প্রকাশিত: এপ্রিল ২৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ২৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
চট্টগ্রাম অফিস : ঈদের ছুটিতে চট্টগ্রাম নগরীর বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে দর্শনার্থীদের ভিড় উপচে পড়েছিল। শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে সব বয়সি মানুষ ঈদের ছুটিতে পরিবার-পরিজন ও বন্ধুবান্ধব নিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছেন। নগরীর পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত, ফয়েস লেক অ্যামিউজমেন্ট পার্ক, চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা, কাজির দেউড়ি শিশুপার্ক ও স্বাধীনতা কমপ্লেক্সে ছিল শিশু ও অভিভাবকদের ভিড়। নগরীর ব্যস্ততম সড়কের চিরচেনা অসহনীয় যানজট ছিল না। স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে অধিকাংশ মানুষ গ্রামের বাড়িতে ছুটে যাওয়ায় নগরী এখনো অনেকটা ফাঁকা। বিভিন্ন রুটে গণপরিবহন চলাচল করলেও সেগুলোতে যাত্রীর ভিড় তেমন নেই। বেড়াতে আসা নাগিরিকদের অনেকেই বলছেন সাপ্তাহিক ছুটি থাকলেও বাচ্চাদের নিয়ে তেমন বের হতে পারেন না। তাই ঈদের ছুটিতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছেন।
ঈদের দ্বিতীয় দিনে চট্টগ্রামের অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র ফয়েস লেক অ্যামিউজমেন্ট পার্কে মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। অ্যামিউজমেন্ট পার্ক পরিচালনাকারী কনকর্ডের উপব্যবস্থাপক (বিপণন) বিশ্বজিৎ ঘোষ জানিয়েছেন, ঈদের দ্বিতীয় দিনও সরকারি ছুটি থাকায় অন্যদিনগুলোর তুলনায় আগত মানুষের সংখ্যা অনেক বেশি। রবিবার সকাল থেকেই ভিড় বাড়তে থাকে। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই ভিড় বহুগুণ বেড়ে যায়। তিনি বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় অনেক মানুষ আসে। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত কয়েক হাজার মানুষ এখানে আসে। পরিবার নিয়ে সি-ওয়ার্ল্ডে ঘুরতে আসা বেসরকারি কর্মকর্তা আহমেদ আনিস বললেন, ‘পাঁচ দিনের ছুটি কাজে লাগাতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সি ওয়ার্ল্ডে ঘুরতে আসলাম। বাচ্চারা এখানে এলে ইচ্ছেমতো মজা করে, পানিতে দাপাদাপি করে। তাদের সঙ্গে আমরাও করি। কোনো বাধা-শাসন নেই। তাই তারা খুব আনন্দ পায়।’ সাদা বাঘের জন্য পরিচিতি লাভ করা চট্টগ্রামের চিড়িয়াখানায় বাঘ থেকে শুরু করে সিংহ, বানর, হনুমান, ক্যাঙ্গারু ও বিভিন্ন প্রজাতির হরিণসহ পশুপাখি দেখতে শিশু-কিশোরদের সঙ্গে এসেছেন বয়স্করাও। পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত এলাকাও লোকে লোকারণ্য ছিল। নগরীর বাসিন্দা ছাড়াও দেশের অন্যান্য এলাকার মানুষরাও জড়ো হন চট্টগ্রামের এই পর্যটন কেন্দ্রটিতে। পতেঙ্গা সৈকতে কেউ সমুদ্রের পানিতে গা ভাসান। কেউবা সমুদ্রের পাড়ে বসে গান গেয়ে আনন্দে মেতে উঠেন। পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকতসহ নেভাল একাডেমিতেও পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড় ছিলো। এজন্য ওই এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয় বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়। পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জাহেদ মো. নাজমুল নুর বলেন, ‘মানুষ যাতে নির্বিঘেœ ঈদে ঘুরতে পারে সেজন্য চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ থেকে সর্ব্বোচ্চ নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে দেড়শ পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। যে কোনোরকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আমরা প্রস্তুত আছি।’ আবার অনেকেই নগরীর লালদীঘি পাড়ে এলাকায় বৈশাখী মেলাতেও ঘুরে বেড়ান এবারের ঈদের ছুটিতে।
শেয়ার করুন
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।