গণতন্ত্র মঞ্চের হুঁশিয়ারি : সমাবেশে বাধা দিলে পরিণতি ভালো হবে না

আগের সংবাদ

পাহাড় কাটার হিড়িক, দুই ফসলি জমির টপ সয়েল যাচ্ছে ভাটায়

পরের সংবাদ

চরাঞ্চলে কাটামারী শুরু : কাউনিয়ায় ৮১৫ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ

প্রকাশিত: জুন ৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

গৌতম সরকার, কাউনিয়া (রংপুর) : তিস্তা নদীর ভাঙ্গাগড়া খেলার সঙ্গে যুদ্ধ করে টিকে থাকা মানুষ জেগে ওঠা চরে বাদাম চাষ করে বাম্পার ফলন ফলিয়েছে। কাউনিয়া উপজেলার প্রায় প্রতিটি গ্রামে ইতোমধ্যে বাদামের কাটামারী শুরু হয়েছে। চলতি মৌসুমে বাদামের বাম্পার ফলন ও ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকরা বেজায় খুশি।
সরজমিনে উপজেলার তিস্তা নদীবেষ্টিত চরগ্রামসহ বিভিন্ন গ্রামগুলো ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় প্রতিটি গ্রামে বাদামের কাটামারী শুরু হয়েছে। কৃষি বিভাগের সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে বাদাম চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭৩০ হেক্টর, চাষ হয়েছে ৮১৫ হেক্টর জমিতে। চরাঞ্চলে বেশির ভাগ বিনা-৪, বারি ৬-৮-৯ এর চাষ হয়েছে।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাইয়েদুল ইসলাম জানান, তৈল জাতীয় ফসল চাষাবাদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে বেশ কিছু চাষিকে ৩৩ শতাংশ জমির জন্য বীজ সার ও আন্তঃপরিচর্যায় আর্থিক সহযোগিতা ১৫ হাজার টাকা করে কৃষকদের দেয়া হয়েছে। পৌরসভাসহ অন্যান্য ইউনিয়নেও দেয়া হয়েছে।
হারাগাছ চর চতুরা গ্রামের কৃষক আলিফ উদ্দিন কবিরাজ জানান, কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় তিনি ১২ দোন, নুর ইসলাম ১০ দোন, বায়দুল ৪ দোন, মহুবর রহমান ৩ দোন জমিতে বাদাম চাষ করেছে। আলিফ উদ্দিন কবিরাজ ও মহুবর রহমান জানান, লিজ, বীজ, কর্তন শুকানোসহ একদোন জমিতে তাদের খরচ হয়েছে ১১ থেকে ১২ হাজার টাকা। প্রতি দোনে ফলন হয়েছে ৭ থেকে সাড়ে ৭ মণ। বর্তমান বাদাম প্রতিমন বিক্রি হয়েছে ৪৫ হাজার থেকে ৪৮ হাজার টাকা। চলতি মৌসুমে বাদাম চাষিরা অধিক লাভের আশা করছেন।
বালাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আনছার আলী ও মধুপুর ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদুল ইসলাম জানান, ইউনিয়ন দুটি তিস্তা নদীবেষ্টিত। ফলে বেশিরভাগ এলাকা নদীগর্ভে। নদীতে চর জেগে ওঠায় কৃষি বিভাগের পরামর্শে নদী পাড়ের মানুষগুলো ব্যাপক বাদাম চাষ করছে। চাষিদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ ও সঠিক দিকনির্দেশনা দেয়া হলে তারা বাদাম চাষে আরো আগ্রহী হবে।
কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শাহানাজ পারভীন জানান, চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৮৫ হেক্টর বেশি জমিতে বাদাম চাষ হয়েছে। বাদামের বাম্পার ফলন ও দাম পেয়ে কৃষকরা বেজায় খুশি। কৃষকরা বাদাম চাষে লাভবান হওয়ায় আগামীতে আরো বাদাম চাষ বৃদ্ধি পাবে। কৃষি বিভাগ বাদাম চাষিদের প্রতি বছর বিনামূল্যে বীজ ও পরামর্শে দিয়ে সহায়তা করে আসছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়