ভুয়া প্রশ্ন বিক্রির নামে প্রতারণা গ্রেপ্তার ১

আগের সংবাদ

লক্ষ্যমাত্রা পূরণ নিয়ে সংশয় : কৃষকদের আগ্রহ স্থানীয় বাজারে > ২৬ হাজার টাকা পেয়ে ৩ হাজার টাকা ঘুষ

পরের সংবাদ

গ্রাহকদের ৫ কোটি টাকা নিয়ে সমিতি উধাও

প্রকাশিত: মে ৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মে ৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সাটুরিয়া (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি : মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় মানব মঙ্গল মাল্টিপারপাস কোঅপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড নামে একটি সমবায় সমিতির বিরুদ্ধে গ্রাহকদের কাছ থেকে ৫ কোটি টাকা নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার দরগ্রাম ইউনিয়নের শিমুলিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। ওই সমিতিরি অফিসে তালা ঝুলতে দেখে গতকাল শনিবার সকালে বিক্ষোভ করেছে গ্রাহকরা।
জানা যায়, ২০১১ সালে সাটুরিয়া উপজেলা সমবায় অফিস থেকে নিবন্ধন নিয়ে মানব মঙ্গল মাল্টিপারপাস কো অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড নামে একটি সমিতি গঠন করেন শিমুলিয়া গ্রামের আলাউদ্দিন ও লুফর রহমান পাখি। শিমুলিয়া এলাকায় ওই সমিতি গঠন করা হয়। মাঠকর্মীদের নিয়ে ঋণদান কর্মসূচিও পরিচালিত হয়ে আসছিল। সমিতিতে বর্তমানে ৫ শতাধিক গ্রাহক রয়েছে। কয়েক দিন আগে অফিসে তালা দিয়ে এনজিওর মালিক ও তার ম্যানেজার সিরাজুল ইসলাম, মাঠকর্মী মো. আব্দুল হাই ও পান্নু মিয়া উধাও হয়ে যান।
ভুক্তভোগী কালিকাবাড়ী গ্রামের মো. নবু ব্যাপারী বলেন, ‘অধিক মুনাফার আশায় ১৪ লাখ টাকা আমানত হিসেবে জমা রেখেছিলাম। শনিবার সকালে এসে অফিসে তালা ঝুলতে দেখি। এখন আমার কি হবে? আমাকে টাকা ফেরত দেবে কে?’
শিমুলিয়া গ্রামের মো. নুরুল ইসলাম বলেন, ‘অনেক কষ্ট করে ৯ লাখ ১০ হাজার টাকা ওই সমিতিতে জমা রেখেছি। অনেক দিন যাবত টাকা ফেরত চাচ্ছি।
আজ দেব কাল দেব কোনো টাকাই ফেরত পাচ্ছি না। অফিস তালা দিয়ে ৫ শতাধিক গ্রাহকের কাছ থেকে ৫ কোটি টাকা নিয়ে উধাও হয়ে গেছে। আমরা আমাদের টাকা ফেরত চাই।’
এছাড়া রৌহা গ্রামের মো. কইফত আলী ৮ লাখ টাকা, মো. আরিফ খান ৫ লাখ টাকা, দরগ্রামের হাবু মিয়া ৪ লাখ ৬১ হাজার টাকা, লিয়াকত আলী ৫ লাখ টাকা, কালিকাবাড়ী গ্রামের ছালাম মিয়া ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা, চায়না বেগম ৮ লাখ টাকা, দরগ্রামের মোনছের আলী ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা, চরতিল্লী গ্রামের রাশেদা বেগম ৩ লাখ টাকা ওই সমিতিতে জমা রেখেছিলেন।
এদিকে সরেজমিনে পারতিল্লী গ্রামের ঝরনা আক্তার ৩ লাখ টাকা, ফারুখ হোসেন ২ লাখ টাকা সমিতিতে জমা করার পাশবই দেখান।
মানব মঙ্গল মাল্টিপারপাস কোঅপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড ব্রাঞ্চ ম্যানেজার মো. সিরাজুল ইসলামের মোবাইলে ফোন করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে সাটুরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শারমিন আরা জানান, অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়