নারী ইউএনওকে কাদের সিদ্দিকীর বাধায় আসকের নিন্দা

আগের সংবাদ

৫ সিটি করপোরেশন নির্বাচন : আ.লীগের গলায় ‘কোন্দল’ কাঁটা

পরের সংবাদ

তাড়াশে চুরির অপবাদে গাছে ঝুলিয়ে মারপিট

প্রকাশিত: মে ৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মে ৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি : তাড়াশে কাক্সিক্ষত চাঁদার টাকা না পেয়ে চুরির অপবাদ দিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় ডেকোরেটরের কর্মচারী জুয়েলকে (২০) মারপিট করেছে ইউপি সদস্য সুজন সরদার। ঘটনাটি ঘটেছে গত রবিবার রাতে উপজেলার সগুনা ইউনিয়নের ঈশ্বরপুর গ্রামের রায়হানের চা-স্টলের সামনে। মধ্যযুগীয় কায়দায় মারপিটের ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভিডিওটি ভাইরাল হলে প্রশাসনের টনক নড়ে। তাৎক্ষণিক ইউপি সদস্য সুজদ সরদারকে গ্রেপ্তার করলেও পুলিশের বক্তব্য নিয়ে ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়।
মামলা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ঈশ্বরপুর গ্রামের হাসিনুর খাঁর ছেলে জুয়েল খাঁ পার্শ্ববর্তী গুরুদাসপুর উপজেলার মশিন্দা মাছ পাড়া গ্রামের শিপন আলীর ডেকোরেটরে কর্মচারী হিসেবে কাজ করত। যাতায়াতের জন্য শিপন জুয়েলকে পুরাতন একটি বাইসাইকেল দেয়। ঈদের আগে ঠিকমত বেতন না দেয়ায় জুয়েল কদিন ধরে দোকানে যায় না। সাইকেলটি ফেরত নেয়ার জন্য সগুনা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সুজন সরদারকে বলেন। এ নিয়ে অনেক নাটকীয় ঘটনা ঘটে। অবশেষে সুজন সরদার, মাজেদুল ও শিপনসহ ১০-১৫ গত রবিবার রাতে ধামাইচ বাজার থেকে জুয়েলকে ধরে নিয়ে ঈশ্বরপুর গ্রামের রায়হানের চা-স্টলের সামনে গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে মারপিট শুরু করে। জুয়েলের বাবা হাসিনুর খাঁ জানান, খবর পেয়ে ছেলেকে ছাড়িয়ে নেয়ার জন্য যায়। তখন সুজন সরদার আমাকে বলেন আগেই তো তোমাকে বলছি এ ঘটনা মীমাংসা করতে হলে আমাকে ৫০ হাজার টাকা দিতে হবে। কাক্সিক্ষত চাঁদার টাকা না পেয়ে ইউপি সদস্য সুজন সরদার ক্ষিপ্ত হয়ে জুয়েলের দুই পা রশি দিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে মাথা মাটির দিকে রেখে বেধড়ক পেটাতে থাকে। জুয়েল জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।

পরে চুরির অপবাদ দিয়ে তাড়াশ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। জুয়েলকে মারপিটের ঘটনাটি জনৈক এক ব্যক্তি তার ফোনে ভিডিও ধারন করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছেড়ে দেয়। ঘটনাটি সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাল হয়ে যায়। ইউপি সদস্যকে নিয়ে চারিদিকে নিন্দার ঝড় ওঠে। টনক নড়ে পুলিশ প্রশাসনের। তাৎক্ষণিক ওই ইউপি সদস্য সুজন সরদারকে গ্রেপ্তার করে। কিন্ত তার গ্রেপ্তার বা আটক নিয়ে পুলিশের বক্তব্য নিয়ে ধ্রæবজালের সৃষ্টি হয়।
এদিকে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার নামে মীমাংসার করার জন্য সব দিক থেকে হাসিনুর খাঁকে চাপ সৃষ্টি করে। এক পর্যায়ে রাতে জুয়েলের বাবা হাসিনুর খাঁ তাড়াশ থানায় মামলা দায়ের করেন।
তাড়াশ থানার ওসি মো. শহিদুল ইসলাম জানান, ইউপি সদস্য সুজন সরদারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ইউপি সদস্যকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা ইউপি সদস্য সুজনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
ওকে….মাহমুদ

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়