গণতন্ত্র মঞ্চের হুঁশিয়ারি : সমাবেশে বাধা দিলে পরিণতি ভালো হবে না

আগের সংবাদ

পাহাড় কাটার হিড়িক, দুই ফসলি জমির টপ সয়েল যাচ্ছে ভাটায়

পরের সংবাদ

শাহজাদপুরে যমুনার ভাঙনে অর্ধশত বাড়ি নদীগর্ভে : অদূরে বালু উত্তোলন, বস্তা ফেলার কাজে ধীরগতি

প্রকাশিত: জুন ৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বদরুল আলম দুলাল, সিরাজগঞ্জ থেকে : সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার খুকনি ইউনিয়নের ব্রাহ্মণগ্রাম থেকে আরকান্দি পর্যন্ত যমুনা নদীর প্রায় ১ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে গত ২ সপ্তাহ ধরে ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। এই ভাঙনে এ পর্যন্ত অর্ধশতাধিক বাড়িঘর ও বহু গাছপালা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এ ভাঙনের তাণ্ডবের গৃহহারা হয়ে শত শত মানুষ অন্যত্র চলে গেছে। অনেকে খোলা জায়গায় ঝুপড়ি ঘর তুলে মানবেতর বসবাস করছেন।
কয়েকদিন ধরে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড এ ভাঙন এলাকায় বালুর বস্তা ফেলার কাজ শুরু করেছে। কিন্তু ঠিকাদারের লোকজন ধীরগতিতে কাজ করায় তা কোনো কাজে আসছে না। যেসব স্থানে বস্তা ফেলা হচ্ছে দুই দিন না যেতেই সেখানে আবার ভাঙন দেখা দিচ্ছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, ভাঙন এলাকার ৫০-১০০ গজ দূরে ড্রেজার দিয়ে বালু তোলা হচ্ছে। ফলে বস্তা ফেলার কয়েকদিন না যেতেই ওই এলাকায় ভাঙন দেখা দিচ্ছে। এতে সরকারের কোটি কোটি টাকা গচ্ছা গেলেও ভাঙন রোধ হচ্ছে না।
ব্রাহ্মণগ্রামের নাজমা খাতুন আব্দুল কাদের, ইয়াহিয়া, জহুরুল ইসলাম, এমদাদুল হক মিলন, আরকান্দি গ্রামের মেহেদী হাসান, হালিমা খাতুন ও রেমান সরকার বলেন, শুষ্ক মৌসুমে বস্তা ফেলার কাজ না করে পানি বৃদ্ধি শুরু হলে যখন ব্যাপক ভাঙ্গন শুরু হয়েছে, তখন ঠিকাদারের লোকজন ধীরগতিতে ২-৪ নৌকা বস্তা ফেলে চলে যায়। ২-৩ দিন না যেতেই তা আবার ভেঙ্গে যমুনায় বিলিন হয়ে যায়। ফলে এ বস্তা ফেলা কোনো কাজেই আসছে না।
অপরদিকে ঠিকাদারকে বালু সরবরাহের নামে এলাকার প্রভাবশালীরা প্রতিদিন ১৫-২০টি ট্রলারে করে বালু বিক্রি করায় এ ভাঙনের তান্ডব আরও ব্যাপক আকার ধারণ করেছে।
বালু সরবরাহকারী খোরশেদ আলম, জয়নাল সরকার ও ফজলু ব্যাপারী এলাকাবাসির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করে অন্যত্র বিক্রি করা হচ্ছে না। ঠিকাদারের লোকজন বালু তুলে তা বস্তায় ভরে ভাঙ্গন স্থানে ফেলছে। আমরা শুধু তাদের কাজে সহযোগিতা করছি। একটি কুচক্রি মহল ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমাদের নামে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে ঠিকাদার আব্দুর রাজ্জাকের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া আফরিন বলেন, এ ভাঙ্গন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড বস্তা ফেলার কাজ শুরু করেছে। অচিরেই এ সমস্যা আর থাকবে না। ভাঙ্গন এলাকার অদূরে যমুনা নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে বালু তুলে অন্যত্র বিক্রির বিষয়ে শাহজাদপুর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) লিয়াকত সালমান বলেন, এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে খুকনি ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নায়েবকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমানের মোবাইল ফোনে কল করা হলে ফোনটি বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়