কাগজ প্রতিবেদক : সারাদেশে বৃষ্টি হয়েছে। তাপমাত্রা কিছুটা কমেছে। আজ তাপমাত্রা আরো কমতে পারে, এমন আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেই সঙ্গে তাপপ্রবাহের আওতাও কমেছে।
রাজধানীর আকাশ গতকাল সকাল থেকেই ছিল মেঘে ঢাকা। ৯টায় বিভিন্ন স্থানে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। দিন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টি বেড়েছে। তবে গরমের তাপ তেমন কমেনি। অস্বস্তি যেন আরো বেড়ে গেছে।
সকাল ১০টায় পল্টন মোড়ে কথা হয় রিকশাচালক আবুল হোসেনের (৪৩) সঙ্গে। তিনি ভোরের কাগজকে বলেন, অল্প একটু বৃষ্টিতে তাপ যাবে না। এটা আরো গরম বাড়িয়ে দিয়েছে। বাতাসে গরম হাওয়া বের হচ্ছে। একটুখানি বৃষ্টির পর আরো ঘেমে যাচ্ছি।
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত রংপুর ও রাজশাহী বিভাগ ছাড়া সব বিভাগেই বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির প্রবণতা বেশি ছিল চট্টগ্রাম বিভাগে। পুরো চট্টগ্রামজুড়েই বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির পরিমাণ কম থাকলেও পুরো বরিশালে বৃষ্টি হয়েছে।
ভালো খবর হলো, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু এরইমধ্যে টেকনাফ উপকূলে এসে পৌঁছেছে। আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, আজ শুক্রবার সন্ধ্যার মধ্যে তা কক্সবাজার উপকূল পর্যন্ত এগিয়ে আসতে পারে। এদিকে পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়, চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গায়, ময়মনসিংহ, সিলেট, খুলনা ও ঢাকা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে। এ সময়ে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। রাজশাহী, নওগাঁ, সিরাজগঞ্জ, নেত্রকোনা ও সিলেট জেলাসহ রংপুর বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অব্যাহত থাকতে পারে।
আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক জানান, আগামী দুদিনে মৌসুমী বায়ু চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগ পর্যন্ত অগ্রসর হতে পারে। আগামী ৫ দিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে।
গত ২৮ মে থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। গতকাল রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, দিনাজপুর, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে। এর কারণ হিসেবে আবহাওয়াবিদরা বলছেন, দেশে সাধারণত মে মাসের শেষে মৌসুমি বায়ু প্রবেশ করে। টেকনাফ, চট্টগ্রাম, সিলেট হয়ে ধীরে ধীরে পুরো দেশে বিস্তৃত হয়। গত কয়েক বছরে এটি আসছে দেরিতে। ফলে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এই তাপপ্রবাহ আগামী ১৪ জুন পর্যন্ত বয়ে যেতে পারে।