শাহজালালে ১২ স্বর্ণের বারসহ আটক দুই চোরাকারবারি

আগের সংবাদ

ডেঙ্গু বাড়ছে : মশার প্রজননস্থল নির্মূলে পদক্ষেপ জরুরি

পরের সংবাদ

‘দ্য কেরালা স্টোরি’ : কী আছে এ সিনেমায়!

প্রকাশিত: মে ৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মে ৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কেরালার হিন্দু ও খ্রিস্টান মেয়েদের ইসলামে ধর্মান্তরণ এবং আইসিসে যোগদান করানোর কাহিনী নিজের ছবিতে তুলে ধরেছেন বাঙালি পরিচালক সুদীপ্ত সেন। ছবির নাম ‘দ্য কেরালা স্টোরি’। এ মুহূর্তে এই ছবিকে ঘিরে বিতর্ক দেশজুড়ে, যার আঁচ এসে পড়েছে রাজনীতির জগতে। কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন এক বিবৃতিতে স্পষ্ট জানিয়েছেন, ইচ্ছাকৃতভাবে সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়িয়ে দিতে এই ধরনের ছবি তৈরি হয়েছে। রীতিমতো সঙ্ঘ পরিবারের দিকে আঙুল তুলে বিজয়ন বলেছেন, এটি একটি প্রচারসর্বস্ব (প্রোপাগান্ডা) ছবি। যদিও এই ছবি নিষিদ্ধ করার দাবি তোলে বামশাসিত কেরালা সরকার। অবশেষে মুক্তির ছাড়পত্র পেল ছবিটি। সেন্ট্রাল বোর্ড অব ফিল্ম সার্টিফিকেশনের পক্ষে এই ছবিকে প্রাপ্তবয়স্কদের ছবির প্রশংসাপত্র দেওয়া হয়েছে। হঠাৎ এই ছবি ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে দর্শকের জন্য। ছবিটির মোট ১০টি দৃশ্য কর্তন করেছে সেন্সর বোড।
এই ছবিতে বাদ দেয়া হয়েছে কেরালার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভিএস অচ্যুতানন্দের সাক্ষাৎকার। এছাড়া বেশ কিছু দৃশ্যে হিন্দু দেবদেবীদের নিয়ে সংলাপ থাকায় সেগুলোতে কাঁচি চালানো হয়। ছবিতে একটি সংলাপ রয়েছে, যেখানে বলা হয় ভারতীয় কমিউনিস্টরা ভীষণ দুমুখো। এই সংলাপ থেকে ‘ভারতীয়’ শব্দটা বাদ দেয়া হয়েছে।
একটি অংশে কেরালার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন আগামী দু’দশকে এই রাজ্য মুসলিম অধ্যুষিত রাজ্যে পরিণত হবে, সেই পুরো অংশটি প্রায় বাদ দিতে বলেছেন কেন্দ্রীয় এই সংস্থা। এই ছবির ট্রেলার মুক্তি পাওয়ার পর থেকে বিতর্কের সূত্রপাত। আগামী ৫ মে হিন্দির পাশাপাশি তামিল, তেলেগু, মালয়ালম ভাষায় মুক্তি পাবে এই ছবি। মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করছেন আদা শর্মা, যোগিতা বিহানি, সোনিয়া বালানি ও সিদ্ধি ইদনানি।
প্রায় ১০টির বেশি পরিবর্তন করে মুক্তির ছাড়পত্র পেয়েছে এই ছবি। যে ছবি ঘিরে উত্তাল দেশ, এবার সেই ছবির প্রসঙ্গে মুখ খুললেন পরিচালক সুদীপ্ত সেন। তার কথায়, ‘আমার ছবি মানুষের কষ্টের কথা বলবে, দীর্ঘ সময় ধরে রিসার্চ করে বানানো ছবিটা। আমি কষ্টার্জিত অর্থ দিয়ে এই ছবি বানিয়েছি। আমি কেন প্রচারমূলক ছবি করব? এই ছবি তিন মেয়ের গল্প বলবে। যার মধ্যে একজন এখনো আফগানিস্তানের জেলে বন্দি। অন্যজন আত্মহত্যা করেছে, বিচারের অপেক্ষায় তার মা-বাবা। অন্য আরেক মেয়ে এখন গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে, যাকে ক্রমাগত ধর্ষণ করা হয়েছে। ব্যস, আমার ছবির গল্প এতটুকুই।’ এখানেই না থেমে সুদীপ্ত বলেন, ‘আমার এই ছবি সন্ত্রাসবাদের বিরোধী। আমি বুঝতে পারছি না সন্ত্রাসের বিরোধী হওয়া কি অপরাধ? আমি কখনোই বলিনি কেরালাতে যেসব মেয়েকে ধর্মান্তর করা হচ্ছে তারা আইসিসে যোগ দিচ্ছে। আমার প্রশ্ন, মেয়েগুলো একেবারে উবে যাচ্ছে কীভাবে?’

:: মেলা ডেস্ক

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়