করমণ্ডল এক্সপ্রেস : চেন্নাইগামী ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত শতাধিক, বাংলাদেশি যাত্রী থাকার আশঙ্কা

আগের সংবাদ

দেয়াল

পরের সংবাদ

ঢাকা রোড ট্রাফিক সেফটি প্রজেক্ট : সড়ক শৃঙ্খলা শেখাতে করা হচ্ছে ট্রাফিক শিশু পার্ক

প্রকাশিত: জুন ৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : আজ থেকে ৩৭ বছর আগে জাপানের ট্রাফিক সিস্টেম অনেক খারাপ ছিল, সড়কে অনেক দুর্ঘটনা ঘটত। সেই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য তারা স্কুলপর্যায় থেকে নানা ধরনের সচেতনতামূলক কার্যক্রম শুরু করে। তারই ফলশ্রæতিতে জাপান বর্তমান বিশ্বের অন্যতম সুন্দর দেশে পরিণত হয়েছে।
ঢাকা মহানগরীতে সড়ক দুর্ঘটনা কমিয়ে আনতে স্কুলপর্যায় থেকে সচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। রাজধানীর বিভিন্ন যানবাহনের চালকদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। শুধু তাই নয়, সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে করা হচ্ছে ট্রাফিক শিশু পার্ক। এতে হাতেকলমে শিশুরা সড়ক আইন সম্পর্কে শিখতে পারবে।
গতকাল শনিবার রাজধানীর মিন্টো রোডে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ‘ঢাকা রোড ট্রাফিক সেফটি প্রজেক্ট (ডিআরএসপি)’ এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) প্রতিনিধিরা।
ডিএমপি ও জাইকা যৌথভাবে তিন বছর মেয়াদি ডিআরএসপি বাস্তবায়ন করছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, প্রকল্পের মূল লক্ষ্য হচ্ছে মানুষকে রোড সেফটির বিষয়টি জানানো। আমরা হয়তো এসব উদ্যোগের তাৎক্ষণিক কোনো রেজাল্ট পাব না। তবে আজ আমরা শিশুদের যা শেখাব এখন থেকে ৫ বা ১০ বছর পরে তার ফলাফল পাব।
ডিআরএসপির এক্সপার্ট টিমের ট্রান্সপোর্ট প্ল্যানার তেটসুই ইরি বলেন, এ প্রকল্পের অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে ঢাকা মহানগরীতে বসবাসকারী সাধারণ মানুষ, যানবাহনের চালক ও যাত্রীদের সচেতনতা বাড়ানো। ইতোপূর্বে ডিএমপির পক্ষ থেকেও বিভিন্ন ধরনের সচেতনতামূলক প্রোগ্রাম করা হয়েছে।
যানজট নিরসন ও দুর্ঘটনা প্রতিরোধে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করা হচ্ছে। জাইকা রোড সেফটি প্রজেক্ট বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কাজ করছে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষকে সচেতনতামূলক কর্মকাণ্ডে তারা কীভাবে সস্পৃক্ত করছে এবং সে দেশের মানুষের মাইন্ড সেটিং কীভাবে চেঞ্জ করছে সেগুলো নিয়ে আরো দুই বছর কাজ করা হবে। তিন বছর মেয়াদি এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য হচ্ছে ঢাকা মহানগর এলাকায় সর্বাত্মক সড়ক নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাস্তবায়নে ডিএমপির সক্ষমতা বাড়ানো। এই প্রকল্পের আওতায় জেব্রাক্রসিং নিয়েও জনসাধারণকে সচেতন করা হবে।
ডিআরএসপি প্রকল্পটি ঢাকা মহানগর এলাকায় গত বছরের মার্চ মাস থেকে জাইকার সহযোগিতায় বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রকল্পের আউটপুটগুলো সঠিকভাবে সম্পন্ন করার জন্য ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি), বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ), বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি), ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ), ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে যৌথ সমন্বয় কমিটি (জেসিসি) গঠন করা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়