গ্রামীণ কল্যাণ : চাকরিচ্যুত শ্রমিকদের লভ্যাংশ দেয়ার রায়ে ৬ মাসের স্থিতাবস্থা

আগের সংবাদ

সংকট কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জ

পরের সংবাদ

মেঘনায় রাস্তায় খুঁটি রেখেই চলছে সড়ক প্রশস্তকরণ

প্রকাশিত: জুন ১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মেঘনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি : রাস্তার মাঝে বিদ্যুতের খুঁটি রেখে চলছে রাস্তা প্রশস্ত ও পাকাকরণের কাজ। রাস্তায় বিদ্যুতের খুঁটি থাকায় প্রতিদিনই ঘটছে ছোট-বড় সড়ক দুর্ঘটনা। ঠিকাদাররা বৈদ্যুতিক খুঁটি অপসারণ না করেই রাস্তা প্রশস্ত ও পাকাকরণের কাজ করে যাচ্ছে। এতে কেউ মারা যাচ্ছে আবার কেউ গুরুতর আহত হয়ে পঙ্গুত্ববরণ করছে। এ ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিচ্ছে নানা পদক্ষেপ।
এরই মধ্যে কুমিল্লা মেঘনা উপজেলার ৫নং বড়কান্দা ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের ৮ ও ৯নং ওয়ার্ড এর রেখা প্লাজা (সাবেক মানিক মেম্বার)’র বাড়ী থেকে মৃত জয়নাল আবেদিনের বাড়ী পর্যন্ত প্রায় ৯ কিলোমিটার রাস্তার প্রশস্ত ও পাকাকরণের কাজ চলছে।
সরজমিনে দেখা যায়, সাবেক মেম্বার মো. আলম এর বাড়ি থেকে একটু এগিয়ে মোড়ের মধ্যে রাস্তার মাঝখানে বৈদ্যুতিক খুঁটি অপসারণ না করেই কাঁচা রাস্তা পাকাকরণের কাজ করছে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার। এ বৈদ্যুতিক খুঁটির সমাধান চান স্থানীয় এলাকাবাসী। যদি সমাধান না করা হয় তাহলে দুর্ঘটনার আশঙ্কার দাবি জানিয়েছেন গ্রামবাসী।
এ বিষয়ে ঠিকাদার ফারুক আব্বাসির সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, আমি কাজটা নিয়েছি ২০১৮ সালে। বিভিন্ন যায় ঝামেলা থাকার কারণে কাজটি চলতি বছরে করতে হচ্ছে। রাস্তার কাজ দুই মাসের মধ্যে শেষ করে ফেলতে হবে। অন্যথায় টেন্ডারটি বাতিল হয়ে যাবে। তিনি আরো জানান, খুঁটি সরানোর ব্যাপারে আমি সাবেক মানিক মেম্বারকে দিয়ে লিখিতভাবে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি, কুমিল্লা-৩ এর অধীনস্থ মেঘনা সাব জোনাল অফিসে জানিয়েছি কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এ ব্যাপারে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি, কুমিল্লা-৩ এর মেঘনা সাব জোনাল অফিসের এজিএম ইঞ্জিনিয়ার আহম্মেদ শাহরিয়ার বলেন, আমার কাছে লিখিত অভিযোগ আসছে। খুব শিঘ্রই আমি ব্যবস্থা নিব।
অন্যদিকে ঠিকাদারেরও বাধাগ্রস্ত হতে হচ্ছে বলেও জানান গ্রামবাসী। ৯০০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১০ মিটার প্রস্থ বিশিষ্ট রাস্তাটির হরিপুর মধ্যপাড়ার মো. কামরুল ইসলাম (কালু) এর বাড়ি হতে জহির/জাহাঙ্গীর মিয়ার বাড়ি পর্যন্ত আনুমানিক প্রায় ৩০ মিটার অংশের কাজ ব্যক্তি বিরোধিতার কারণে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে এলাকাবাসী সীমাহীন চরম দুর্ভোগের স্বীকার হচ্ছে।
ইতিপূর্বে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যানসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে একাধিকবার বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষকে সঙ্গে নিয়ে মিমাংসা করা হলেও কাজ করতে গেলে ব্যক্তিগত স্থাপনার অজুহাতে বাধা দেয়া হচ্ছে। গত শুক্রবার ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের ৪ জন মেম্বার ও সংরক্ষিত মহিলা মেম্বারসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে বিষয়টি নিয়ে দুপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করলেও এক পক্ষ মো. কামরুল ইসলাম (কালু) রাজি হলেও জাহাঙ্গীর/জহির গং রাজি হয়নি। বরং জহির গং ঠিকাদারকে বিভিন্ন হুমকি-ধামকি দিলে ঠিকাদার উক্ত ৩০ মিটার অংশের রাস্তার চলমান কাজ অসমাপ্ত রেখে চলে যাবে বলে এলাকাবাসীকে জানায়।
এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান মো. সাইফুল্লাহ মিয়া রতন শিকদার ভোরের কাগজকে বলেন, আমার কাছে আবেদন দিয়েছিল এবং বুধবার বসে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও ঐ ওয়ার্ডের মেম্বারকে সমাধানের জন্য দায়িত্ব দিয়েছি। আশা করি সমাধান হয়ে যাবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়