গ্রামীণ কল্যাণ : চাকরিচ্যুত শ্রমিকদের লভ্যাংশ দেয়ার রায়ে ৬ মাসের স্থিতাবস্থা

আগের সংবাদ

সংকট কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জ

পরের সংবাদ

সামাজিকভাবে ডেঙ্গু প্রতিরোধের আহ্বান মেয়র তাপসের > দেশ এখন নিজের পায়ে দাঁড়াচ্ছে : সাবের হোসেন চৌধুরী

প্রকাশিত: জুন ১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : শুধু কীটনাশক প্রয়োগ করে নয়, ডেঙ্গু মোকাবিলায় সামাজিকভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে বলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন। তিনি বলেন, আগামী বর্ষায় ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে মানুষকে সচেতন করতে আমরা লিফলেট বিতরণ কার্যক্রম নিয়েছি। ঘরে ঘরে এই লিফলেট বিতরণ করতে চাই। এভাবেই ডেঙ্গুকে আমরা সামাজিকভাবে মোকাবিলা করতে চাই। কারণ শুধু কীটনাশক প্রয়োগ করে এডিস মশার বিস্তার রোধ সম্ভব নয়।
গতকাল বুধবার রাজধানীর বাসাবো বৌদ্ধ মন্দির সংলগ্ন সংঘনায়ক শুদ্ধানন্দ সড়কের নামফলক উন্মোচন, সড়ক উদ্বোধন ও বৌদ্ধ মন্দির সংলগ্ন এলাকায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে গণ লিফলেট বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান ঢাকা-৯ আসনের সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী।
ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে ঢাকাবাসীকে সচেতন হওয়ার অনুরোধ জানিয়ে মেয়র তাপস বলেন, আগে বলতাম ৩ দিনে একদিন, জমা পানি ফেলে দিন। আমরা এখন বলছি, নিয়মিত প্রতিদিন, জমা পানি ফেলে দিন। কোথাও যদি পানি জমতে না দিই, তাহলে এই এডিস মশার বিস্তার রোধ আমরা করতে পারব।
পর্যায়ক্রমে অন্যান্য সড়কগুলোকেও আরো উন্নত ও প্রশস্ত করার পরিকল্পনা জানিয়ে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, এই সড়কটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দীর্ঘদিন জলাবদ্ধতায় নিমগ্ন ছিল। আমরা এই সড়কের সংস্কার কাজ হাতে নিয়েছিলাম। ড্যাপের পরিকল্পনা অনুযায়ী সড়কটি প্রশস্ত করেছি। এই এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে আমরা নর্দমা নির্মাণ করেছি, দুই পাশে হাঁটার পথের ব্যবস্থা করেছি। এটি বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী বৌদ্ধ মন্দির ও উপাসনালয়। মন্দিরের প্রয়াত সংঘনায়ক শুদ্ধানন্দের নামে আমরা এই সড়কটির নামকরণ করেছি। সড়কটি প্রশস্ত করার ফলে অত্র এলাকার মানুষ উপকার পাবেন। পর্যায়ক্রমে ঢাকা-৯ আসনের মুগদা সড়কসহ মূল সড়কগুলোকে আরো উন্নত করব। এর মাধ্যমে অত্র এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনের পাশাপাশি আধুনিক সড়ক ব্যবস্থাপনাও নিশ্চিত হবে।
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, মশক নিয়ন্ত্রণ কাজে দুই সিটি করপোরেশনেরই কীটনাশক কমিটি আছে। বিশেষজ্ঞরাও কমিটিতে আছেন। তাদের মতামত ও সুপারিশেই আমরা পুরো বছরের কীটনাশক আমদানি ও মজুত করেছি। ২০২০ সালের পর থেকে আমাদের কীটনাশকের মান নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাব : সড়ক উদ্বোধনের পর সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, প্রতিদিনি এই সড়ক দিয়ে এক লাখ মানুষ যাতায়াত করে। আগে সড়কটিতে সকাল-বিকাল ঘণ্টার পর ঘণ্টা মানুষ যানজটের মধ্যে আটকা থাকতো। এই সড়ক প্রশস্ত করার মাধ্যমে আমরা এই এলাকার মানুষকে যানজট থেকে মুক্তি দিতে পেরেছি।
সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, আগে ২০ কোটি কেন, ৫ কোটি টাকা বরাদ্দের জন্য উন্নয়ন

সহযোগীদের কাছে যেতে হতো আমাদের; বিশ্বব্যাংক কিংবা এডিবির কাছে যেতে হতো। প্রকল্প দেখাতে হতো। এখন কিন্তু আমাদের নিজস্ব সক্ষমতা আছে। নিজেদের অর্থায়নে এখন আমরা এই কাজটি করতে পারছি। সত্যিকার অর্থে বাংলাদেশ এখন নিজের পায়ে দাঁড়াচ্ছে। জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ইনশাল্লাহ আমরা এগিয়ে যাব। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলব।
তিনি আরো বলেন, আমাদের অন্যদিকে তাকানোর প্রয়োজন নেই। আমরা আমাদের ঐক্য নিয়ে এগিয়ে যাব। কারণ ঐক্য অনেক বড় শক্তি। ঐক্যকে পুঁজি করেই বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা একটি প্রশিক্ষিত পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে পরাজিত করেছি। এই ঐক্যকে পুঁজি করে জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
পরে মেয়র তাপসকে নাগরিক সংবর্ধনা দেয়া হয়। এ অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন- ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফি, বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘের সভাপতি ভদন্ত বুদ্ধপ্রিয় মহাথের, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রানা দাশগুপ্ত, অঞ্চল-২ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা সোয়ে মেন জো, ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর চিত্তরঞ্জন দাস ও সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর মাকসুদা শমসের প্রমুখ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়