গণতন্ত্র মঞ্চের হুঁশিয়ারি : সমাবেশে বাধা দিলে পরিণতি ভালো হবে না

আগের সংবাদ

পাহাড় কাটার হিড়িক, দুই ফসলি জমির টপ সয়েল যাচ্ছে ভাটায়

পরের সংবাদ

নারী সদস্যরাই ছিল টার্গেট রয়েছে নিজস্ব হেরেমখানা : প্রতারক মনির গ্রেপ্তার

প্রকাশিত: জুন ৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : নারীদের ফাঁদে ফেলে শারীরিক সম্পর্কের গোপন ভিডিও তৈরি করে প্রতারণা করে আসছিলেন মো. মনির হোসাইন (৩৫)। এ কাজের জন্য রাজধানীর বাড্ডায় তিনি বানিয়েছিলেন হেরেমখানাও। লোকচক্ষুর আড়ালে রাখতে সেখানে বাইরে বাঁশের বেড়া ও টিনের ঘর দেখা গেলেও ভেতরে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র (এসি) থেকে শুরু করে ছিল উন্নত শয়নকক্ষ, এটাচড বাথরুম ও ইয়াবা সেবনের ব্যবস্থা। ছিল একাধিক গোপন ক্যামেরা। তা দিয়েই মনির তার অনৈতিক কাজের সব ছবি ও কর্মকাণ্ডের ভিডিও রেকর্ড করে রাখতেন।
পেশায় ব্যাংকার মনির হোসাইন ছিলেন এসএসসি বন্ধন ২০০১ বাংলাদেশ নামে একটি ফেসবুক গ্রুপের মডারেটর। এই গ্রুপের সদস্য সংখ্যা প্রায় ২৭ হাজার। গ্রুপের নারীরাই ছিল তার মূল টার্গেট।
পুলিশের অপরাধ তদন্ত শাখার (সিআইডি) গণমাধ্যম কর্মকর্তা অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএসপি) আজাদ রহমান গতকাল সোমবার এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, সিআইডির সাইবার পুলিশের কাছে একটি অভিযোগ আসে যে, এসএসসি বন্ধন ২০০১ বাংলাদেশ গ্রুপের এক নারী সদস্যকে মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করছেন মনির। এরই ধারাবাহিকতায় তদন্তে অভিযোগের সত্যতা মিললে গত রবিবার রাজধানীর রামপুরা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে বিভিন্ন নারীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের ভিডিও ও ছবিসম্বলিত ২টি মোবাইল ফোন, ৩টি সিম কার্ড, ২টি মেমোরি কার্ড ও ২টি গোপন ক্যামেরা জব্দ করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে তিনি আরো বলেন, এসএসসি বন্ধন ২০০১ বাংলাদেশ গ্রুপের এডমিন হওয়ায় মনির তার টার্গেট করা নারীদের গ্রুপের মডারেটর বানানোর প্রলোভন দেখাতেন।
এরপর ভিডিও কলে কথা বলে সখ্য গড়ে তুলতেন। কোনো নারীকে গ্রুপে আরো ক্ষমতাবান করাসহ নানা সুযোগ-সুবিধা দেয়ার কথা বলে বিভিন্ন স্থানে একসঙ্গে ঘুরে বেড়ানো ও খাওয়া-দাওয়া করে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করতেন। একপর্যায়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে কৌশলে সেই ছবি ও ভিডিও করে রাখতেন। সেই ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে আরো একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কে জড়াতেন।
তিনি আরো বলেন, এ কাজের জন্য রাজধানীর বাড্ডায় মনির বানিয়েছিলেন একটি হেরেমখানা। লোকচক্ষুর আড়ালে রাখতে সেখানে বাইরে বাঁশের বেড়া ও টিনের ঘর দেখা গেলেও ভেতরে এসি থেকে শুরু করে ছিল উন্নত শয়নকক্ষ, এটাচড বাথরুম ও ইয়াবা সেবনের ব্যবস্থা। ছিল একাধিক গোপন ক্যামেরা।
অতিরিক্ত এসএসপি আজাদ রহমান বলেন, মনির তার প্রতারণার ফাঁদে পা দেয়া নারীদের টাকার বিনিমেয়ে ধনাঢ্য লোকদের কাছেও পাঠাত। এ কাজে ২০ হাজার টাকার বেশি নিলেও ভুক্তভোগীরা টাকার ভাগ পেতেন সামান্যই। তবে সিআইডির ফাঁদে তাকে শেষ পর্যন্ত হার মানতে হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়