গ্রামীণ কল্যাণ : চাকরিচ্যুত শ্রমিকদের লভ্যাংশ দেয়ার রায়ে ৬ মাসের স্থিতাবস্থা

আগের সংবাদ

সংকট কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জ

পরের সংবাদ

অধ্যাপক সামাদ খান : পুষ্টি চাহিদা পূরণে দুধের উৎপাদন বাড়ানো জরুরি

প্রকাশিত: জুন ১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি : গরু পালনকে গ্রিন হাউস গ্যাস মিথেন নিঃসরণের অন্যতম উৎস হিসেবে বিভিন্ন গণমাধ্যমে অপপ্রচার করা হচ্ছে। তবে যে পরিমাণ পরিবেশ দূষিত হচ্ছে তার চেয়ে দুধ উৎপাদন করাটা আমাদের জন্য বেশি জরুরি। দুধের ঘাটতির কারণে বর্তমানে আমাদের দেশকে গুঁড়ো দুধ আমদানি করতে হচ্ছে যার গুণগতমান অনিশ্চিত। তাই দেশের মানুষের পুষ্টি চাহিদা পূরণে দুধের উৎপাদন বাড়ানো অতীব জরুরি।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্ব দুগ্ধ দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ডয়রি বিশেষজ্ঞ ও ডেয়রি বিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক এম এ সামাদ খান। গতকাল বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেয়রি বিজ্ঞান বিভাগ।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেয়রি বিজ্ঞান বিভাগের আয়োজনে বিশ্ব দুগ্ধ দিবস-২০২৩ উদযাপন করা হবে। এবছর বিশ্ব দুগ্ধ দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে – ‘পুষ্টি ও জীবিকার উৎস হিসেবে পরিবেশ বান্ধব ডেয়রি’। দিবসটি উপলক্ষে স্কুলের শিশুদের মধ্যে দুধ পান করানো, বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা এবং সেমিনার ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। সেমিনারে দুধের পুষ্টিগত গুরুত্ব, জীবনমানের ওপর দুধের অর্থনৈতিক তাৎপর্য এবং পরিবেশের সঙ্গে এর নিবিড়তা ও প্রভাব নিয়ে আলোকপাত করা হবে বলেও জানানো হয়। 
সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ব দুগ্ধ দিবস ২০২৩ উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আশিকুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে প্রতি বছর ১৩ দশমিক ০৩ মিলিয়ন টন দুধ উৎপাদিত হয়। অর্থাৎ মাথাপিছু দৈনিক দুধের গড় প্রাপ্যতা ২০৮ দশমিক ৭০ মিলিলিটার। যেখানে প্রতিবেশী দেশ ভারতে মাথাপিছু দুধের প্রাপ্যতা ৪২৭ মিলিলিটার এবং পাকিস্তানে ৫১৫ মিলিলিটার। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের প্রতিদিন ২৫০ মিলিলিটার দুধ প্রয়োজন। সে হিসেবে দেশে বার্ষিক ১৫ দশমিক ৭০ মিলিয়ন টন দুধ প্রয়োজন। 
বাকৃবির পশু পালন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ছাজেদা আখতারের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন ডেয়রি বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোহেল রানা সিদ্দিকী ও সহযোগী অধ্যাপক ড. এ কে এম মাসুম।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়