ভর্তিতে অতিরিক্ত অর্থ আদায় ৪ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে শোকজ

আগের সংবাদ

বাজেট বাস্তবায়ন করা সম্ভব : বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী

পরের সংবাদ

জেসিয়ার সেঞ্চুরিতে মোহামেডানের জয়

প্রকাশিত: জুন ২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২, ২০২৩ , ১:২৪ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন নারী ক্রিকেট লিগে গতকাল সিটি ক্লাবকে ১৭০ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। মোহামেডানের হয়ে ১৪২ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হন জেসিয়া আক্তার। দিনের অপর ম্যাচে কেরাণীগঞ্জ ক্রিকেট একাডেমির বিপক্ষে ১০ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়ে রূপালী ব্যাংক ক্রীড়া পরিষদ। ১০ ওভার বল হাতে মাত্র ৭ রান খরচে ৪ উইকেট তুলে ম্যচসেরা হন মুক্তা রবীন্দ্র মাগ্রি। সাভারে বিকেএসপির ১ নম্বর গ্রাউন্ডে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৯১ রানের বড় পুঁজি পায় মোহামেডান।
দলকে ভালো শুরু এনে দেন দুই ওপেনার জেসিয়া আক্তার এবং শারমিন সুপ্তা। প্রথম দিকে রক্ষণাত্মক খেলতে থাকে তারা। তবে দলীয় ৫৪ রানে নবম ওভারে মারমুখী ব্যাটিং করতে গিয়ে জান্নাতুল ফেরদৌসীর বলে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান ওপেনার শারমিন। ১৫ বলে তিনি ১টি চারসহ ৭ রান করেন। এরপর একই ওভারের শেষ বলে তিনে নামা আয়েশা রহমান ৪ বলে রানের খাতা না খোলেই বিদায় নেন।
এক ওভারেই দুই উইকেট হারানোর পর খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসা জেসিয়া ফের রক্ষণাত্মক খেলা শুরু করেন। তার সঙ্গে একই রাস্তায় চলতে থাকেন চারে নামা রুমানা আহমেদ। নিয়মিত স্ট্রাইক বদল করে মোহামেডানের রানের গতি বাড়ায় জেসিয়া-রুমানা জুটি। ১০৪ বলে ১৪২ রানের সর্বোচ্চ ইনিংস খেলা জেসিয়া আউট হলে এই জুটি ভাঙে। দলের লড়াকু সংগ্রহ গড়ার পথে সর্বোচ্চ অবদান রাখা জেসিয়া তার ইনিংস সাজান ১৫টি বাউন্ডারি ও ৮টি ছক্কায়। জান্নাতুল ফেরদৌস তিথির করা ৩১তম ওভারে বলের গতিবিধি বুঝতে না পেরে জেসিয়া স্ট্যাম্পড হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন। এরপর ফাল্গুনি বন্যাকে সঙ্গে নিয়ে ফিফটি পূরণ করেন রুমানা। ৬১ বলে ৫৬ রানের ইনিংস গড়ে তিনি আউট হন ফাহিমা আক্তার বন্যার বলে। তার ৭ চারে গড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ইনিংসটিও মোহামেডানের বড় সংগ্রহের পথে ভালো অবদান রাখে। তার বিদায়ের পর সর্বোচ্চ ৩১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন দলের অধিনায়ক সালমা খাতুন। বাকিদের মধ্যে ফারজানা আক্তার ১৪ রান, ফাল্গুনি ১৩ রান, সানজিদা ৮ রান, এবং সুবহানা মুশতারি রানের খাতা না খুলেই বিদায় নেন। খাদিজাতুল কোবরা অপরাজিত থাকেন ১ রানে। সিটি ক্লাবের হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন ফাহিমা আক্তার বন্যা।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেননি সিটি ক্লাবের দুই ওপেনার ফাতেমা তুজ জোহরা ও সাবিকুন নাহার চৈতি। তারা যথাক্রমে ৬৫ বলে ২৮ ও ২৬ বলে ১১ রান করে সাজঘরে ফিরে যান। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ৪১ রান করেন তিথি। বাকিদের মধ্যে সর্বোচ্চ ১২ রান করেন শিবানী। অন্যরা কেউ দুই অঙ্কে পৌঁছাতে পারেননি। ব্যাটারদের ব্যর্থতায় সিটি ক্লাবের ইনিংস ১২১ রানেই আটকে যায়। এর মধ্য দিয়ে ১৭০ রানের বিশাল জয় পায় মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব নারী ক্রিকেট দল।
