ভর্তিতে অতিরিক্ত অর্থ আদায় ৪ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে শোকজ

আগের সংবাদ

বাজেট বাস্তবায়ন করা সম্ভব : বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী

পরের সংবাদ

আ.লীগ কখনো খালি মাঠে গোল দেয়নি, সুযোগও দেয় না : ওবায়দুল কাদেরের বিবৃতি

প্রকাশিত: জুন ২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২, ২০২৩ , ১:৪২ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগ কখনো খালি মাঠে গোল দেয়নি। কাউকে খালি মাঠে গোল দেয়ার সুযোগও দেয়নি। আমরা সর্বদা প্রতিদ্ব›িদ্বতাপূর্ণ নির্বাচন চাই। আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে-জনগণই ক্ষমতার একমাত্র উৎস। আওয়ামী লীগ কখনো ষড়যন্ত্র অথবা পেছনের দরজা দিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেনি। গতকাল বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি। আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়–য়া বিবৃতিতে সই করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুল খালি মাঠে গোল দেয়ার কথা বলেছেন! আওয়ামী লীগ দীর্ঘ ৭০ বছরের বেশি সময় মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার ও আইন প্রতিষ্ঠায় নিরন্তন সংগ্রাম চালিয়ে আসছে। আর বিএনপি দীর্ঘদিন থেকে সন্ত্রাসী ও ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে। শত শত নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। গণতান্ত্রিক সুষ্ঠু পরিবেশ ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করতে উগ্রবাদী অপশক্তির সন্ত্রাসীদের লালন-পালন ও পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে আসছে। বিএনপির এসব সন্ত্রাসীবাহিনী জনগণের জানমালের ক্ষতি সাধন করে, অথচ এসব অপরাধীদের বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিলেই গণমাধ্যমের সামনে তারা ‘বিরোধী দল দমন’-এর বানোয়াট অভিযোগ উত্থাপন করে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকার জনগণের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষা ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে বদ্ধপরিকর। সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে কেউ জড়িত থাকলে তাকে অবশ্যই আইনের আওতায় আসতে হবে। কাদের বলেন, বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস-দুর্নীতি ও লুটপাটের অভিযোগে ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় এবং ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের কারণে দায়েরকৃত মামলা পরিচালিত হয়ে আসছে। কিন্তু মির্জা ফখরুল আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল না হয়ে বিচারিক প্রক্রিয়াকে চিরাচরিতভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছেন।
কাদের বলেন, বিএনপি একদিকে তাদের নেতাকর্মীদের সন্ত্রাসের পথে ঠেলে দেয়, অন্যদিকে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিলেই বিরোধীদল দমনের তথাকথিত অভিযোগ তোলে।
একদিকে তারা গণতন্ত্রে আস্থা না রেখে নির্বাচন বানচাল এবং নির্বাচনী ব্যবস্থাকে বাধাগ্রস্ত করতে ষড়যন্ত্র করে, অন্যদিকে সরকারের ওপর তারা দোষ চাপায়। তাদের এই দ্বিচারিতাই বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং বিকাশের প্রধান অন্তরায়।
কাদের বলেন, বিএনপি মহাসচিব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংসের কথা বলেছেন! বর্তমান সরকার গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস নয়, বরং শেখ হাসিনার আন্তরিক প্রচেষ্টায় রাষ্ট্রকাঠামো শক্তিশালী ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো সুদৃঢ় ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়েছে। নির্বাচন কমিশন গঠন আইন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আইনসহ বহুমাত্রিক পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
আবারো জনগণের বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে শেখ হাসিনার সরকার উন্নয়ন-অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির অভিযাত্রায় এগিয়ে যাবে- এমন আশা প্রকাশ করে কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করছে। সংবিধান অনুযায়ী আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন যথাসময়ে হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়