গ্রামীণ কল্যাণ : চাকরিচ্যুত শ্রমিকদের লভ্যাংশ দেয়ার রায়ে ৬ মাসের স্থিতাবস্থা

আগের সংবাদ

সংকট কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জ

পরের সংবাদ

বাংলাদেশের হয়ে খেলতে চান দিয়াবাতে

প্রকাশিত: জুন ১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : আবাহনী লিমিটেডকে টাইব্রেকারে হারিয়ে ২০০৯ সালের পর আবারো ফেডারেশন কাপের শিরোপা ঘরে তোলে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। এই ম্যাচে মোহামেডানের হয়ে ইতিহাস গড়েন মালির ফরোয়ার্ড সুলেমান দিয়াবাতে। ‘ঢাকা ডার্বি’ খ্যাত আবাহনী-মোহামেডান দুই চির প্রতিদ্ব›দ্বীর লড়াই যেন হয়ে উঠেছিল দিয়াবাতে-আবাহনীর লড়াই। একাই চার গোল করার পাশাপাশি টাইব্রেকারেও করেন এক গোল। এবার বাংলাদেশের জার্সিতে খেলার আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
গতকাল এক স্বাক্ষাৎকারে দিয়াবাতে বলেন, ‘আমি বাংলাদেশের হয়ে খেলতে পারলে খুশি হবো। তবে আমি পাসপোর্টের জন্য নিজে থেকে কখনই কাউকে বলব না। কেউ যদি মনে করে আমাকে পাসপোর্ট দিয়ে বাংলাদেশ জাতীয় দলে খেলাবে, আমার তাতে কোনো সমস্যা নেই। যদি বাফুফে চায়, আমার কোন আপত্তি নেই। তারা চাইলে আমি বাংলাদেশের হয়ে খেলতে রাজি। আমি সব সময় তৈরি।’
বাংলাদেশের ফুটবলে আক্রমণভাগের দুর্বলতা বেশ স্পষ্ট। সেই জায়গায় দিয়াবাতের অন্তর্ভুক্তি হতে পারে বড় পাওয়া। ঘরোয়া ফুটবলে অন্যতম শীর্ষ স্ট্রাইকার তিনি। গত বছর ছিলেন লিগের শীর্ষ গোলদাতা, চলতি মৌসুমে এখন তার অবস্থান দুইয়ে। ফেডারেশন কাপ শেষ করেছেন সর্বোচ্চ গোলদাতা ও টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে। সম্প্রতি বাংলাদেশ জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছেন এলিটা কিংসলে। এজন্য হয়ত দিয়াবাতেও আশা দেখজেন বাংলাদেশের জার্সি গাড়ে মাঠে নামার। পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালিতে সুলেমান দিয়াবাতের জন্ম ১৯৯১ সালে। তার দেশের ফুটবল দলও অনেক শক্তিশালি। ফিফা প্রকাশিত সর্বশেষ র‌্যাঙ্কিংয়ে মালির অবস্থান ৪৫। সেই দেশটি থেকে ফুটবলের টানে বিদেশে পাড়ি জমান ২০১০ সালে। ভিয়েতনামের কান থো ফুটবল ক্লাবে যোগ দেন তিনি। পরে দল বদল করে লং এন এফসিতে যোগ দেন। সেই ক্লাবটির হয়ে ১২ ম্যাচ খেলে ১৫ গোল করেছেন তিনি। ২০১৫ পর্যন্ত সেখানেই ছিলেন। ২০১৯ সালে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের হয়ে খেলতে আসেন বাংলাদেশে। এখন পর্যন্ত ৭৬ ম্যাচ খেলে ৫৬ গোল করেন সাদাকালো জার্সিধারিদের হয়ে। ক্যারিয়ারের সেরা সময় কেটেছে তার এখানেই।
মোহামেডানের সোনালি অতীতের সঙ্গে জড়িয়ে আছে অনেক নাম। নব্বই এর দশকে খেলে যাওয়া ইরানি ভেজান তাহিরি ও রেজা নালজেগার কে এখনো মনে রেখেছে বাংলাদেশের মানুষ। মাত্র দুই মৌসুম খেলেই মোহামেডানের বিদেশি খেলোয়ারদের ‘হল অব ফেম’-এ জায়গা করে নিয়েছিলেন এমেকা ইজিউগো। এছাড়াও আশি ও নব্বই এর দশকে খেলে গেছেন এমন তারকাদের মধ্যে রাশিয়ার আজামাত আবদু রহিম, বরিস কুজনেৎসভ, ওলেগ জিভৎনিকভ, নাইজেরিয়ার বাবালোলা, জিডে, ম্যাকিনোসহ আরো অনেকে।
ভক্তদের মনে ঠাই করে নিয়েছেন, রেখে গেছেন সোনালি অতীত।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়