গণতন্ত্র মঞ্চের হুঁশিয়ারি : সমাবেশে বাধা দিলে পরিণতি ভালো হবে না

আগের সংবাদ

পাহাড় কাটার হিড়িক, দুই ফসলি জমির টপ সয়েল যাচ্ছে ভাটায়

পরের সংবাদ

খাল দখল করে দোকান নির্মাণ : জলাবদ্ধতার শিকার ২০ হাজার মানুষ

প্রকাশিত: জুন ৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কমলনগর (ল²ীপুর) প্রতিনিধি : ল²ীপুরের কমলনগর উপজেলার ফজুমিয়ারহাট বাজারে সরকারি খাল ভরাট করে দোকানঘর নির্মাণ করা হয়েছে। স্থানীয় চরকাদিরা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নাকের ডগায় জনগুরুত্বপূর্ণ এ খালটি ভরাট করে দোকান নির্মাণ করায় স্থানীয়দের মধ্যে দেখা দিয়েছে অসন্তোষ।
এলাকার বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার চরকাদিরা ইউনিয়নের চরঠিকা গ্রামকে সরকার আমার শহর আমার গ্রাম হিসেবে ঘোষণা করে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নানা স্থাপনা নির্মাণ করছেন। ওই গ্রামের চরঠিকা খালটি এ অঞ্চলের প্রায় ২০ হাজার মানুষের জলাবদ্ধতা নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এলেও এখন স্থানীয় ভূমি অফিসের সহায়তায় একটি চক্র খালটি ভরাট করে দোকানঘর নির্মাণ করে। এতে বর্ষাকালে খালসংলগ্ন ফজুমিয়ারহাট বাজার ও ফজুমিয়ারহাট উচ্চ বিদ্যালয়সহ আশপাশের স্থাপনাগুলো সামান্য বৃষ্টিতে মারাত্মক জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। খালটি সরকারের এক নম্বর খাস খতিয়ানভুক্ত হওয়ায় দখলবাজরা প্রশাসনের সহায়তায় এই দখলবাজিতে মেতে উঠেন। দখলবাজদের কব্জা থেকে ফজুমিয়ারহাটের জনগুরুত্বপূর্ণ এ খালটি উদ্ধারে স্থানীয় প্রশাসন ও উপজেলা ভূমি অফিসের কোনো তৎপরতা নেই।
স্থানীয়রা জানান, ফজুমিয়ারহাট এলাকার সফিক, মাস্টার আব্দুর রহিম ও আবুল বাসারসহ ১২ জন দখলবাজ খাল ভরাট করে দোকানঘর নির্মাণ করেছেন। অনেককেই আবার ইট দিয়ে পাকা করতে দেখা গেছে। দখলবাজদের অবস্থা দেখে মনে হয়েছে, এখানে কোনো প্রশাসনিক কর্মকর্তা নেই। যার যেভাবে মন চায়, সেভাবে দখল করে নিচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, খালটি ভরাট করার কারণে এ অঞ্চলের ২০ হাজার মানুষ জলাবদ্ধতার মধ্যে পড়েছেন। ভূমি অফিস বা প্রশাসন থেকে কোনো বাধা দেয়া হয়নি। এখন কয়েকদিন ধরে তারা মাটি ভরাট শুরু করেন। অনেকে পাকাও করছেন। খালটি উদ্ধার করা এখন সময়ের দাবি। অভিযুক্ত সফিক, আব্দুর রহিম ও আবুল বাসার জানান, যেহেতু এটি সরকারি খাল। তাই সরকার চাইলে আমরা ঘর সরিয়ে নেব। এখন পর্যন্ত কেউ আমাদের কিছু বলেনি।
এ বিষয়ে ফজুমিয়ারহাট বাজার কমিটির প্রচার সম্পাদক মোখলেছুর রহমান ধনু মিয়া জানান, চরঠিকা খালটি দখলমুক্ত করতে তারা অনেক চেষ্টা করেছেন। প্রশাসন ও ভূমি অফিস থেকে কোনো সাড়া পাচ্ছি না। সবাই মিলে উদ্যোগ নিলে খালটি দখলমুক্ত করা সম্ভব। ১২ জন লোকের জন্য ২০ হাজার মানুষ দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। খালের পাশেই ফজুমিয়ারহাট বাজার ও ফজুমিয়ারহাট উচ্চ বিদ্যালয় রয়েছে। বাজারের ক্রেতা-বিক্রিতা ও স্কুলের ছাত্র-শিক্ষক সবাই কষ্ট পাচ্ছে। সামান্য বৃষ্টিতেই পানি উঠে যায়। খাল না থাকায় পানি নিষ্কাশন হয় না।
চরকাদিরা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা তানিম চৌধুরী জানান, লোকজন থেকে শোনার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। এটি সরকারের এক নম্বর খাস খতিয়ানভুক্ত চরঠিকা খাল। জনগুরুত্বপূর্ণ খালটি দখলমুক্ত করতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করা হবে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফেরদৌস আরা বলেন, ইউএনও স্যারের নির্দেশক্রমে আমি সরেজমিনে গিয়ে জনগুরুত্বপূর্ণ এই খালটি দখল মুক্ত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুচিত্র রঞ্জন দাস বলেন, গুরুত্বপূর্ণ এই খালটি উদ্ধারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়