গ্রামীণ কল্যাণ : চাকরিচ্যুত শ্রমিকদের লভ্যাংশ দেয়ার রায়ে ৬ মাসের স্থিতাবস্থা

আগের সংবাদ

সংকট কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জ

পরের সংবাদ

এএলআরডির সেমিনার : বাজেটে পারিবারিক কৃষির স্বীকৃতি দাবি

প্রকাশিত: জুন ১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : কৃষি, ভূমি ও জলা সংস্কার হলে ৮২ শতাংশ মানুষ সুবিধা পাবে। তাই এ খাতে বরাদ্দ বাড়াতে হবে। আসন্ন ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে পারিবারিক কৃষিকে স্বীকৃতি দিতে হবে। এটি স্বীকৃতি পেলে কৃষি অর্থনীতি আরো শক্তিশালী হবে।
গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে ‘জাতীয় বাজেটে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে অংশীদারত্ব, বাজেট ভাবনা ও মনিটরিং’ শীর্ষক জাতীয় সেমিনারে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি ড. আবুল বারকাত। হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ সেন্টারের (এইচডিআরসি) সহায়তায় সেমিনারটি আয়োজন করে এসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম এন্ড ডেভেলপমেন্ট (এএলআরডি)।
সেমিনারে আরো বক্তব্য রাখেন মানবাধিকার কমিশনের সাবেক সদস্য নিরূপা দেওয়ান, খুশী কবির, এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক শফিক উজ জামান, এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা প্রমুখ।
ড. আবুল বারকাত বলেন, করোনার পরে দেশে বহুমাত্রিক দরিদ্র মানুষের সংখ্যা বেড়েছে। গত ২-৩ বছরে ৩ কোটি ৪০ লাখ মানুষ নতুন করে দরিদ্র হয়েছেন। এসব নব্য দরিদ্ররা আছেন পারিবারিক কৃষিতে, গ্রামীণ নারী সমাজে, আদিবাসী সমাজে, শহর নগরের বস্তি ও স্বল্প আয়ী আবাসস্থলে। তিনি বলেন, সরকারের আসন্ন বাজেট হতে পারে ৭ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকার। সেই হিসাবে আমাদের গড় মাথাপিছু জাতীয় আয় ৪৪ হাজার ৯৫১ টাকা। এই টাকাটা কিন্তু প্রান্তিক পর্যায়ের ও অবহেলিত মানুষের কাছে পৌঁছাতে হবে। দেশে গ্রামীণ নারীর সংখ্যা ৪১ শতাংশ। কিন্তু এই গ্রামীণ নারীরা বাজেটে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ বরাদ্দ পান। এটা চরম বৈষম্য। আদিবাসীদের জন্য বাজেট বরাদ্দ ১ দশমিক ৪২ শতাংশ। কালো টাকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যে পরিমাণ কালো টাকা আছে তার ২ শতাংশও যদি উদ্ধার করা হয়, তাহলে এর পরিমাণ হবে ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা। এই কালো টাকার উদ্ধারে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
সাবেক মন্ত্রী এবং সমাজকল্যাণ বিষয়ক সংসদীয় কমিটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, আইএমএফের শর্ত পূরণ করে কীভাবে বাজেট প্রণয়ন করা যায়, মুদ্রাস্ফীতি কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় সেটিই হয়তো এবার বিবেচ্য হবে। আগে সংসদ সদস্যদের নিয়ে একটি প্রাক-বাজেট আলোচনা করা হতো। যদিও এখন আর তা করা হয় না। এখন অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে বাজেট তৈরি করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়।
প্রধানমন্ত্রী তার বিবেচনা অনুযায়ী তা পাস করেন। তারপর সংসদে হ্যাঁ বা না ভোটের মাধ্যমে বাজেট পাস করা হয়। কিন্তু সংসদ সদস্যদের ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ এর মধ্যে না রেখে বাজেটের সঙ্গে সম্পৃক্ত করলে আরো ভালো হতো।
তিনি আরো বলেন, বৈষম্য কমিয়ে আনার বিষয়টি বাজেটে গুরুত্ব দেয়া উচিত। গ্রামীণ নারী ও আদিবাসীসহ প্রান্তিক পর্যায়ের বিভিন্ন অবহেলিত কমিউনিটিকে চিহ্নিত করে বাজেটে আলাদা বরাদ্দ রাখা উচিত। এই বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিয়ে ভবিষ্যতে বাজেটে যেন তাদের জন্য বরাদ্দ থাকে সেজন্য সবাইকে কাজ করতে হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়