ভর্তিতে অতিরিক্ত অর্থ আদায় ৪ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে শোকজ

আগের সংবাদ

বাজেট বাস্তবায়ন করা সম্ভব : বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী

পরের সংবাদ

দ্বিগুণ হতে পারে সম্পত্তি নিবন্ধন কর

প্রকাশিত: জুন ২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : সরকারের রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ বাড়াতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য সম্পত্তি নিবন্ধন কর দ্বিগুণ করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল। গতকাল বৃহস্পতিবার বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী ঢাকা, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় সম্পত্তি নিবন্ধন কর বাড়িয়ে ৮ শতাংশ করার পরামর্শ দেন। বর্তমানে এই কর হার রয়েছে ৪ শতাংশ। উদাহরণস্বরূপ, রাজধানীর গুলশান, বনানী, মতিঝিল, দিলকুশা, নর্থসাউথ রোড ও মহাখালী এলাকায় সম্পত্তি কিনলে ক্রেতাকে বর্তমানে নিবন্ধনের জন্য কাঠাপ্রতি দলিল মূল্যের ৪ শতাংশ বা ১০ দশমিক ৮ লাখ টাকা ট্যাক্স হিসেবে দিতে হয়। আসন্ন অর্থবছরে একই পরিমাণ জমির দলিল মূল্যের ৮ শতাংশ বা ২০ লাখ টাকা বা তার বেশি দিতে হতে পারে। বর্তমানে যে কোনো জেলার পৌর এলাকায় জমি হস্তান্তরে ৩ শতাংশ কর দিতে হয়। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য এই কর হার ৬ শতাংশে উন্নীত করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। অনির্দিষ্ট সময়সূচিতে কোনো এলাকার সম্পত্তি হস্তান্তরে ১ শতাংশ করের পরিবর্তে আগামী অর্থবছরে ২ শতাংশে উন্নীত করার প্রস্তাব করেছেন তিনি।
আয় নেই তবুও দিতে হবে কর : কর রিটার্ন দাখিল করেন কিন্তু করযোগ্য আয় নেই এমন ব্যক্তিদের ওপরও ন্যূনতম কর আরোপের প্রস্তাব করেছে সরকার। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশকালে এ কথা বলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রের একজন নাগরিকের অন্যতম দায়িত্ব হচ্ছে রাষ্ট্র কর্তৃক প্রাপ্ত সুযোগ-সুবিধার বিপরীতে সরকারকে ন্যূনতম কর দিয়ে সরকারের জনসেবামূলক কাজে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। এ ধরনের অংশীদারিত্বমূলক অংশগ্রহণ দেশের সক্ষম জনসাধারণের মাঝে সঞ্চারণের লক্ষ্যে করমুক্ত সীমার নিচে আয় রয়েছে অথচ সরকারি সেবা নেয়ার ক্ষেত্রে আয়কর রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা রয়েছে এমন সব করদাতার ন্যূনতম কর ২ হাজার টাকা করার প্রস্তাব করছি।
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকার করদাতাদের জন্য ন্যূনতম করের পরিমাণ ৫ হাজার টাকা। অন্যান্য সিটি করপোরেশন এলাকার করদাতাদের জন্য ন্যূনতম করের হার হচ্ছে ৪ হাজার টাকা। আর সিটি করপোরেশনের বাইরের করদাতাদের জন্য ন্যূনতম করের পরিমাণ ৩ হাজার টাকা। আগামী অর্থবছরেও সরকার এই ন্যূনতম করহার কাঠামো অপরিবর্তিত রাখার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। বর্তমানে ব্যক্তি শ্রেণিতে টিআইএন (কর শনাক্তকরণ নম্বর)-ধারীর সংখ্যা প্রায় ৮৬ লাখ। এর মধ্যে মাত্র ৩২ লাখ ব্যক্তি আয়কর রিটার্ন জমা দেন। তাদের মধ্যে প্রায় ৮ লাখের করযোগ্য আয় নেই। এই ৮ লাখ ব্যক্তির ওপর ন্যূনতম কর ধার্য করা হলে সরকারের বাড়তি ১৬০ কোটি টাকা রাজস্ব আয় হবে।
ন্যূনতম করের নিয়মটি যদি সব টিআইএনধারীর ওপর প্রয়োগ করা হয়, তবে ১ হাজার ২৪০ কোটি টাকা অতিরিক্ত রাজস্ব আয় হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়