টিসিবির জন্য চিনি ও ভোজ্য তেল কিনবে সরকার

আগের সংবাদ

চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা কোন পথে : মূল্যস্ফীতি > ডলার সংকট > বৈদেশিক ঋণের সুদ ও ভর্তুকি ব্যয় > কর ও ব্যক্তি করদাতা বাড়ানো

পরের সংবাদ

শ্বশুর-পুত্রবধূর দ্বন্দ্বে ১২ লাখ টাকার লিচু নষ্ট ব্যবসায়ীদের

প্রকাশিত: মে ২৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মে ২৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি : গুরুদাসপুরে শ্বশুর ও পুত্রবধূর মধ্যে জমি নিয়ে পাল্টাপাল্টি মামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন লিচু ব্যবসায়ীরা। উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের মামুদপুর মৌজায় ৪ দাগে মো. ইউসুব আলীর ক্রয় করা ৬ বিঘা জমিতে ৬টি লিচু বাগান লিজ নেন ব্যবসায়ীরা। ওই জমি নিয়ে শ্বশুর ও পুত্রবধূর পাল্টাপাল্টি মামলার কারণে বাগানের ১২ লক্ষাধিক টাকার পাকা লিচু গাছ থেকে ঝরে পড়ে নষ্ট হয়েছে।
মামলার নথি ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অবসরপ্রাপ্ত ওসি ইউসুবের ৬ বিঘা জমির লিচু বাগান একই এলাকার মো. আব্দুল মান্নানের ছেলে মনছের মণ্ডল, মো. শুকুর প্রামাণিকের ছেলে আশরাফ আলী, মনজিল মণ্ডলের ছেলে মো. আনোয়ার মণ্ডল, মৃত মকদম প্রামাণিকের ছেলে কুরবান আলী প্রামাণিকসহ ১৫ জন ব্যবসায়ী ৯ লাখ ৭০ হাজার ৫০০ টাকায় এক মৌসুমের জন্য লিজ নেন। লিচুর বাগান রক্ষণাবেক্ষণের জন্য যাবতীয় খরচও করেন তারা। কিন্তু বাগানের লিচু ভাঙার সময় বাধা হয়ে দাঁড়ায় শ্বশুর ইউসুব আলী (অবসরপ্রাপ্ত ওসি) এবং পুত্রবধূ এসপি ফরিদা পারভীনের মামলা। মামলার কারণে বাগানে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। এতে ১২ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে ব্যবসায়ীদের। এ নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত লিচু ব্যবসায়ীরা গত সোমবার সংবাদ সম্মেলন করেন। তারা বলেন, আমরা কাগজপত্র দেখে মূল মালিকের কাছ থেকেই বাগানগুলো লিজ নিয়েছিলাম। কিন্তু তার পুত্রবধূ ফরিদা পারভীন জমিটি তার বলে দাবি করে লিচু পারতে নিষেধ করেন। একদিকে শ্বশুর ১৪৪ ধারা জারির কাগজ দেখান অপরদিকে পুত্রবধূও ১৪৪ ধারার কাগজ দেখিয়ে ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। তারা আরো বলেন, এখন আমরা কি করব? টাকা না উঠলে দেনার টাকাও দিতে পারব না। বাগানের লিচুগুলোও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, গত ১৯ মে ফরিদা পারভীন সন্ত্রাসী পাঠিয়ে ৭ লক্ষাধিক টাকার লিচু জোর করে পেরে নিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে নাটোর আমলী আদালতে আব্দুর রহমানের ছেলে সোহেল আহমে¥দ মুন্না, মৃত উসমানের ছেলে সাকিনুর রহমান বাবু, কমেদ আলীর ছেলে মহাসিনসহ ১৭ জনের নামে মামলা করেছেন বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা। এ ব্যাপারে ইউসুব আলী বলেন, এই জমির ক্রয়সূত্রে মালিক আমি। আমার ছেলে শফিকুল ইসলাম মারা যাওয়ার পর আমার বউমার অংশ ভাগ করে দিয়ে সীমানা নির্ধারণ করে দিয়েছি। নাতিদের অংশও রাখা আছে।
ফরিদা পারভীন মুঠোফোনে বলেন, আমার অবুঝ শিশুদের ফাঁকি দিয়ে তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করে আমার তিন ননদকে রাজশাহীর দেড় কোটি টাকার ১৮টি ফ্ল্যাট এবং রংপুরের ১ কোটি ৪০ লাখ টাকার সম্পত্তি তার তিন মেয়ের নামে রেজিস্ট্রি করে দিয়েছেন। আমার কাছে সব ডকুমেন্ট আছে। তবুও আমি কিছু বলিনি। আমাকে এবং আমার আত্মীয়দের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন। আর আমার কোনো লোকবল নেই, তাই বাগান থেকে লিচু পাড়ার প্রশ্নই আসে না। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই ওই বাগানে ১৪৪ ধারা জারি করাতে বাধ্য হয়েছি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়