নারী ইউএনওকে কাদের সিদ্দিকীর বাধায় আসকের নিন্দা

আগের সংবাদ

৫ সিটি করপোরেশন নির্বাচন : আ.লীগের গলায় ‘কোন্দল’ কাঁটা

পরের সংবাদ

এ মাসেই আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড়

প্রকাশিত: মে ৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মে ৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

আয়েন উদ্দীন : বাংলাদেশ, মিয়ানমার বা ভারতের উপকূলে ফের আছড়ে পড়তে পারে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়। মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে এই ঘূর্ণিঝড়টি আছড়ে পড়তে পারে রাখাইন, চট্টগ্রাম, বরিশাল বা পশ্চিমবঙ্গের উড়িষ্যা উপকূলে। যার বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৭০ কি.মি.। এমনটাই পূর্বাভাস আবহাওয়াবিদদের। এখনো পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই ঘূর্ণিঝড়টির নাম হতে চলেছে মোচা। মোচা নামটি ইয়েমেনের দেয়া। সাগরে সৃষ্টি নি¤œচাপ ১১ মে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। বাংলাদেশে ১৪ মে রাতে এটি আঘাত হানার শঙ্কা রয়েছে। জলোচ্ছ¡াসের প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। তাই এই সময়ে সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমণে বিরত থাকতে, উপকূলবর্তী এলাকার মানুষের ঝড়ের প্রাথমিক প্রস্তুতি নিতে পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, মে মাসে বিষুব রেখার কাছে সুমাত্রা সাগর অথবা আন্দামান সাগরে ঘূর্ণিঝড় ‘মোচা’ তৈরি হতে পারে। মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরির জন্য অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হবে। এই ঘূর্ণিঝড়টি সেই সময় শক্তি সঞ্চয় করবে এবং পরে তা উত্তর, উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, এ মাসে বঙ্গোপসাগরে এক থেকে দুটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এর মধ্যে একটি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। ৮ থেকে ৯ মে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এ থেকে একটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। ১২ বা ১৩ মে লঘুচাপটির ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়ার আশঙ্কা আছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের এপ্রিল মাসের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে একটি ঘূর্ণিঝড়ের কথা বলা হয়েছিল। তবে তা হয়নি। এর কারণ প্রসঙ্গে পরিচালক আজিজুর রহমান বলেন, এপ্রিল মাসে সাধারণত ঘূর্ণিঝড় হয়ে থাকে। তবে এবারের এপ্রিল অনেক বেশি উত্তপ্ত ছিল। সাগরে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হওয়ার মতো অবস্থার সৃষ্টি হয়নি। এই মাসে লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
৮ থেকে ৯ মে এর মধ্যে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে আন্দামান ও নিকোবার দ্বীপপুঞ্জের দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে লঘুচাপ সৃষ্টি হয়ে ১০ মে এর মধ্যে গভীর নি¤œচাপে পরিণত হওয়া ও ১১ মে পূর্ণাঙ্গ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনার কথা বলছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল। ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হবে, এই বিষয়ে ৯৯ শতাংশ নিশ্চিত কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু বিষয়ক পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ। তিনি বলেন, ইউরোপিয়ান আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল প্রায় ৫০ থেকে ৬০% সম্ভাবনার কথা নির্দেশ করছে ১০ মে আন্দামান ও নিকোবার দ্বীপপুঞ্জের দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে ঘূর্ণিঝড় ‘মোচা’ সৃষ্টির। এটি ১৪ মে মধ্যরাতের পর থেকে বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের উপকূলীয় এলাকা দিয়ে সরাসরি স্থলভাগে আঘাত করার প্রবল সম্ভাবনা আছে। ঘূর্ণিঝড় মোচা মিয়ানমার ও বাংলাদেশের উপকূলে আছড়ে পড়লে তা খুবই শক্তিশালী ঝড় হিসাবে আঘাত করবে।
এদিকে গত শনিবার রাতে মার্কিন গেøাবাল ফোরকাস্ট সিস্টেম বঙ্গোপসাগরের শক্তিশালী ঝড় সৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে। তারা বলছে যে, আগামী ৯ থেকে ১১ মের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। সম্ভাব্য ঘুর্ণিঝড়টি ১১ মে মধ্যরাতের পর থেকে ১৩ মের মধ্যে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য ও বাংলাদেশের চট্টগ্রাম উপকূলে আঘাত হানতে পারে। সর্বশেষ পূর্বাভাস অনুসারে ঘূর্ণিঝড় মোচা স্থল ভাগে আঘাতের সময় বাতাসের সর্বোচ্চ গতি থাকতে পারে ১৪০ থেকে ১৭০ কিলোমিটার। তবে এটি ভারতের ওড়িষ্যা রাজ্যের উপকূলে আঘাত হানার শঙ্কাও রয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়