চমেক হাসপাতাল : সরকারি ওষুধ চুরির সময় গ্রেপ্তার ওয়ার্ড বয়

আগের সংবাদ

সারের দামে বিপাকে কৃষক : ৪ ধরনের সারের দাম কেজিতে ৫ টাকা করে বেড়েছে, প্রভাব পড়বে বাজারে

পরের সংবাদ

অ্যাটর্নি জেনারেল : আইনজীবী নিয়োগের সুযোগ নেই তারেক জোবায়দার পক্ষে

প্রকাশিত: এপ্রিল ১১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ১১, ২০২৩ , ১:১২ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবদেক : অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমান আইন অনুযায়ী পলাতক। তাই তাদের পক্ষে আইনজীবী নিয়োগ করে আইনি লড়ায়ের সুযোগ নেই। সুপ্রিম কোর্টের বিভিন্ন রায়ে পরিষ্কার করে দেয়া হয়েছে, পলাতক ব্যক্তির আইনের আশ্রয় লাভের কোনো সুযোগ নেই। কোনো মামলায় আদালতে হাজির না হয়ে কেউ কোনো ধরনের সাবমিশন রাখাতে পারেন না। তারা (তারেক-জোবায়দা) পলাতক হলে সাবমিশন রাখার সুযোগ পাবেন না। গতকাল সোমবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
উচ্চ আদালতের একটি নজিরের কথা উল্লেখ করে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, কোর্টে হাজির না হয়ে আইনি লড়াই করার কোনো নজির নেই আমাদের বিচার ব্যবস্থার ইতিহাসে নেই। করোনাকালে দুই ভাই (রণ হক- শিকদার) দেশের বাইরে থেকে জামিন আবেদন করেছিলেন। হাইকোর্ট তাদের জামিন শোনেননি। উল্টো দেশের বাইরে থেকে জামিন আবেদন করায় আদালত তাদের জরিমানা করেন। এছাড়া একজন আইনজীবী এ রকম একটা (সারেন্ডার না করা) মামলা করেছিলেন, হাইকোর্ট একপর্যায়ে ওই আইনজীবীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেছিলেন।

তাই পলাতক থেকে তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমানেরও আইনি লড়াই করার সুযোগ নেই।
ঘোষিত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় তারেক রহমান, জোবায়দা রহমান ও তার মা ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়। ২০০৮ সালে তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এরপরই মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন জোবায়দা রহমান। ওই বছরই এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে আপিল করলে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। পরে গত বছরের ২৬ জুন এই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নি¤œ আদালতকে দ্রুত বিচার কার্যক্রম শেষ করার নির্দেশ দেন। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে এ রায় পাওয়ার ১০ দিনের মধ্যে মামলার রেকর্ড ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে পাঠাতে বলা হয়। গত বছরের ১ নভেম্বর একই আদালত তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগপত্র আমলে নেয়। তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এরপর গত ৫ জানুয়ারি তাদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেন। গত ১৯ জানুয়ারি তাদের আদালতে হাজিরে গেজেট প্রকাশের নির্দেশ দেয়া হয়। তবু হাজির হননি তারা।
এবার তাদের অনুপস্থিতেই অভিযোগ গঠন শুনানির দিন ধার্য করা হয়। গত ২৯ মার্চ ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালতে চার্জ শুনানির দিন ধার্য ছিল। এদিন তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমানের পক্ষে মাসুদ আহমেদ তালুকদার আইনজীবী নিয়োগের বিষয়ে শুনানি করেন। শুনানিতে তিনি বলেন, পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে আইনজীবী হিসেবে চার্জ গঠন শুনানিতে অংশ নিতে চান। তবে দুদক পক্ষের আইনজীবী মীর আহমেদ আলী সালাম বলেন, আসামি পলাতক থাকলে আইনজীবী নিয়োগের কোনো সুযোগ নেই। ৯ এপ্রিল তারেক ও জোবায়দার পক্ষে আইনজীবী নিয়োগ ও চার্জ গঠনে অধিকতর শুনানি হয়। এ বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী ১৩ এপ্রিল দিন ধার্য করেন আদালত।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়