নিত্যপণ্যের দাম বাড়ায় রওশন এরশাদের উদ্বেগ

আগের সংবাদ

ভয়ংকর ‘মোকা’র হিংস্র ছোবল : সেন্টমার্টিন, মহেশখালী ও কুতুবদিয়া লণ্ডভণ্ড হওয়ার আশঙ্কা > প্রাণহানির ঝুঁকিতে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির

পরের সংবাদ

রোমার জয়ের রাতে জুভেন্টাস-সেভিয়ার ড্র : ইউরোপা লিগ সেমিফাইনাল

প্রকাশিত: মে ১৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মে ১৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : উয়েফা ইউরোপা লিগে সেমিফাইনালের প্রথম লেগে গতকাল রাতে লেভারকুসেনের বিপক্ষে ১-০ গোলের জয় পেয়েছে রোমা। এই জয়ে ফাইনালে এক পা দিয়ে রেখেছে হোসে মরিনহোর শিষ্যরা। অন্য সেমিফাইনালে ইউরোপার কিং সেভিয়ার সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছে জুভেন্টাস। দ্বিতীয় লেগে আগামী ১৮ মে লেভারকুসেনের আতিথেয়তা নেবে রোমা। আর একই দিনে সেভিয়ার মাঠে দ্বিতীয় লেগে মুখোমুখি হবে জুভেন্টাস।
ঘরের মাঠ অলিম্পিকোতে ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণ করে খেলতে থাকে রোমা। তবে দাপট কম দেখায়নি জার্মান ক্লাব লেভারকুসেন। বল দখলে এগিয়ে থেকেও শুধু গোল পাওয়া হয়নি তাদের। পুরো ম্যাচে ৬৩ শতাংশ বল নিয়ন্ত্রণে রেখে গোলের উদ্দেশ্যে ১০টি শট নেয় তারা। যার দুটি ছিল গোলমুখে। আর ৩৭ শতাংশ বল দখলে রেখে গোলপোস্টে ১২টি শট নেয় রোমা। যার ৫টিই ছিল লক্ষ্য বরাবর। ম্যাচ শুরুর পর প্রথম আক্রমণে যায় লেভারকুসেন। ষষ্ঠ মিনিটে সতীর্থের পাস দখলে নিয়ে রোমার চার-পাঁচজন ফুটবলারের পাশ কাটিয়ে বক্সে ঢুকে গোলপোস্টে শট নেন ফ্লোরিয়ান ওয়ার্টজ। তবে তার নেয়া নিচু শটটি বার ঘেঁষে বেরিয়ে যায়। ম্যাচের ১৮ মিনিটে লেভারকুসেনের গোলপোস্ট লক্ষ্য করে দুর্দান্ত হেড দেন রোমার রোজার ইভানেজ। তার হেডও গোলপোস্টের বাইরে দিয়ে বেরিয়ে যায়। এরপর ফ্রি কিক থেকে লোরেঞ্জো পিলিগ্রিনির দারুণ ক্রস ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার ঠিকঠাক হেড নিলেও সেটা গøাভসবন্দি করে নেন লেভারকুসেনের গোলরক্ষক লুকাস রাডেস্কি। গোলশূন্য ড্র নিয়ে বিরতিতে যায় দুই দল।
দ্বিতীয়ার্ধে খেলার গতি বাড়িয়ে দেয় রোমা। তারা গোলের দেখা পায় ম্যাচের ৬২ মিনিটে। মাঝমাঠ থেকে আক্রমণে উঠে এডুয়ার্ড বোভে পাস দেন বক্সে থাকা ট্যামি আব্রাহামের উদ্দেশে। তবে এই তারকার নেয়া শট ফিরিয়ে দেন লেভারকুসেনের গোলরক্ষক। তবে বল পুরোপুরি ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হন তিনি। ফিরতি বল পেয়ে দারুণ শটে ঠিকানা খুঁজে নেন ইতালিয়ান তরুণ মিডফিল্ডার বোভে। গোল হজম করে খেলায় ফিরতে মরিয়া হয় লেভারকুসেন। ম্যাচের ৮৭ মিনিটে সমতায় ফেরার দারুণ সুযোগ পেয়েছিল তারা। বক্সের বাইরে থেকে বাড়ানো ক্রস রোমার গোলরক্ষক রুই প্যাট্রিসিও এগিয়ে এসে ক্লিয়ার করার চেষ্টা করেন। সেটা পেয়ে যান বক্সে থাকা জেরেমি ফ্রিমপং। বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে জোরালো শট নেন তিনি। তবে গোলবারে দাঁড়িয়ে থেকে তার শট বুকের সাহায্যে ফিরিয়ে দিয়ে দলকে বিপদমুক্ত করেন ব্রাইয়ান ক্রিস্তান্তে। শেষ পর্যন্ত ব্যবধান ধরে রেখে ১-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে রোমা। দ্বিতীয় লেগে আগামী ১৮ মে লেভারকুসেনের আতিথেয়তা নেবে রোমা। সে ম্যাচে আধিপত্য ধরে রাখতে পারলে ১৯৯১ সালের পর আবারো ইউরোপা লিগের ফাইনালে পা রাখবে ইতালিয়ান ক্লাবটি।
