গভীর নি¤œচাপে পরিণত মোকা, বন্দরে ৩ নম্বর সংকেত

আগের সংবাদ

নির্বাচনকালীন সরকারে নজর : শর্তসাপেক্ষে বিএনপিকে ছাড় > স্বপ্ন দেখছে ছোট দলগুলোও

পরের সংবাদ

স্যাংশন দেয়া দেশ থেকে কিছু কেনাকাটায় মানা করে দিয়েছি : সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: মে ১৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মে ১৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

** কীসের জন্য সংলাপে ডাকতে যাব? ** জনগণ ভোট দিলে আছি, না দিলে নেই, ভয় পাই না ** মানুষ পোড়ালে কাউকে ছাড়ব না ** রিজার্ভ নিয়ে দুশ্চিন্তার কারণ নেই **

কাগজ প্রতিবেদক : যারা বাংলাদেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেবে, সেসব দেশ থেকে কোনোরকম কেনাকাটা করবে না বাংলাদেশ। অর্থ মন্ত্রণালয়কে এই বিষয়ে নির্দেশনা দিয়ে দিয়েছেন সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্পষ্ট উচ্চারণ- কথা নেই বার্তা নেই, স্যাংশনের ভয় দেখাবে, আর আমরা ভয়ে মুখ বুঝে থাকব কেন? আমরা মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি, যারা আমাদের সপ্তম নৌবহরের ভয় দেখিয়েছিল, সেটাও পার করে বিজয় অর্জন করেছি, এই কথা ভুললে চলবে না। দরকার হলে এক বেলা খেয়ে থাকব, তাতেও অসুবিধা নেই। আমাদের ওপর যারা স্যাংশন দেবে, তাদের কাছ থেকে আমরা কিছু কিনব না, পরিষ্কার কথা। এর মধ্যেই আমি দুটি অ্যাকশন নিয়েছি আগেই। বাংলাদেশ কারো ওপর নির্ভরশীল নয়, তাহলে নিষেধাজ্ঞায় ভয় পাব কেন? বাঙালিরা দক্ষ, শক্তিশালী। আমরা আমাদের প্রয়োজনীয় সব উৎপাদন করব। আত্মবিশ্বাস থাকা ভালো। জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সফরের অভিজ্ঞতা জানাতে গতকাল সোমবার গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
স্যাংশনটা কীসের জন্য প্রশ্ন রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের কী কারণে স্যাংশন দিল? যাদের দিয়ে আমরা সন্ত্রাস দূর করলাম, জঙ্গি দূর করলাম, তাদের ওপরে? হোলি আর্টিজানে যারা হামলা করেছিল, তাদের দমন করে মানুষ জীবিত উদ্ধার করতে ২৪ ঘণ্টাও লাগেনি। এরপর আর কোনো ঘটনা কেউ ঘটাতে পারেনি। আমি এজন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছি, অর্থ মন্ত্রণালয় এবং পরিকল্পনামন্ত্রীকে বলে দিয়েছি, আমাদের কেনাকাটা- বিদেশ থেকে জিনিস ক্রয়ের ক্ষেত্রে একটা শর্ত থাকবে, যারা আমাদের ওপর স্যাংশন দেবে, তাদের কাছ থেকে কোনো জিনিস আমরা কিনব না।
দেশের কিছু মানুষ দেশের বদনাম করে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, উন্নয়নের সমালোচনা হীনমন্যতা-দুরভিসন্ধি অথবা প্রতিহিংসাপরায়ণতা। আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার থাকবেই। আমাদের দেশে কিছু লোক আছে

