কাগজ প্রতিবেদক : আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানলেন ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল তাকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপের বিভিন্ন বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতি এবং অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত করেন। এ সময় জাপানকে আসন্ন নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাতে অনুরোধ করেন সিইসি। গতকাল বৃহস্পতিবার নির্বাচন ভবনে রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এই অনুরোধ জানান।
গতকাল বেলা ১১টায় জাপানী রাষ্ট্রদূত নির্বাচন ভবনে পৌঁছান। এর পরে প্রায় সোয়া ঘণ্টাব্যাপী আলাপের পর রাষ্ট্রদূত বৈঠকের বিষয়বস্তু সম্পর্কে সাংবাদিকদের কিছু বলতে চাননি। কী আলোচনা হলো? জানতে চাইলে ইওয়ামা কিমিনোরি বলেন, আপনারা জানেন আজকের আগে দেখা করার সুযোগ আমি পাইনি। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য তারা কী পদক্ষেপ নিচ্ছেন সেগুলো জানতে পেরেছি। কিন্তু বৈঠকে বিষয়ে আমি কোনো কিছু প্রকাশ করব না, তারাই ব্রিফ করবেন। এরপর কমিশনের পক্ষ থেকে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশে যোগ দেয়ার পর জাপানের রাষ্ট্রদূত সিইসির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এসেছিলেন। তিনি আমাদের নির্বাচনের রোডম্যাপের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন।
গত সেপ্টেম্বরে ঘোষিত রোডম্যাপের বিষয়ে তাকে ব্রিফ করেছেন সিইসি। এর মধ্যে বিশেষ করে ছিল নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধন অগ্রগতি, সীমানা পুনর্নির্ধারণের অগ্রগতি, কোন পদ্ধতিতে আমরা রিটার্নিং কর্মকর্তা, প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা নিয়োগ করে থাকি, সে বিষয়গুলো তিনি জানতে চেয়েছিলেন। অগ্রগতি জানার পর কোনো সন্তুষ্টির কথা বলেছেন কিনা? জানতে চাইলে মো. জাহাংগীর আলম বলেন, এখানে সন্তুষ্টি, অসন্তুষ্টির কিছু না। আমরা আমাদের অবস্থান জানিয়েছি। ঠিক আছে কিনা- তা বলার এখতিয়ার তার থাকার কথা না। সুতরাং আপনাদের বুঝতে হবে। এটা আমাদের রাষ্ট্রীয় বিষয়।
পর্যবেক্ষক পাঠানোর বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে ইসি সচিব বলেন, পর্যবেক্ষক নিয়ে তিনি (রাষ্ট্রদূত) কিছু বলেননি। সিইসি বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে আমাদের কাছে অনুরোধ এসেছিল, আমরা সেটা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অবহিত করেছিলাম। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ইইউ যোগাযোগ রাখছে, সেক্ষেত্রে বলা হয়েছে তারা টিম পাঠাতে পারেন। সিইসি তাদেরও (জাপানকে) অনুরোধ করেছেন- আপনারা পর্যবেক্ষণ টিম পাঠান, আমরা স্বাগত জানাব। জবাবে ইওয়ামা বলেছেন, তিনি সিদ্ধান্ত দিতে পারবেন না। তার সরকারের সঙ্গে আগে কথা বলবেন, তারপর সিদ্ধান্ত জানাবেন।
প্রসঙ্গত, ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশনাররা জানিয়েছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন চলতি বছরের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে আগামী বছরের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে বিএনপির মত একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দল অংশ না নেবার ঘোষণা দেয়ায় নির্বাচনটি অংশগ্রহণমূলক হবে না বলে মনে করছে সংশ্লিষ্টরা।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।