আগামী মাসে ভারত যাবেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আগের সংবাদ

তিতাসের গ্যাস সরবরাহ পাইপলাইনের দুরবস্থার কারণেই লিকেজ : বড় ধরনের বিপর্যয়ের আশঙ্কা

পরের সংবাদ

ফিরতি যাত্রায়ও স্বস্তি : ঈদ শেষে রাজধানীমুখী হাজারো মানুষ

প্রকাশিত: এপ্রিল ২৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ২৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ঈদ শেষে কর্মজীবী মানুষর আবার ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছেন। গতকাল সোমবার ফিরতি ঈদযাত্রার প্রথমদিনে সড়ক, নৌ ও রেলপথে বেশ স্বস্তি নিয়েই যাত্রীরা ঢাকায় ফিরেছেন। কোথাও কোনো ধরনের বিড়ম্বনায় পড়তে হয়নি। ভোগান্তি ছাড়াই ঢাকায় ফিরে খুশি কর্মজীবীরা। আবার ঈদ শেষ হলেও অনেকেই এখন গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছে। তারাও কোনো ধরনের ভোগান্তি ছাড়াই ঘরে ফিরতে পেরে খুশি। যাওয়া-আসার এই চিত্র গাবতলী, মহাখালী ও সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালগুলোতে দেখা গেছে। আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত প্রতিদিনই সড়ক-মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়বে।
গণপরিবহনের পাশাপাশি প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেলযোগেও মানুষ ঢাকায় ফিরছে। সব সড়ক মহাসড়কে গাড়ির চাপ বাড়তে শুরু করেছে। দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ফেরিঘাট হয়ে অসংখ্য মোটরসাইকেল সোমবার ভোর থেকে ঢাকায় এসেছে। নৌপথে যাত্রীবাহী লঞ্চগুলো বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা, চাঁদপুরসহ দেশের দক্ষিণলাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে এসে ভিড়েছে।
ভোর থেকে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে যাত্রীবাহী বাসগুলো রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনালে এসে থামছে। প্রতিটি বাসই যাত্রীপূর্ণ ছিল। বিশেষ করে উত্তরবঙ্গের যাত্রীরা স্বস্তিতে ঢাকায় ফিরতে পেরে উচ্ছাস প্রকাশ করেছেন। বাস থেকে ব্যাগ নামিয়েই সিএনজি বা রিকশা নিয়ে বাসায় ফিরে যাচ্ছেন।
মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা শোভন জানান, ঈদের আগে বেশ স্বস্তিতেই তিনি প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ উদযাপনের জন্য গ্রামের বাড়ি রংপুরে গিয়েছিলেন। পথে কোথাও কোনো ধরনের ভোগান্তি হয়নি। ঈদ শেষে আবার স্বস্তি নিয়েই ঢাকায় ফিরতে পেরেছেন। এবার ঈদের আগে সড়ক ব্যবস্থাপনায় ভালো পদক্ষেপ নেয়ার জন্যই এবারের ঈদযাত্রা স্বস্তির হয়েছে।
এবি ব্যাংকের সিনিয়র কর্মকর্তা মুজাহিদুল ইসলাম জানান, ঈদের আগেই তিনি ছুটি নিয়েছিলেন। ঈদের পর আর ছুটি পাচ্ছেন না। সোমবার থেকেই অফিস খুলবে। তাই গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ঢাকায় ফিরে এসেছেন। পথে কোথাও কোনো ভোগান্তি হয়নি। ঈদের আগেও স্বস্তিতে বাড়ি ফিরতে পেরে এবং ঈদ শেষে আবার ঢাকায় ফিরতে পেরে তার মঝেও উচ্ছাস দেখা গেছে।
হানিফ পরিবহনের গাবতলী কাউন্টারের ম্যানেজার মোশারফ হোসেন জানান, ছুটি শেষ হওয়ায় লোকজন ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছে। তাদের বাসগুলো নির্বিঘেœই যাত্রী নিয়ে ঢাকায় ফিরেছে। প্রতিটি বাসের সব আসনেই যাত্রী ছিল। আজ থেকে আগামী শনিবার পর্যন্ত ঢাকামুখী যাত্রীর চাপ বাড়তে থাকবে। আবার অনেকেই এখন বাড়িতে যাচ্ছেন। এ ধরনের যাত্রীর সংখ্যাও একেবারে কম নয়।

মহাখালী বাস টার্মিনালেও শেরপুর, ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলা থেকে যাত্রীবাহী বাসগুলো যাত্রী নিয়ে ঢাকায় ফিরেছে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কেও কোনো ধরনের ভোগান্তি ছিল না বলে জানান ময়মনসিংহের বাসিন্দা রায়হান আহমেদ। বিআরটি প্রকল্পের কাজ চলমান থাকলেও এবার ভোগান্তির পরিবর্তে স্বস্তি দিয়েছে।
পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকামুখী যানবাহনের চাপ বেড়েছে। দেশে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জেলার মানুষ আবার ঢাকায় ফিরছে। পদ্মা সেতু হয়ে গণপরিবহনের পাশাপাশি প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেলযোগে বহু মানুষ ঢাকায় ফিরছে।
সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তা মোরসেদুল ইসলাম জানান, ঈদ উপলক্ষে প্রতিবারই বাড়িতে যাই, এবার ভোগান্তি ছাড়া গিয়েছি। সবার সঙ্গে আনন্দে ঈদ কাটিয়েছি। অফিস খুলে যাওয়ায় আগেভাগেই আবার ঢাকায় ফিরেছি।
নৌপথে যাত্রীবাহী লঞ্চগুলো বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা, চাঁদপুরসহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে এসে ভিড়েছে। এডভেঞ্চার-৯, সুন্দরবন-১০, কুয়াকাটা-২, মানামিসহ সব লঞ্চ ভোররাত থেকেই একে একে সদরঘাট টার্মিনালে এসে পৌঁছতে শুরু করে। প্রতিটি লঞ্চেই যাত্রীর চাপ ছিল। বরিশাল থেকে কায়াকাটা-২ লঞ্চে ঢাকায় ফেরা তাহমিনা বেগম বলেন, কোনো ধরনের ভোগান্তি ছাড়াই ঢাকায় এসে পৌঁছেছি। লঞ্চে ভালো পরিমাণ যাত্রী ছিল।
ঝালকাঠি থেকে ছেড়ে আসা ফারহান লঞ্চের যাত্রী মিজানুর রহমান জানান, কর্মব্যস্ততার কারণে তাড়াতাড়ি ঢাকায় ফিরেছি। ঈদের পরপরই এলে ঝামেলা থাকে না, লঞ্চে ভিড় কম থাকে। তাছাড়া এদিনের জন্যই কেবিন বুকিং করা ছিল।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়