কাগজ প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা ফুটবল। প্রতিযোগিতার মধ্য থেকে উৎকর্ষ সাধন হবে। এখান থেকে একসময় আমরা আন্তর্জাতিক পর্যায়েও বিশ্বকাপ খেলতে পারব। হয়তো একদিন বিশ্বকাপ জিততেও পারব। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে ‘শেখ হাসিনা আন্তঃব্যাংক ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৩’ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সমাপনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বাব) এর চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার প্রমুখ।
প্রথমবারের মতো আয়োজিত এই আসরে আল-আরাফাহ ব্যাংককে ২-১ গোলে হারিয়ে শিরোপা জয় করে ইউনিয়ন ব্যাংক। প্রধানমন্ত্রী বিজয়ী এবং রানার্সআপ দলের মধ্যে ট্রফি ও পুরস্কার তুলে দেন। ৩৪টি ব্যাংকের অংশগ্রহণে গত ১৩ মে ‘শেখ হাসিনা আন্তঃব্যাংক ফুটবল টুর্নামেন্ট’ শুরু হয়। আর্মি স্টেডিয়ামে ফাইনালে তিন মিনিটের মাথায় গোল করে এগিয়ে যায় ইউনিয়ন ব্যাংক। ১৫ মিনিটের মাথায় আরো এক গোল করে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে প্রথমার্ধ শেষ করে ইউনিয়ন ব্যাংক। দ্বিতীয়ার্ধে একটি গোল শোধ করলে পুরো সময় শেষে ২-১ গোলে জয় পায় ইউনিয়ন ব্যাংক। মাঠে উপস্থিত থেকে এই খেলা উপভোগ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সরকারপ্রধান বলেন, খেলাধুলা, শরীরচর্চা, সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে মানুষের যেমন মেধা বিকশিত হয়, ঠিক সেভাবে দেশের মানুষ উজ্জীবিত হয়, আত্মবিশ্বাস বাড়ে, দেশের প্রতি ভালোবাসা বাড়ে, দায়িত্ববোধ বাড়ে, কর্তব্যবোধ বাড়ে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা, শরীরচর্চা, সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের সঙ্গে শিশুকিশোরদের সম্পৃক্ত রাখতে চাই। আমি চাই, বাংলাদেশ সব দিক থেকেই বিশ্বে সেরা হবে। খেলাধুলা, অর্থনৈতিক উন্নতি, সব দিক থেকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে মর্যাদা নিয়ে চলবে। আত্মমর্যাদা নিয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে যেতে হবে।
ফুটবলের সঙ্গে পারিবারিক সম্পর্কের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ফুটবলের সঙ্গে আমার পারিবারিক সম্পর্ক। আমার বাবা ফুটবল খেলতেন, আমার দাদা ফুটবল খেলোয়াড় ছিলেন। এমনকি, আমাদের নাতিপুতিরাও ফুটবল খেলে। সেদিক থেকে ফুটবলের সঙ্গে আমাদের অন্যরকম সম্পর্ক রয়েছে। তার থেকে বড় কথা, সারা বাংলাদেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা ফুটবল।
বাংলাদেশ আর্মি স্পোর্টস কন্ট্রোল বোর্ডের সহযোগিতায় ফুটবল আসর আয়োজন করায় বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (এবিবি) এর প্রশংসা করে তিনি বলেন, এ আয়োজন সারাদেশে একটা অভূতপূর্ব সাড়া জাগিয়েছে। এ আয়োজন যেন এখানেই থেমে না যায়। আমাদের দেশে অনেক খেলা আছে। সে খেলাগুলোও যেন আস্তে আস্তে যুক্ত করে এ ধরনের প্রতিযোগিতা যেন আরো চলতে পারে।
তিনি বলেন, প্রতিযোগিতার মধ্য থেকে উৎকর্ষ সাধন হবে। আর এখান থেকে আমরা আন্তর্জাতিক পর্যায়েও একসময় বিশ্বকাপ খেলতে পারব। হয়তো বিশ্বকাপ একদিন জিততেও পারব।
এবিবিকে একটি স্টেডিয়াম করে দেয়ার প্রতিশ্রæতি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ব্যাংক অ্যাসোসিয়েশন আমার কাছে দাবি করেছে একটি স্টেডিয়াম, অবশ্যই একটি স্টেডিয়াম করে দেবো। পূর্বাচলে একটি ক্রিকেট স্টেডিয়াম হচ্ছে, তার কাছে আরেকটা ফুটবল স্টেডিয়ামসহ আমাদের স্পোর্টসের জন্য যেন একটি স্টেডিয়াম হয়, সেই ব্যবস্থা আমরা করে দেবো।
বৃষ্টির জন্য শুকরিয়া আদায় করে শেখ হাসিনা বলেন, এ বৃষ্টি যেন আমাদের জন্য একটা শান্তির বারতা নিয়ে এসেছে। আমি জানি, আমাদের কিছুটা অসুবিধা হচ্ছে, আমি জানি আমাদের এ অসুবিধা থাকবে না।