দেশের কাজ যত ভালোই হোক কোনো কিছু ভালো তারা দেখতে পান না। এরা হচ্ছে চোখ থাকতে অন্ধ, কান থাকতে বধির। উন্নয়ন প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য যত রকমের অপপ্রচার তারা চালিয়ে যাচ্ছে। রাজনীতি যখন করি, রাজনীতিতে সমালোচনা-বিরোধিতা তো থাকবেই, এটা তো খুব স্বাভাবিক। এটা আছেও। আমাদের কাজ আমরা করে যাচ্ছি।
কীসের জন্য সংলাপে ডাকতে যাব : দেশে আন্দোলনরত দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের বিষয়টি আবারো নাকচ করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আলোচনায় কীসের জন্য ডাকতে যাব? তাদের ডিমান্ডই তো ঠিক নেই। যুক্তরাজ্যে যারা আন্দোলন করেছিলেন তখন বৃষ্টি নেমেছিল। আমি ভাবলাম বাংলাদেশের প্রবাসী- তারা বৃষ্টিতে ভিজবে তারচেয়ে তাদের ডাকি, কী বলতে চায় শুনি। এখন ঢাকায় বা বাংলাদেশে যারা, তাদের যদি বৃষ্টিতে ভেজা শখের মধ্যে থাকে তারা থাকুক।
শেখ হাসিনা বলেন, তারা মাইক লাগিয়ে আন্দোলন করেই যাচ্ছে। সরকার হটাবে। আমরা তো তাদের কিছু বলছি না। আমরা যখন অপজিশনে ছিলাম আমাদের কি নামতে দিয়েছে? গ্রেনেড হামলা করে হত্যা করার চেষ্টা করেছে। আমাদের ২১ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। আগুন দিয়ে পুড়িয়ে পুড়িয়ে মানুষ মেরেছে। নির্বাচন ঠেকাতে ৫০০ স্কুল পুড়িয়ে দিয়েছে। সাড়ে তিন হাজার লোককে আগুনে পোড়ানো হয়েছে। তিন হাজার ৮০০ গাড়ি, ২৭টি রেল, ৯টি লঞ্চ, ৭০টি সরকারি অফিস পুড়িয়েছে। তারা তো জ্বালাও-পোড়াওই করে গেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে তাদের ২০ দলীয় ঐক্যজোট। সিট পেয়েছে মাত্র ২০টি। তারা আবার বড় বড় কথা বলে। আর দালালি। কার পয়সায় আন্দোলন করছে, কোথা থেকে টাকা পাচ্ছে? এত লোক নিয়ে আসে আর প্রতিদিন মাইক লাগিয়ে বক্তৃতা দিচ্ছে- এগুলো তো বিনা পয়সায় হচ্ছে না। সবই জানি। বাংলাদেশের মানুষ কি এত অন্ধ হয়ে গেছে, চোখে দেখে না। হাজার হাজার কোটি টাকা তো লুট করে নিয়েই গেছে, আর কাদের মদতে করছে তা একটু খোঁজ নেন।
জনগণ ভোট দিলে আছি, না দিলে নেই, ভয় পাই না : নির্বাচনকালীন সরকার কেমন হবে? সেইসঙ্গে বিএনপির আন্দোলন জোরদার করায় সরকার কোনো চাপ অনুভব করছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন আসছে, ভয় পাব? কেন ভয় পাব? আমি জনগণের জন্য কাজ করেছি। জনগণ যদি ভোট দেয়, আছি, না দিলে নেই। তিনি বলেন, আমি ইলেকশন করব এই কারণে, যেহেতু করোনার কারণে আমরা যা ২৪ সালের মধ্যে করতে পারিনি, সেটুকু আমি করে দিয়ে যেতে চাই। নির্বাচনকালীন সরকার প্রসঙ্গে তিনি জানান, বাংলাদেশ ওয়েস্টমিনিস্টার টাইপ অব ডেমোক্র্যাসি অনুসরণ করে। তাই ব্রিটেনে যেভাবে নির্বাচন হয়, বাংলাদেশেও সেভাবেই করা হবে। এর মধ্যে আমরা এইটুকু উদারতা দেখাতে পারি, পার্লামেন্টে সংসদ সদস্য যারা আছে, তাদের মধ্যে কেউ যদি ইচ্ছাপ্রকাশ করে, নির্বাচনকালীন সময়ে তারা সরকারে আসতে চায়, আমরা রাজি আছি। ২০১৪ সালের নির্বাচনের সময় বিএনপিকেও এই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তারা আসেনি। এখন যেহেতু তারা পার্লামেন্টেও নেই, তাদের নিয়ে চিন্তারও কারণ নেই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা জনগণের সঙ্গে আছি, জনগণের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। জনগণের আস্থা-বিশ্বাসই আমার একমাত্র শক্তি। আমার তো হারাবার কিছু নেই। বাবা-মা-ভাই সব হারিয়েছি, আমার কী হারাবার আছে! আমরা দেশের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের টার্গেট বাংলাদেশের উন্নয়ন, মানুষের জীবনমানের অগ্রগতি। আজ বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