দিনের অপর ম্যাচে টস জিতে প্রতিপক্ষ কেরাণীগঞ্জ ক্রিকেট একাডেমিকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় রূপালী ব্যাংক ক্রীড়া পরিষদের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। ম্যাচের শুরুতেই ধাক্কা খায় কেরাণীগঞ্জ। হাবিবা সুলতানা পিংকির করা প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই ক্যাচ তুলে দিয়ে ডাক মেরে প্যাভিলিয়নে ফেরেন দলের অধিনায়ক শাহনাজ পারভীন। তার আউটের পর রক্ষণাত্মক খেলে উইকেট টিকিয়ে রাখেন আরেক ওপেনার রচনা তৃপ্তি ও তিনে নামা ব্যাটার সুমাইয়া আইরিন আইভি। ১০ম ওভারে ঋতু মণির বলে কট বিহাইন্ড হয়ে বিদায় নেন ২৯ বলে ১০ রান করা রচনা। তার ইনিংসে ছিল মাত্র ১টি বাউন্ডারি। এরপর চারে নামা জামিলা আক্তার রুমিকে সঙ্গে নিয়ে ফের ডিফেন্স করতে থাকেন আইভি। তিনিও বিদায় নেন ৩৪ বলে ৫ রান করে। পাঁচে নামা শোভা টেস্ট ফরম্যাটের খেলা চালিয়ে ইনিংস কিছুটা বড় করেন। তার উইকেট পড়ার আগে জামিলা বিদায় নেন ২৪ বলে ৩ রান করে, শারমিন আক্তার আউট হন ডাক মেরে, জহুরা মুশতারি শাইরিন আউট হন ২৩ বলে ১ রান করে এবং মক্তুবা খাতুন মনিশা বিদায় নেন ৩০ বলে ৮ রান করে। সবশেষে মুক্তা রবীন্দ্র মাগ্রির বলে বোল্ড হয়ে বিদায় নেন সর্বোচ্চ ৪৫ রান করা শোভা। ১০৪ বলে তার খেলা এই ইনিংসে বাউন্ডারি ছিল ৬টি। ৫০ ওভার পর্যন্ত ইনিংস টিকিয়ে রাখেন ৪৫ বলে ৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলা কণা আক্তার ও ৪ বলে রানের খাতা না খুলে অপরাজিত থাকা পারভীন আক্তার। রূপালী ব্যাংকের হয়ে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট তুলেন মাগ্রি। তার করা ১০ ওভারের মধ্যে ৫৩টি বল থেকে কোনো রান পায়নি কেরাণীগঞ্জ। ব্যাটারদের পূর্ণ ব্যর্থতায় ৫০ ওভার শেষে কেরাণীগঞ্জের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৮ উইকেট হারিয়ে ৯৪ রানে।
রান তাড়ায় মাঠে নেমে মাত্র ৮ ওভার ১ বলেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় জাতীয় দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। ওপেনিংয়ে নেমে নন স্ট্রাইকে ফারজানা হক পিংকিকে রেখে শুরু থেকেই মারমুখী খেলেন সাথী রাণী বর্মণ। তার খেলা ২৬ বলে ৬৬ রানের অপরাজিত ইনিংস সাজানো ছিল ১৪টি বাউন্ডারি ১টি ছক্কায়। অপর প্রান্তে থাকা পিংকি খেলেন ২৪ বলে ৫ চারে সাজানো ২৭ রানের ইনিংস। ৯৫ রানের টার্গেটে নেমে ৮ ওভারে ৯৪ রান করে রূপালী ব্যাংকের উদ্বোধনী জুটি। নবম ওভারের প্রথম বলে পিংকির বাউন্ডারিতে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় দলটি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়