গণতন্ত্র মঞ্চের হুঁশিয়ারি : সমাবেশে বাধা দিলে পরিণতি ভালো হবে না

আগের সংবাদ

পাহাড় কাটার হিড়িক, দুই ফসলি জমির টপ সয়েল যাচ্ছে ভাটায়

পরের সংবাদ

পরিবেশ রক্ষার জাতীয় কমিশন গঠনের দাবি : বিশ্ব পরিবেশ দিবসের আলোচনায় বক্তারা

প্রকাশিত: জুন ৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : দেশের ইকো সিস্টেম চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কল-কারখানায় ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট স্থাপন করা হচ্ছে না। সব বর্জ্য নদী, খাল ও জলাশয়ে পড়ার কারণে পরিবেশের ভয়াবহ বিপর্যয় ঘটেছে। তবে সব ক্ষেত্রে সরকারের উদ্যোগের জন্য অপেক্ষা করলে হবে না। এজন্য সিভিল সোসাইটি এবং প্রতিটি সাধারণ নাগরিকদের এগিয়ে আসতে হবে। বিশ্ব পরিবেশ দিবস ২০২৩ উপলক্ষে গতকাল সোমবার এসোসিয়েশন অব ডেভেলপমেন্ট এজেন্সিস ইন বাংলাদেশ (এডাব) আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এসব কথা বলেন। এবারের প্রতিপাদ্য ‘প্লাস্টিক দূষণের সমাধান করি, বাসযোগ্য পরিবেশ গড়ি’।
এডাব চেয়ারপারসন আব্দুল মতিনের সভাপতিত্বে জাতীয় প্রেস ক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে এই গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এডাব-এর কমসূচি পরিচালক কাউসার আলম কনক। বক্তব্য রাখেন- এনজিওবিষয়ক ব্যুরো পরিচালক তপন কুমার বিশ্বাস, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট হাসান হাফিজ, মিডিয়া গবেষক ও লেখক শামীমা চৌধুরী, কোস্ট ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম চৌধুরী, সিনিয়র সাংবাদিক খায়রুজ্জামান কামাল, সিনিয়র সাংবাদিক সালিম সামাদ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, আমাদের সরকার প্লাস্টিকের বিকল্প হিসেবে কিছুই দিতে পারেনি। কয়েক বছর আগে প্লাস্টিকের পরিবর্তে পাটের ব্যাগ দেয়ার কথা বলা হলেও তা পরে আর কার্যকর হয়নি। এটা আমাদের জন্য বড় ব্যর্থতা। প্লাস্টিক সামগ্রীর প্রায় ৮৫ শতাংশই অপচনশীল বর্জ্য। প্লাস্টিকের মাইক্রো অংশগুলো শ্বাস-প্রশ্বাস ও ত্বকের মাধ্যমে প্রাণীদেহে প্রবেশ করে এবং তা জমাকৃত অবস্থায় থেকে ক্ষতি করে। পরিবেশ বিপর্যয় ঠেকাতে আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোর কোনো অঙ্গীকার নেই। একজন শিল্পপতি নদী দখল করে পরিবেশের বিপর্যয় ঘটিয়ে শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলছেন। প্লাস্টিকের পণ্য উৎপাদন করছেন। আমাদের দেশে আইন আছে কিন্তু আইনের প্রয়োগ নেই, বিধি আছে কিন্তু বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হয় না। এদিকে সরকারের নজর দিতে হবে। সংবাদমাধ্যমেও পরিবেশ বিপর্যয়ের খবর গুরুত্ব দিয়ে প্রচার পায় না।
বক্তারা বলেন, প্লাস্টিক পণ্য কী সমস্যা তৈরি করছে তা উপলব্ধি করে সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালানো জরুরি। দেশের পরিবেশের বিপর্যয় ঠেকাতে একটি জাতীয় কমিশন গঠন করা প্রয়োজন। আমরা নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু করতে পারলে পরিবেশ রক্ষার জন্য কেন একটি জাতীয় কমিশন করতে পারব না? পরিবেশ বিপর্যয় ঠেকিয়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর দেশ গড়ে তুলতে সরকারকে বাস্তবতা ও ভবিষ্যৎ চিন্তা করে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে, বিপর্যয় রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।
বক্তার আরো বলেন, উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে অস্বীকার করা যাবে না। তবে সেক্ষেত্রে পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে। উন্নয়নের জন্য যেমন শিল্প স্থাপন করতে হবে তেমনি শিল্পের বর্জ্য ব্যবস্থাপনাও থাকতে হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়