মানুষ পোড়ালে কাউকে ছাড়ব না : নির্বাচন ঘিরে যদি কোনোরকম জ্বালাও পোড়াও করা হয়, সেটি সহ্য করা হবে না বলে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখন এগিয়ে যাচ্ছে, অনেকের সেটা পছন্দ হবে না। স্বাধীনতাবিরোধী, গণহত্যা সমর্থনকারী ও জাতির পিতার হত্যাকারীদের এগুলো পছন্দ হবে না। তারা আমার বিরুদ্ধে শত্রæতা করেই যাবে। আমি তো বোমা প্রæফ হয়ে গেছি, বোমা দিয়ে মারতে পারেনি, সরাসরি গুলি করে মারতে পারেনি, গ্রেনেড হামলা করেছে তাও মরিনি। তিনি বলেন, যতই চেষ্টা করুক, আল্লাহতায়ালা মানুষকে একটা কাজ দেয়, ওই কাজটা শেষ না পর্যন্ত আল্লাহই রক্ষা করে। আর আমার নেতাকর্মীরাও তো বারবার আমাকে রক্ষা করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি বলে দিয়েছি, আন্দোলন করুক, মানুষ ছাড়ুক কোনো আপত্তি নাই। কিন্তু জ্বালা-পোড়াও যদি করতে যায়, কোনো মানুষকে যদি আবার এরকম করে পোড়ায়, তাকে ছাড়ব না। মানুষের ক্ষতি আর করতে দেব না।
ডিজিটাল ইকোনমিতে দেশ ক্যাশলেস সোসাইটির দিকে যাচ্ছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আমাদের আগামী নির্বাচনী ইশতেহারের ঘোষণাই হবে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’। বাংলাদেশকে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলব। বাংলাদেশে কোনো দরিদ্র্য থাকবে না, দেশের সব মানুষ উন্নত জীবন পাবে।
রিজার্ভ নিয়ে দুশ্চিন্তার কারণ নেই : ডলার সংকট এবং রিজার্ভ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডলার সংকট তো বিশ্বব্যাপী, শুধু বাংলাদেশের নয়। প্রথমে করোনা সংকট, এরপর ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ। সারা বিশ্বে মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে গেছে, পরিবহন ব্যয় বেড়ে গেছে। করোনা অতিমারির সময় বাংলাদেশ রিজার্ভটা ভালোভাবে ধরে রাখতে পেরেছে কারণ আমদানি-রপ্তানি, বিদেশে যাতায়াত বন্ধ ছিল। এরপর যখন অর্থনীতি উন্মুক্ত হলো- স্বাভাবিকভাবে ডলার খরচ হচ্ছে। বিনিয়োগ হচ্ছে, উন্নতি হচ্ছে, ফলে ডলারের ওপর চাপ পড়বে। তিন মাসের খাদ্য কেনার মতো ডলার যেন হতে থাকে, সেটা নিশ্চিত করার ওপরই জোর দিচ্ছেন শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ এখন যে পর্যায়ে আছে, তা নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ দেখছেন না তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যদি কোনো আপৎকালীন সময় হয়, যেমন এই ঝড় ঝঞ্ঝা- এরকম ক্ষেত্রে যদি খাদ্য ঘাটতি দেখা দেয়, সেই খাদ্য কেনার মতো, অর্থাৎ তিন মাসের খাদ্য কেনার মতো ডলার থাকলেই হলো।
রিজার্ভ নিয়ে দেশে তেমন কোনো সংকট নেই জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিন মাসের খাদ্য কেনার মতো ডলার যেন আমাদের হাতে থাকে, সেটা নিয়েই আমাদের চিন্তা। রিজার্ভ নিয়ে কোনো চিন্তা নেই। আমরা রিজার্ভ নিয়ে বলতে বলতে সবার মাথায় এটা ঢুকে গেছে। আমাদের রিজার্ভ এখনো যা আছে তাতে অন্তত এটুকু বলতে পারি, আমাদের এমন কোনো সংকট এভাবে নেই। তবে আমরা সবসময় রিজার্ভ ধরে রাখারই চেষ্টা করি। তিনি বলেন, জাতির পিতা যখন যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়তে শুরু করেন, তখন তো এক পয়সাও রিজার্ভ ছিল না। আমরা কি চলিনি, আমরা কি এগোতে পারিনি? ’৯৬ সালে যখন ক্ষমতায় আসি, তখন রিজার্ভ ছিল ১ মিলিয়ন ডলার। বর্তমানে রিজার্ভ ৩১ দশমিক ২২ মিলিয়ন।
যে কারণে আমরা বলছি, আমাদের দেশের যত অনাবাদি জমি, তাতে ফসল ফলাব, নিজের খাবার খাব, অন্যের ওপর আর নির্ভরশীল হব না। কারো কাছে হাত পেতে চলব না। কারো কাছে ভিক্ষা আনব না। নিজেরা উৎপাদন করে আমরা নিজেরাই চলব। আমাদের খাবারের অভাব হবে না।
