গ্রামীণ কল্যাণ : চাকরিচ্যুত শ্রমিকদের লভ্যাংশ দেয়ার রায়ে ৬ মাসের স্থিতাবস্থা

আগের সংবাদ

সংকট কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জ

পরের সংবাদ

আধুনিকতার ছোঁয়া নেই কাউনিয়া রেলস্টেশনে

প্রকাশিত: জুন ১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

গৌতম সরকার, কাউনিয়া (রংপুর) থেকে : চব্বিশ ঘন্টায় ২৭টি ট্রেন যাতায়াত করে, মালামাল ও যাত্রী পরিবহনে বছরে প্রায় দেড় কোটি টাকা আয় হলেও রেল জংশনটি প্রতিষ্ঠার ৪৬ বছরেও আধুনিকতার ছোঁয়া লাগেনি রংপুরের কাউনিয়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনে। ডিজিটাল যুগেও নেই টিকিট বিক্রির ইনটারনেট সুযোগ সুবিধা তাই হরহামেশাই টিকেট যায় কালো বাজারে। সুযোগ-সুবিধা না বাড়লেও দিন দিন বাড়ছে যাত্রী দুর্ভোগ আর নাগরিক বিড়ম্বনা। এছাড়াও রয়েছে জনবল সংকট।
স্টেশন সূত্র জানায়, ৯টি আন্তঃনগর ট্রেন, ৮টি মেইল ট্রেন, ৪টি লোকাল ও ৬টি কমিউটার ড্যেমু ট্রেন চলে এই রেল জংশন দিয়ে। অথচ রেলওয়ে জংশন স্টেশনটি চরম জনবল সংকট। আছে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে কার্যক্রম, গণশৌচাগারের অভাব, যাত্রী বিশ্রামাগার অপরিচ্ছন্ন, বিদ্যুৎ চলে গেলে ভুতুড়ে এলাকায় পরিণত, টোপলাটানা পার্টির উপদ্রব, বিশুদ্ধ পানির অভাব, মুসাফির খানা হকারের দখলে রয়েছে। এ ছাড়াও গরু ছাগলে বিরাণভূমি এই স্টেশন মাঠ।
কেউ নেই এসব দেখার। স্থানীয়রা জানান, বর্ষা মৌসুমে স্টেশনের চাল ও ছাদ দিয়ে টপ টপ বৃষ্টি পড়ে। এতে করে যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েন যাত্রী।
আন্তঃনগর ট্রেনের অপেক্ষমাণ যাত্রী ওয়াহেদুল করীম জানান, টিকেটের কালেবাজারি তো রয়েছেই সেই সঙ্গে রয়েছে নেশা খোরদের উৎপাত।
শুধু তাই নয় বর্ষাকালে বৃষ্টির কারণে স্টেশনের মূল্যবান কাগজপত্র নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়ে পড়ে। গরু ছাগলের অবাধ বিচরণসহ নানা সমস্যা থাকলেও গত অর্থবছরে স্টেশন থেকে প্রায় দেড় কোটি টাকা আয় হয়েছে। শুধু গত বছরই নয় প্রতি অর্থবছরই এই স্টেশন থেকে সরকার আয় করছে কোটি টাকার উপর।
যাত্রীদের অভিযোগ, গণশৌচাগার না থাকায় নারী যাত্রীদের বিড়ম্বনার শেষ নেই। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার বালাই নেই সেখানে। একটি ১ম শ্রেণির ওয়েটিং রুম থাকলেও কোনো আয়না নেই সেখানে। পরবর্তীতে ২য় শ্রেণির একটি ওয়েটিং রুম তৈরি করা হলেও পরিস্কার পরিচ্ছনতার অভাবে তা ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ২ জন সুইপার কাগজেকলমে থাকলেও তাদের কাজে দেখা যায় না। খাবার পানির জন্য দুইটি টিউবয়েল থাকলেও অধিকাংশ সময় থাকে নষ্ট। রেলওয়ে মেডিকেলের অস্তিত্ব কতদিন আগের ইতিহাস তা বর্ণনা করা অসম্ভব ফলে ট্রেনে কাটা রোগী ও কর্মকর্তা কর্মচারীরা চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়