গ্রামীণ কল্যাণ : চাকরিচ্যুত শ্রমিকদের লভ্যাংশ দেয়ার রায়ে ৬ মাসের স্থিতাবস্থা

আগের সংবাদ

সংকট কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জ

পরের সংবাদ

হোমনায় রূপচাঁদার নামে নিষিদ্ধ পিরানহা বিক্রি : মাছটি রাক্ষুসে ও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর

প্রকাশিত: জুন ১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

্রমো. কামাল হোসেন, হোমনা (কুমিল্লা) থেকে : হোমনা পৌর বাজারসহ উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে রূপচাঁদা মাছ নামে অবাধে বিক্রি হচ্ছে নিষিদ্ধ পিরানহা মাছ। অনেকটা রূপচাঁদার মতো দেখতে, কিন্তু আসলে সেগুলো রূপচাঁদা নয় ‘পিরানহা’। এই মাছ সম্পর্কে গ্রামের সাধারণ মানুষের অপরিচিতির সুযোগ নিয়ে গ্রামের সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছেন কতিপয় অসাধু মাছ বিক্রেতারা। রাষ্ট্রীয়ভাবে নিষিদ্ধ এই মাছ বিক্রি করলেও স্থানীয় প্রশাসনের নজরদারি না থাকায় মাছ ব্যবসায়ীরা বুক ফুলিয়েই উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারসহ গ্রামে গ্রামে গিয়ে ফেরি করে রূপচাঁদা মাছ বলে বীর দর্পেই বিক্রি করছেন এই নিষিদ্ধ পিরানহা মাছ।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে উপজেলার শ্রীমদ্দি জলিল চেয়ারম্যান বাড়ির সামনের সড়কে গিয়ে দেখা যায়, ব্যবসায়ীরা রূপচাঁদা মাছ বলে নিষিদ্ধ পিরানহা মাছ বিক্রি করছেন। এছাড়া অনেক বিক্রেতা পিরানহা মাছ নিয়ে রূপচাঁদা মাছ বলে বাড়ি বাড়ি ঘুরছেন। নিষিদ্ধ এই পিরানহা কেন বিক্রি করেন জানতে চাইলে মৎস্য ব্যবসায়ী প্রদীপ দাস বলেন, আমরা আড়ত থেকে কিনে আনছি। আড়ত থেকে বলা হয়েছে এটা অস্ট্রেলিয়ান রূপচাঁদা। এই মাছ নিষিদ্ধ তিনি জানতেন না। এছাড়া এই মাছ নিষিদ্ধ ও ক্ষতিকারক হলে, আর বিক্রি করবেন না বলেও জানান এই ব্যবসায়ী। স্থানীয় লোকজন নিষিদ্ধ এই মাছ বিক্রি বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ক্ষেমালিকা চাকমা বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়া হবে। পিরানহা মাছ কিনে প্রতারণার শিকার মো. আবুল বাশার জানান, এই মাছ অত্যন্ত সুস্বাধু, বড় লোকদের বিয়ের অনুষ্ঠানে এই মাছ খাওয়ায়। আমি বিয়ের অনুষ্ঠানে অনেক খেয়েছি। এখন পরিবারের সদস্যদের খাওয়ানোর জন্য আড়াইশ টাকা কেজিতে এক কেজি রূপচাঁদা মাছ কিনেছি। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শাহেনুর মিয়া বলেন, পিরানহা মাছ মানুষ রাক্ষুসে, স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, এ জন্য সরকার ও মৎস্য অধিদপ্তর ২০১৪ সালের জুন থেকে পিরানহা মাছের পোনা উৎপাদন, চাষ, বংশ বৃদ্ধিকরণ, বাজারে ক্রয়-বিক্রয় সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করে। উপজেলায় যদি কেউ নিষিদ্ধ এই মাছ বিক্রি করে তাহলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়