসার পর রাজনৈতিকভাবে সন্ত্রাস বন্ধ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে খুলনায়ও আমরা রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করে সন্ত্রাস বন্ধ করেছি। ইনশাল্লাহ আপনাদের ভোটে পুনরায় মেয়র নির্বাচিত হলে খুলনায় সর্ব সাধারণের ন্যায় বিচারের স্বার্থে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করব। গতকাল ১৪ ও ১৬নং ওয়ার্ডের রায়ের মহল, ১৭নং ওয়ার্ডের বায়তুন নুর জামে মসজিদ মার্কেট এবং মসজিদে জুম্মার নামাজ আদায়, ২০নং ওয়ার্ডের শেখপাড়া বাজার, বিকালে ৩০নং ওয়ার্ডে, সন্ধ্যায় ৩১নং ওয়ার্ডে বান্দাবাজার গণসংযোগ, পথসভা এবং নারী কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগ নেতা এডভোকেট আইয়ুব আলী খান, কামরুল ইসলাম

বাবলু, তসলিম আহমেদ আশা, কাউন্সিলর গাউসুল আজম, শেখ আবিদ উল্লাহ, চ ম মুজিবর রহমান, নুর ইসলাম, শেখ হাসান ইফতেখার চালু, মীর মো. লিটন, ইউসুফ আলী খান, জাহাঙ্গীর আলী মন্টু, বাদশা হাওলাদার, এডভোকেট আল আমিন উকিল, মো. জসিম উদ্দিন, শামীমুর রহমান শামীমসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত হাতপাখার মেয়র প্রার্থী হাফেজ মাওলানা আব্দুল আউয়াল বলেন, খুলনার মাটি ও মানুষ আমার প্রাণের সঙ্গে মিশে আছে। আমি অতিথি পাখির মতো হঠাৎ আসিনি। সর্বদা আমি আপনাদের পাশেই আছি। খুলনাবাসীর সুখ-দুঃখে সাধ্যানুযায়ী পাশে ছিলাম এবং আছি। করোনাকালীন সময় হলো তার দৃষ্টান্ত। আমরা করোনাকালীন সময়ে মানুষের দ্বারে দ্বারে ছুটে গেছি, করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য ‘আল-কারীম অক্সিজেন সেবা’ গঠন করে অক্সিজেন সেবা দিয়েছি, মৃত ব্যক্তির লাশ গোসল ও দাফনের ব্যবস্থা করেছি। এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক কাজের মাধ্যমে জনগনের মাঝে মিলেমিশে কাজ করেছি। তাই খুলনার সর্বসাধারণের প্রতি আমার দাবি আছে। সেই দাবি থেকে খুলনাবাসীর কাছে আমি একবার পরিবর্তনের অনুরোধ করছি। আমাকে হাতপাখা প্রতীকে বিজয়ী করে আপনাদের প্রতিনিধি হিসেবে ইসলাম, দেশ ও মানবতার পক্ষে কাজ করার সুযোগ করে দিন।
শুক্রবার সকাল থেকে নগরীর গল্লামারী, হঠাৎবাজার, জোড়াকল বাজার, নতুন রাস্তা, নয়াবাটি, ক্রিসেন্ট গেট, আলমনগর, হাউজিং বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ ও পথসভায় তিনি এ কথা বলেন।
পথসভায় বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য আল্লামা নুরুল হুদা ফয়েজী, সাংগঠনিক স¤পাদক কে এম আতিকুর রহমান, মুহা. জান্নাতুল ইসলাম, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান , এইচ এম সাইফুল ইসলাম, ইসলামী আইনজীবী পরিষদের সেক্রেটারি জেনারেল এডভোকেট মুহা. মশিউর রহমান, জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল এডভোকেট মো. হানিফ মিয়া, প্রচার ও প্রকাশনা স¤পাদক এডভোকেট মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগর এর কেসিসি নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান পরিচালক মো. নাসির উদ্দিন, সহকারী পরিচালক মুফতি আমানুল্লাহ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা জেলা সভাপতি মাওলানা আব্দুল্লাহ ইমরান, সমন্বয়কারী মুফতি ইমরান হুসাইন,সহ- সমন্বয়কারী হাফেজ আসাদুল্লাহ গালীব, নির্বাচনী প্রধান এজেন্ট শেখ হাসান ওবায়দুল করিম, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় উপস¤পাদক মুফতি আমিরুল ইসলাম, অর্থ সমন্বয়কারী আবু গালিব, সহ-সম্বয়নকারী রবিউল ইসলাম তুষার, ফেরদৌস গাজী সুমন, গণসংযোগ সমন্বয়কারী মো. সাইফুল ইসলাম, সহ-গণসংযোগ সমন্বয়কারী মুহ. মঈন উদ্দিন, মিডিয়া সমন্বয়কারী আব্দুল্লাহ আল নোমান, মিডিয়া সমন্বয়ক আব্দুল্লাহ আল-মামুন, এম এ সাদী, মোস্তফা আল গালীব, হাবিবুল্লাহ মিসবাহসহ থানা ও ওয়ার্ড নেতারা।
জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম মধু বলেছেন, মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে আবারো ভোট কারচুপির পরিকল্পনা করা হচ্ছে। জনগণকে সঙ্গে নিয়েই তাদের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে। গতকাল সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচারণায় বিভিন্ন এলাকায় পথসভায় বক্তৃতাকালে তিনি এ সব কথা বলেন। মধু বলেন, খুলনায় উন্নয়নের নামে নগরবাসীর সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। মানুষ সেবা না পেয়ে এই ৫ বছর শুধু ভোগান্তির মধ্যেই পড়েছে। এই প্রতারণার হাত থেকে নগরবাসীকে রক্ষা করতে হলে লাঙ্গল প্রতীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করার জন্য ভোটারদের প্রতি অনুরোধ জানান জাতীয় পার্টির প্রার্থী মধু। সকাল ১০টা থেকে রাত পর্যন্ত খুলনা নগরীর সোনাডাঙ্গা ও জিন্নাপাড়া, বউবাজার, মহির বাড়ি খালপাড়সহ ৩১নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ ও পথসভা করেন তিনি।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- কেন্দ্রীয় ধর্মবিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আল জুবায়ের, নগর জাতীয় পার্টির সভাপতি এডভেভাকেট মহানন্দ সরকার, নগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন ও জেলার সাধারণ সম্পাদক এম হাদিউজ্জামান, শেখ মো. নাজমুল কবির সাদী, গাউছুল আজম, আশফাকুল ইসলাম সেলিম, তৌমুর হোসেন শাহিন প্রমুখ।
অন্যদিকে খুলনা সিটি করপোরেশ নির্বাচনে টেবিল ঘড়ি প্রতীকের স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী এস এম শফিকুর রহমান মুশফিক বলেছেন, আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির নির্বাচনী ইশতেহার খুলনাবাসী প্রত্যাখ্যান করেছে। তিনি বলেন, সদ্য বিদায়ী মেয়র তার নির্বাচনী ইশতেহারে খুলনাবাসীকে নতুন কোনো দিকনির্দেশনা দিতে পারেননি। তিনি তার অতীতের ইশতেহার বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয়েছেন। গত ৫ বছর উন্নয়নের নামে জনভোগান্তিই ছিল নগরবাসীর দুর্ভোগের অন্যতম কারণ। অপর দিকে আশ্রিত বিরোধী দল জাতীয় পার্টির প্রার্থীও ইশতেহারের নামে কৌতুক সৃষ্টি করেছেন। যা খুলনাবাসী প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি খুলনাকে বাঁচানোর আহ্বান জানিয়ে ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে যেয়ে ভোট প্রদানের আহ্বান জানান। একই সঙ্গে তিনি বলেন, আমাকে সুযোগ দিন আমি বদলে দেব। তিনি বলেন, এবার খুলনাবাসী তাদের প্রতিবাদের প্রতীক টেবিল ঘড়ি বেছে নেবে।
জাকের পার্টির প্রার্থী এস এম সাব্বির হোসেন সকাল থেকে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ ও পথাসভা করেন। এ সময় তিনি গোলাপফুল প্রতীকে ভোট চান।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়