আগামী মাসে ভারত যাবেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আগের সংবাদ

তিতাসের গ্যাস সরবরাহ পাইপলাইনের দুরবস্থার কারণেই লিকেজ : বড় ধরনের বিপর্যয়ের আশঙ্কা

পরের সংবাদ

ছুটিতে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়

প্রকাশিত: এপ্রিল ২৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ২৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

আনোয়ার হোসেন আনু, কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) থেকে : দীর্ঘ এক মাস পর প্রাণ ফিরে পেয়েছে সাগরকন্যা কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের দর্শনীয় স্পটগুলো। ঈদের ছুটিকে ঘিরে সূর্যোদয়-সূর্যাস্তের বেলাভূমি সাগরকণ্যা কুয়াকাটা সৈকতে পর্যটকদের ঢল নেমেছে। সমুদ্রের ঢেউয়ের তালে নেচে গেয়ে উল্লাসে মেতে ওঠেন নানা বয়সের হাজারো পর্যটক। রোদ ও মেঘের প্রকৃতিতে সমুদ্রের পানিতে গা ভাসিয়ে ভ্যাপসা গরমে একটু প্রশান্তির পরশ নিচ্ছেন পর্যটকরা।
ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে বিভিন্ন বয়সের অসংখ্য পর্যটক ও দর্শনার্থী এসেছেন পরিবার পরিজন নিয়ে। কেউ এসেছেন প্রিয়জনকে নিয়ে। আবার অনেকে এসেছেন বন্ধু-বান্ধব নিয়ে কুয়াকাটায় ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে। আগত এসব পর্যটকরা সমুদ্রে গোসল, হৈ হুল্লোড়, খেলাধুলা আর সৈকতের বালিয়াড়িতে গা ভাসিয়ে উম্মাদনায় মেতে ওঠেন। সমুদ্রের বালু দিয়ে পিরামিড তৈরিসহ নিজেদের বন্দি করছেন ক্যামেরার ফ্রেমে।
ঈদের প্রথম দিন পর্যটকদের আগমন কম থাকলেও ঈদের দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিন অসংখ্য পর্যটকের আগমন ঘটে সমুদ্র সৈকতে। সমুদ্র দর্শনের পাশাপাশি রাখাইন পল্লী, রাখাইন মার্কেট, শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহার, মিশ্রিপাড়া সীমা বৌদ্ধ মন্দির, ঝাউ বাগান, গঙ্গামতির লেক, লাল কাকড়ার চর, লেম্বুর বন, আন্ধার মানিক নদী মোহনা, ফাতরার বনসহ দর্শনীয় স্পটগুলো ঘুরে বেড়াচ্ছেন ভ্রমণে আসা পর্যটকরা। অনেকে সমুদ্রে ওয়াটার বাইক রাইডিং করেছেন, স্পিডবোটে উত্তাল সমুদ্রে ঘুরে বেড়িয়েছেন। আবাসিক হোটেল-মোটেল রিসোর্টগুলো আশাতীত বুকিং হয়েছে। ঝিনুক মার্কেট খাবার হোটেলসহ পর্যটন নির্ভর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বেচাকেনার ধুম পড়ে গেছে। হাসি ফুটে উঠেছে ব্যবসায়ীদের মুখে।
ঝালকাঠি থেকে আগত পর্যটক ইয়ামিন আহমেদ জানান, দক্ষিণাঞ্চলের খুব কাছের পর্যটন স্পষ্ট কুয়াকাটা। কক্সবাজারের চেয়ে আমাদের কুয়াকাটা ভ্রমণ খুব সহজ হয়। এখানে থাকা খাওয়ার খরচ কম। এখানকার প্রকৃতি ও পরিবেশ খুবই ভালো। তাই পরিবার পরিজন নিয়ে বার বার কুয়াকাটায় ছুটে আসি আমরা।
ঢাকা থেকে আগত পর্যটক তাসিক আহমেদ জানান, ঈদের ছুটিতে পরিবার নিয়ে তিনি কুয়াকাটা এসেছেন। এখানকার সবুজ অরণ্য এবং সমুদ্র সবসময় আকর্ষণ করে। বরিশাল থেকে আসা পর্যটক তরুণী সাবরিনা বলেন, সমুদ্র কার না ভালো লাগে। কেউ সুখের সন্ধানে আসলে তার সমুদ্রের পাড়েই আসা উচিত।
হোটেল সৈকতের মালিক জিয়াউর রহমান জানান, ঈদের দিন থেকে তার হোটেল আগাম বুকিং রয়েছে।
হোটেল মোটেল ওনার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফ জানান, আবাসিক হোটেল মোটেল রিসোর্টগুলোতে আশাতীত বুকিং রয়েছে। তবে অবকাঠামোগত উন্নয়ন হওয়ায় এখন কোন পর্যটককে রুম সংকটে ভুক্তে হয় না।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা রিজিওনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, রমজানের পর পর্যটকদের ভিড়কে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছে ট্যুরিস্ট পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। দর্শনীয় স্পটগুলোতে ভ্রাম্যমাণ টিম কাজ করছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়