মেজাজ হারালেন টম হ্যাঙ্কস

আগের সংবাদ

টাইগারদের অনুশীলন শুরু আজ : হাথুরুসিংহে আসছেন ৩ জুন

পরের সংবাদ

ভারী যানে বেহাল সড়ক ভোগান্তি চরমে

প্রকাশিত: মে ২৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মে ২৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি : পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলা সড়কটির অবস্থা এখন বেহাল। বড় বড় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়ে সড়কটি যানবাহন চলাচলে অযোগ্য হয়ে পড়েছে। তবুও ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন।
ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শহরের রেলগেট থেকে সিভিলহট পর্যন্ত ৫ কিলোমিটারের এই সড়ক ঈশ্বরদীর প্রধান কয়েকটি সড়কের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ। ২০১৮ সালে সংস্কার করার পর ভারী যানবাহন চলাচল শুরু হয়। ধারণক্ষমতার বেশি ওজনের বালুবোঝাই ১০ চাকার ড্রাম ট্রাক চলাচলের ফলে এটির এমন বেহাল দশা। এদিকে এই সড়কের পাশেই উপজেলা প্রশাসন, সাবরেজিস্টার কার্যালয়। গুরুত্বপূর্ণ ওই দুই কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রতিদিন এই সড়কপথে যাতায়াত করেন। উপজেলা প্রশাসন কার্যালয়ে সেবা নিতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষও এই সড়ক ব্যবহার করেন। ঈশ্বরদী ইপিজেডের কর্মচারী-শ্রমিকরা বিভিন্ন যানবাহনে এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করেন। এছাড়া বিনোদনকেন্দ্র সাঁড়াঘাটে যাতায়াতেও প্রতিদিন শত শত মানুষ সড়কটি ব্যবহার করেন।
সরজমিন দেখা গেছে, ৫ কিলোমিটার সড়কজুড়েই বড় বড় গর্ত। গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে পানি জমে যান চলাচলে ভোগান্তি আরো বেড়েছে। যানবাহন চলছে অত্যন্ত ধীরগতিতে। সাবধানতা অবলম্বন করে যানবাহন চলাচল করছে। সড়কের পাশে বসবাসকারী কয়েকজন বাসিন্দা জানান, সাঁড়াঘাট থেকে বালুবোঝাই ট্রাক ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এই সড়ক দিয়ে চলাচল করে। বিশেষ করে দশ চাকার ড্রাম ট্রাক চলাচলের কারণে সড়কটির এই অবস্থা দাঁড়িয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আশরাফুল ইসলাম বলেন, পাঁচ বছর ধরে সড়কের বেহাল দশা হলেও কারো কোনো মাথাব্যথা নেই। ভারী যানবাহন চলাচলের সময় সড়কের পাশের বাড়িঘর কেঁপে ওঠে। ধুলোবালি উড়ে বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালক সাইফুল ইসলাম জানান, এই সড়কের যে বেহাল দশা তাতে যে কোনো সময় ট্রাক, অটোরিকশা উল্টে যাওয়ার ভয় রয়েছে।
ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী এনামুল কবির বলেন, ‘১৭ টন ওজনের যানবাহন চলাচলের উপযোগী করে সড়কটি তৈরি করা হয়। অথচ ১০ ও ৬ চাকার ভারী ড্রাম ট্রাক ৩০ থেকে ৩৫ টন বালু ও মাটি নিয়ে এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে। এ কারণে দিনে দিনে সড়কটির এ অবস্থা হয়েছে। রাজশাহী উন্নয়ন প্রকল্পে আরো চওড়া ও ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি (ক্যাপাসিটি বিল্ডিং) করে সড়কটি নির্মাণের আবেদন করা হয়েছে। অনুমোদন হলে চওড়া এবং মজবুত করে সড়কটি নির্মাণ করা হবে। তখন ভোগান্তি কমবে।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়