সেমিফাইনালের অপর ম্যাচে যোগ করা সময়ের শেষদিকে ফেদেরিকো গাতির গোলে সেভিয়ার বিপক্ষে সমতায় ফেরে জুভেন্টাস। স্প্যানিশ ক্লাব সেভিয়াকে ধরা হয় ইউরোপা লিগের কিং। ৬টি শিরোপা জিতেছে ক্লাবটি। এবারো সে পথে এগিয়ে যাচ্ছিল প্রায়। মুষলধারে বৃষ্টি আর আলিয়াঞ্জ এরেনায় ইতালিয়ান দর্শকদের প্রচণ্ড চাপ সামলে সেভারিয়ার শুরুটা হয়েছিল দুর্দান্ত। ম্যাচের একেবারে শুরুতেই মরক্কান স্ট্রাইকার ইউসেফ আন নেসরির দুর্দান্ত একটি হেড ফিরিয়ে দলকে রক্ষা করেন জুভেন্টাস গোলরক্ষক। কিন্তু ম্যাচের ২৬ মিনিটে নেসরিই সেভিয়াকে এগিয়ে দেন। প্রথমার্ধের ঠিক আগ মুহূর্তে লিড বাড়িয়ে নেয়ার সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিলেন আন নেসরি এবং ওকাম্পোস। দুজনই সুন্দর সুযোগটা নষ্ট করে ফেলেন। ১-০ গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় সেভিয়া।
দ্বিতীয়ার্ধে সেভিয়ার জাল লক্ষ্য করে প্রথম শট নিতে সক্ষম হয় জুভেন্টাস। ম্যাচের ৬৫তম মিনিটে পরিবর্তিত খেলোয়াড় স্যামুয়েল ইলিং জুনিয়র দূরপাল্লার শটে চেষ্টা করেন সেভিয়ার জাল ভেদ করতে। কিন্তু গোলরক্ষক ইয়াসিন বোনো বলটি ফিরিয়ে সেভিয়াকে রক্ষা করেন। ম্যাচের ৭০তম মিনিটে বদলি হিসেবে পল পগবাকে নামান জুভেন্টাস কোচ। এরপর থেকে ড্রিবল এবং অ্যাটাকিং থার্ডে কয়েকটি সফল পাস দিয়ে জুভেন্টাসের আক্রমণে গতি বাড়ান তিনি। ২০২২-২৩ মৌসুমে এটি ছিল তার ৯ম ম্যাচ। নির্ধারিত ৯০ মিনিটের পর যোগ করা সময়ে ৯০+৭ মিনিটে কর্নার পায় জুভেন্টাস। ফেডেরিকো চিয়েসার নেয়া কর্নার জটলার মধ্যে পেয়ে গোলমুখে হেড নেন পগবা। ভেসে আসা বলে আবারো হেড নেন ফেডেরিকো গাতি। বল জড়িয়ে যায় সেভিয়ার জালে। এরপরই শেষের বাঁশি বাজান রেফারি। ফলে ১-১ গোলের ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়ে দুই দল। আগামী ১৮ মে সেভিয়ার মাঠে অনুষ্ঠিত হবে ফিরতি লেগের খেলা। ম্যাচ শেষে সেভিয়ার কোচ হোসে লুইস মেন্ডিলিবার বলেন, ‘ভালো খেলার পরও যেভাবে ম্যাচটি আমরা বিকিয়ে দিয়ে এসেছি তা খুবই লজ্জার। প্রতিটি মুহূর্তেই আমরা থামিয়ে রেখেছিলাম জুভদের। এই সময় আমারদের খেলাও চমৎকার ছিল। এখন বিষয়টি নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে। শুধু যে শেষ মুহূর্তের ঘটনার জন্য, তা নয়।’
ম্যাচ শেষে জুভেন্টাস কোচ মাসিমিলিয়ানো আলেগ্রি বলেন, ‘পগবা সুস্থ থাকলে আমি তাকে আরো আগেই নামাতাম।’
সে যখন প্রতিপক্ষের অংশে খেলে, তখন অসাধারণ খেলোয়াড় হিসেবে আবির্ভূত হয়। সে যদি সম্পূর্ণ ম্যাচ খেলার ন্যূনতম পর্যায়ে থাকত, তাহলে শুরুর একাদশেই রাখতাম। সে বড় অবদান রেখেছে।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়