নিত্যপণ্যের দাম বাড়ায় রওশন এরশাদের উদ্বেগ

আগের সংবাদ

ভয়ংকর ‘মোকা’র হিংস্র ছোবল : সেন্টমার্টিন, মহেশখালী ও কুতুবদিয়া লণ্ডভণ্ড হওয়ার আশঙ্কা > প্রাণহানির ঝুঁকিতে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির

পরের সংবাদ

শিরোপা হারাল শাখতার

প্রকাশিত: মে ১৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মে ১৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : ইউক্রেনিয়ার প্রিমিয়ার লিগে গত মৌসুমে শিরোপা জিতে আলোচনায় আসে শাখতার দোনেৎস্ক। চলতি মৌসুমেও শিরোপা জয়ের দৌড়ে এগিয়ে ছিল ক্লাবটি। এর মধ্যেই চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করে বেলারুশ ফুটবল ফেডারেশন (বিএফএফ)। ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি জানায় ম্যাচ ফিক্সিংয়ের দায়ে গত মৌসুমে জয় করা প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা হারিয়েছে শাখতার। ম্যাচ ফিক্সিং করে শিরোপা জয়ের কারণে ক্লাবটির কাছ থেকে শিরোপা ছিনিয়ে নেয়ার পাশাপাশি চলতি মৌসুমে ৩০ পয়েন্ট কেটে নেয়া হয়েছে বলেও জানা যায়। এছাড়া আগামী মৌসুমেও থেকেও তাদের ২০ পয়েন্ট কেটে নেয়া হবে বলে নিশ্চিত করে বিএফএফ। ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি গত বৃহস্পতিবার জানায়, ‘শাখতার দোনেৎস্কের কর্মকর্তাদের ম্যাচ ফিক্সিংয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার এবং লিগের অন্য দলগুলোকে অবৈধভাবে আর্থিক প্রণোদনা দেয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাদের শাস্তি হিসেবে ইতোমধ্যেই শিরোপা কেড়ে নেয়া হয়েছে।’
এই মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও অংশগ্রহণ করে শাখতার। তবে ফিক্সিং প্রমাণিত হওয়ায় আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলতে পারবে না তারা। তাদের পরিবর্তে অংশগ্রহণ করবে বাতে বরিসভ। ইউক্রেনিয়ান প্রিমিয়ার লিগের মৌসুম সাধারণত শুরু হয় মার্চ মাসে এবং চলে নভেম্বর পর্যন্ত।
এর আগে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগে ব্রাজিলে ১৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন দেশটির আইনজীবীরা। তাদের মধ্যে ৭ জন পেশাদার ফুটবলারও রয়েছেন। ২০১৮ সালে দেশটিতে খেলাধুলায় জুয়াকে বৈধ করার পর এটিকেই সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারির একটি হিসেবে দেখা হচ্ছে। ব্রাজিলিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের সিরিজ ‘এ’ ও ‘বি’র মোট ১৩টি ম্যাচ পাতানো হয়েছে বলে ধারণা করছেন আইনজীবীরা। এর মধ্যে ৮টি ম্যাচ ২০২২ সালের। ম্যাচ পাতানোর অভিযোগে অভিযুক্তদের তালিকায় আছেন সান্তোস, জুভেন্তুদে ও কুইয়াবার মতো ক্লাবের খেলোয়াড়রাও। যাদের মধ্যে পাঁচজনকে গতকাল নিষিদ্ধ করেছে তাদের ক্লাব। নিষিদ্ধ খেলোয়াড়রা পেদ্রিনিও (আতলেতিকো মিনেইরো), ব্রায়ান গার্সিয়া (আতলেটিকো মিনেইরো), রিচার্ড (ক্রুজেইরো), ভিতর মেন্দেজ (ফ্লুমিন্সে) ও নিনো পারাইবা (আমেরিকা)। অভিযুক্ত খেলোয়াড়রা দোষী প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ শাস্তি পেতে পারেন। সেক্ষেত্রে আজীবন নিষেধাজ্ঞার শঙ্কাও থাকছে। ম্যাচ ফিক্সিংসংক্রান্ত নথি প্রকাশের পর ব্রাজিলের বিচারমন্ত্রী ফ্লাভিও দিনো ফেডারেল পুলিশকে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার অভিযোগপত্রে দাবি করা হয়েছে, একটি অপরাধী চক্র ম্যাচ পাতানোর জন্য খেলোয়াড়দের টাকা দিয়েছে।
খেলোয়াড়দের যেভাবে বলে দেয়া হয়, মাঠে তারা সেভাবে কাজ করেন এবং সে ম্যাচগুলোর ওপর বাজি ধরে প্রচুর টাকা হাতিয়ে নিয়েছে চক্রটি। তারা আরো দাবি করেন, খেলোয়াড়দের পাতানো খেলায় রাজি করানোর জন্য দেখা করার সময়ই ১ লাখ ডলার দেয়া হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়