টিসিবির জন্য চিনি ও ভোজ্য তেল কিনবে সরকার

আগের সংবাদ

চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা কোন পথে : মূল্যস্ফীতি > ডলার সংকট > বৈদেশিক ঋণের সুদ ও ভর্তুকি ব্যয় > কর ও ব্যক্তি করদাতা বাড়ানো

পরের সংবাদ

৫০ শতাংশ ভোট : গাজীপুর নির্বাচনে ইসিসহ সবাই সন্তুষ্ট

প্রকাশিত: মে ২৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মে ২৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, গাজীপুর সিটি করপোরেশন (গাসিক) নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। আমরা প্রায় সাড়ে চারশ সিসি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণ করেছি। তাছাড়া রিটার্নিং কর্মকর্তা ও মিডিয়ার কাছ থেকে খবর নিয়েছি, সবাই বলেছে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। প্রার্থীরাও সন্তোষ প্রকাশ করছেন। সুতরাং এ সিটি ভোটে যেমন ইসি সন্তুষ্ট তেমনি প্রার্থী, ভোটার ও মিডিয়ার সবাই সন্তুষ্ট। গতকাল বৃহস্পতিবার গাসিক নির্বাচন শেষে প্রেসব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) আহসান হাবিব খান, রাশেদা সুলতানা এবং আনিছুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
ইসি আলমগীর বলেন, গাসিক ভোটে কমপক্ষে ৫০ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে আমাদের ধারণা। ভোট সুষ্ঠু না হলে ইউএসএর ভিসা না দেয়ার বিষয়ে তিনি জানান, এটা রাষ্ট্রের বিষয়। এটাতে ইসির মন্তব্য করার কিছু নেই। আমরা আগামীতেও এ ধরনের সুষ্ঠু নির্বাচন করে যাব। এ নির্বাচনে কোনো সহিংসতার ঘটনা নেই। ইসির জানামতে, অনিয়মের কারণে ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ইসির দৃষ্টিতে ভোট কেমন হয়েছে? এমন প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর বলেন, আপনারাই আগে বলেন গাজীপুর সিটি নির্বাচন কেমন হয়েছে? আমাদের পক্ষ থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা এবং গণমাধ্যম ও নির্বাচন কমিশনের পর্যবেক্ষক টিমের কাছ থেকে যে খবর পেয়েছি সেটি হচ্ছে, গাজীপুর সিটি নির্বাচন অত্যন্ত সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। যেসব প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন, তারা সবাই বলেছেন, নির্বাচন ব্যবস্থায় তারা অত্যন্ত সন্তুষ্ট। এই নির্বাচনে যে ফলাফলেই আসুক না কেন, তারা সবাই মেনে নেবেন।
ভোটার উপস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনী আইনে আছে যে, নির্বাচনে শেষ সময় পর্যন্ত যদি ভোটার উপস্থিতি থাকে, তাহলে ভোটারের ভোট না নেয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। ব্যালটের ক্ষেত্রে যে নিয়ম ইভিএমের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম। তবে ইভিএমে কোনো কোনো ক্ষেত্র আঙুলের ছাপ মিলাতে দেরি হয়। আমরা আশা করছি, ৫০ শতাংশের মতো ভোট পড়েছে। তবে মোট হিসাব করলে সঠিক তথ্যটা পাওয়া যাবে।
সিসিটিভিতে কোনো অনিয়ম ধরা পড়েনি জানিয়ে তিনি বলেন, ভোটাররা অনেক সময় লাইন ধরা, কারো ভোট আগে নেয়া এ ধরনের কিছু জিনিস আমাদের কাছে ধরা পড়েছে, সেগুলোর বিষয়ে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে ফোন দিয়ে ব্যবস্থা নিয়েছি। এছাড়া দুটি কেন্দ্রে আমরা দেখেছিলাম, এজেন্ট ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছিলেন, তখন আমরা তাদের ফোন দিয়ে এবং পুলিশকে খবর দিয়ে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়ার ব্যবস্থা করেছি। এছাড়া আমাদের এবং পুলিশের নজরে আর কোনো ঘটনা আসেনি। প্রায় সাড়ে চার হাজার সিসিটিভিতে ভোট মনিটরিং করা হয়েছে। এগুলো আবার একসঙ্গে দেখা যায়নি। এগুলো পর্যায়ক্রমে দেখতে হয়েছে। একবারে তিন থেকে চারশ সিসিটিভি দেখা গেছে। এজন্য কিছু ঘটনা আমাদের নজরে নাও পড়তে পারে। সিসিটিভির এই উদ্যোগটাই আমাদের সফলতা। সিসিটিভিতে যেগুলো ধরা পড়েছে সেগুলোর বিরুদ্ধে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছি।’
অনেক কেন্দ্রে জায়েদা খাতুনের এজেন্ট ছিল না। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘গাজীপুরের অবস্থানরত গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গেও আমাদের কথা হয়েছে। তারা আমাদের বলেছেন, এরকম কোনো কিছু হয়নি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়