টিসিবির জন্য চিনি ও ভোজ্য তেল কিনবে সরকার

আগের সংবাদ

চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা কোন পথে : মূল্যস্ফীতি > ডলার সংকট > বৈদেশিক ঋণের সুদ ও ভর্তুকি ব্যয় > কর ও ব্যক্তি করদাতা বাড়ানো

পরের সংবাদ

জ্যোতির সেঞ্চুরিতে বড় জয় রুপালী ব্যাংকের

প্রকাশিত: মে ২৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মে ২৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন নারী ক্রিকেট লিগের প্রথমদিনে গতকাল গুলশান ইয়ুথ ক্লাব নারী দলকে ১৪৮ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে রুপালি ব্যাংক ক্রীড়া পরিষদ নারী ক্রিকেট দল। ম্যাচে ৭৬ বলে অপরাজিত ১০০ রানের ইনিংস খেলেন রুপালি ব্যাংকের নিগার সুলতানা জ্যোতি। তার ঝোড়ো সেঞ্চুরিতে বড় জয় পায় দল। লিগের অপর ম্যাচে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ৩২ রানে হারিয়েছে কলাবাগান ক্রীড়া চক্রকে আর সিটি ক্লাব নারী ক্রিকেট দলকে ৬৬ রানে হারিয়েছে বিকেএসপির নারী ক্রিকেট দল।
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে মাত্র ২ উইকেটে ২৮৬ রান তোলে রুপালি ব্যাংক। দলের হয়ে দারুণ সূচনা করেন দুই ওপেনার সাথি রানী বর্মণ ও ফারজানা আক্তার লিসা। মারমুখী ব্যাটিং করে ৩৫ বলে ৩৯ রান করে আউট হন সাথী। আর লিসা ফেরেন ৪৪ রান করে। তবে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ফারজানা হক পিংকিকে নিয়ে দলের সংগ্রহ বড় করতে থাকেন জ্যোতি। ইনিংসের শেষ ওভারের তিন বলে নিগার সুলতানা জ্যোতির সেঞ্চুরির জন্য প্রয়োজন ৯ রান। টানা দুই চারে পৌঁছে যান একেবারে কাছে। শেষ বলে সুইপ করে নেন সিঙ্গেল, পেয়ে যান কাক্সিক্ষত সেঞ্চুরির দেখা। জ্যোতি সেঞ্চুরির হাসিতে হাসলেও তার সতীর্থ ফারজানা হক পিংকি মাঠ ছাড়েন ৮ রানের আক্ষেপ নিয়ে। অধিনায়ক নিগার মাত্র ৭৬ বলে ১০০ রান করেন। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ১২টি চারের মারে। ফারজানা ১০৭ বলে ৯২ রানে অপরাজিত থাকেন। ৭টি চার ও ১টি ছয়ের মার ছিল তার ইনিংসে।
২৮৭ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি গুলশানের। ওপেনার মিশু খান ফিরে যান মাত্র ১ রান করে। আরেক ওপেনার শারমিন সুলতানা একপ্রান্ত আগলে রেখে ব্যাটিং করলেও অপর প্রান্তে চলে যাওয়া-আসার মিছিল। মাত্র ১১ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে শুরুতেই চাপে পড়ে যায় তারা। তবে লাকি চাকমাকে সঙ্গে নিয়ে কিছুটা লড়াইয়ের আভাস দের শারমিন। এরপর ৪০ রানে তিনি সাজঘরে ফিরলে জয়ের সম্ভাবনা ফিকে হয়ে যায় গুলশানের। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৮ রানের ইনিংস খেলেন লাকি। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৩৮ রানেই থেমে যায় তাদের ইনিংস। রুপালি ব্যাংকের হয়ে সর্বোচ্চ ২টি করে উইকেট নেন নাহিদা আক্তার, আশরাফি ইয়াসমিন অর্থি ও শরিফা খাতুন। ম্যাচসেরা হন জ্যোতি।
অপরদিকে বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে কলাবাগানের বিপক্ষে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ৮ উইকেটে ২৩৪ রান করে মোহামেডান। ১০৬ বলে সর্বোচ্চ ৭৩ রান করেন শারমিন সুপ্তা। ৫৪ রান আসে আয়েশা রহমানের ব্যাট থেকে। শেষ দিকে ২৭ বলে ৩৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে সংগ্রহ বড় করেন সালমা খাতুন। কলাবাগানের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেনে ফারিহা তৃষ্ণা। ২টি করে উইকেট নেন কুলসুমা ও লাকি খাতুন। রান তাড়ায় দারুণ শুরু এলেও খেই হারিয়ে ম্যাচ হেরে যায় কলাবাগান। ঝিলিকের ফিফটিতে ওপেনিং জুটি থেকে আসে ৭৪ রান। সর্বোচ্চ ৬৬ রান করেন ঝিলিক। এছাড়া প্রত্যুষা কুমার ৩২, ইমানাত ২৮ রান করেন। শেষ পর্যন্ত কলাবাগান থামে ৬ উইকেটে ২০২ রান করে। মোহামেডানের হয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন আয়েশা রহমান। ম্যাচসেরা হন শারমিন।

এছাড়া বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে সিটি ক্লাবের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে বিকেএসপির নারী দল ৬ উইকেটে ২০৮ রান করে। সর্বোচ্চ ৬৫ রান করেন সুমাইয়া আক্তার। এ ছাড়া উন্নতি আক্তার ৩৫ ও মারুফা আক্তার ৩২ রান করেন। সিটি ক্লাবের হয়ে দিশা বিশ্বাস সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন। রান তাড়া করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে দেড়শ রানও করতে পারেনি সিটি ক্লাব। ৯ উইকেটে ১৪২ রানে থামে তাদের ইনিংস। সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেন ফাতেমা-তুজ-জোহরা। এছাড়া সাবেকুন নাহার চৈতি ৩৩ ও জান্নাতুল ফেরদাউস ১৬ রান করেন। বিকেএসপির হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন ফাহমিদা ছোঁয়া। ২টি করে উইকেট নেন নিশিথা আক্তার ও ফারজানা ইয়াসমিন। ম্যাচসেরা হন সুমাইয়া আক্তার।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়