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী যেখানে মুদ্রাস্ফীতি, খাদ্যের অভাব, উন্নত দেশে খাবার কেনা সীমিত করে দেয়া হচ্ছে, যারা বড়লোক তাদের অসুবিধা নেই, সাধারণ মানুষের তো অনেক অসুবিধা হচ্ছে। সেদিক থেকে আমরা তো আমাদের মানুষকে প্রণোদনা দিয়েছি। রোজার সময় তো মানুষের হাহাকার শোনা যায়নি। বাংলাদেশের অর্থনীতি অনাথ হয়ে যায়নি। আইওএমএফ তাদেরই ঋণ দেয়- যাদের ঋণ শোধের ক্ষমতা আছে।
বিভিন্ন খাতে অতিরিক্ত ভর্তুকি দেয়া আসন্ন বাজেটে সরকারকে বিপদে ফেলছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, পৃথিবীর কোনো দেশে এরকম দেয় না। জ্বালানি, বিদ্যুৎ সব খাতে ভর্তুকি দিচ্ছি। বিদ্যুতে ভর্তুকি দিয়ে লাভ কী? যে সবচেয়ে বেশি এয়ারকন্ডিশন চালায় তার লাভ সবচেয়ে বেশি। আমার গরিব মানুষের তো লাভ হয় না। আসলে ভর্তুকিতে লাভবান হচ্ছে বিত্তশালীরা। বর্তমানে জ্বালানি তেল ও গ্যাসের দাম যে হারে বেড়েছে সেটা সরকারের পক্ষে টানা সম্ভব নয় বলেও জানান সরকারপ্রধান।
সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য মহার্ঘ ভাতাসংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মহার্ঘভাতা বলে কিছু নেই। মূল্যস্ফীতি যত বাড়বে তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আমরা একটি পারসেনটিজ বেতন বাড়াই। তাছাড়া আমরা অনেক সুযোগ-সুবিধাও দিচ্ছি। বৈশাখী ভাতা থেকে শুরু করে নানা ধরনের ভাতা, ফ্ল্যাট কেনার জন্য লোন, গাড়ি কেনার লোন। মহার্ঘভাতা দেয়ার কোনো প্ল্যান নেই। তবে বেসরকারি খাতে বেতন বাড়ানো, মহার্ঘভাতা বা অন্য সুযোগ-সুবিধা দেয়া সরকারের দেখভালের বিষয় নয় বলে জানান তিনি।
যে কোনো দুর্যোগ মোকাবিলায় সরকারের প্রস্তুতি থাকে জানিয়ে রসিকতা করে শেখ হাসিনা বলেন, এমনই প্রস্তুতি নিলাম যে ঘূর্ণিঝড় চলেই গেল, আঘাত হানতেই সাহস পেল না। তবে আবার আসবে। একটা নিয়ম আছে, একটার পর পরই আরেকটা আসে, সেজন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্র সফরে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাসের হাতে পদ্মা বহুমুখী সেতুর একটি পেইন্টিং তুলে দেয়া প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে যে খুব ভালো পেইন্টার আছে, তারা খুব চমৎকার পেইটিং করতে পারেন, তা জানানোর জন্য পেইন্টিংটা আমরা নিয়ে গেছি। আর পেইটিংয়ের বিষয়বস্তুটা হচ্ছে, বাংলাদেশের মানুষের সবচেয়ে প্রিয় জায়গাটা হলো পদ্মা সেতু। বিশ্বের কারো যদি পেইন্টিং প্রয়োজন হয়, আমাদের কাছে চাইতে পারবেন।
ঢাকার নদী-খাল রক্ষায় সরকারের পদক্ষেপ ও নদীখেকোরা আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কিনা- এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সেই আইয়ুব খান থেকে শুরু, এরপর জিয়াউর রহমান, এরশাদ এবং তারপর খালেদা জিয়া। এরা যে যখনই এসেছে আমাদের নদীগুলোর সর্বনাশ করে দিয়ে গেছে। গাছের সর্বনাশ করেছে, রাস্তার সর্বনাশ করেছে, সবই একে একে ধ্বংস করে গেছে। এটা হলো বাস্তব কথা। এরই মধ্যে তার সরকার বহু নদী ড্রেজিং করেছে এবং ড্রেজিংয়ের এ কাজ অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, গত ২৫ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর এ ত্রিদেশীয় (জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য) সফর শুরু হয়। জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার আমন্ত্রণে ওইদিন সফরের প্রথম ধাপে টোকিও যান তিনি। চার দিনের টোকিও সফর শেষে ২৮ এপ্রিল ওয়াশিংটন ডিসিতে যান। দেশটিতে প্রায় এক সপ্তাহের সফর শেষে ৪ মে লন্ডনে পৌঁছান সরকারপ্রধান। যুক্তরাজ্য সফরকালে রাজা তৃতীয় চার্লস এবং তার স্ত্রী রানি ক্যামিলার রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দেন। লন্ডন থেকে গত ৯ মে দেশে ফেরেন প্রধানমন্ত্রী।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়