পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ৬ : চিকিৎসক-সেবিকার অ্যাপ্রোন পরে চুরি করত চক্রটি

আগের সংবাদ

স্বস্তির ঈদযাত্রায় শঙ্কার কাঁটা : উত্তরবঙ্গে ভোগান্তির আশঙ্কা > ৩৭ দশমিক ৩৪ শতাংশ সড়কের অবস্থা খারাপ

পরের সংবাদ

সুনামগঞ্জের শিয়ালমারা হাওড়ে জলাবদ্ধতায় ডুবছে কাঁচা ধান

প্রকাশিত: এপ্রিল ৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মো. সাজ্জাদ হোসেন শাহ্, সুনামগঞ্জ থেকে : গত কয়েক দিনের থেমে থেমে বৃষ্টিতে সৃষ্ট জলাবদ্ধতার কারণে পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার দেখার হাওড়ের শিয়ালমারা অংশের কাঁচা ধান। চোখের সামনে কাঁচা ধান তলিয়ে যাওয়ার দৃশ্য দাঁড়িয়ে দেখা ছাড়া কিছুই করতে পারছেন না এ হাওড়ের কৃষকরা।
জানা যায়, বুড়িস্থল, ডোপিকোনা, ফুলদিঘিরগাঁও, হাছননগর, কালিপুর, ইসলামপুরসহ অন্তত বিশটি গ্রামের কৃষকের জমি রয়েছে এ হাওড়ে। জলাবদ্ধতার জন্য কৃষকরা বৃষ্টির পানি বের না হওয়াকে দায়ী করছেন। উপায়ান্তর না পেয়ে উপজেলা কৃষি অফিস এবং নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে ধরনা দিচ্ছেন কৃষকরা।
সরজমিন দেখার হাওড়ের শিয়ালমারা অংশে গিয়ে দেখা যায়, হাওড়ের অধিকাংশ জমিজুড়ে পানি জমে আছে। উঁচু জমির ধানও তলিয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা। এভাবে বৃষ্টি হলে পুরো হাওড়ের ধান তলিয়ে যাবে বলে শঙ্কায় রয়েছেন কৃষকরা। জমি থেকে পানি বের করার জন্য আইল কেটে দিয়েছেন কৃষকরা। কিন্তু হাওড় থেকে পানি বের হওয়ার সুযোগ না থাকায় পানি বের হচ্ছে না। নিচু জমিতে বিলম্বে চাষাবাদকৃত ক্ষেতের অবস্থা আরো খারাপ বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।
দেখা গেছে, শিয়ালমারা অংশের জলাবদ্ধতার পানি বের হয় ইসলামপুর সøুইচ গেট দিয়ে। পানি অতিরিক্ত হওয়ায় এ গেট দিয়ে পানি নামতে বিলম্ব হচ্ছে। আগে পুরো হাওড়ে পানি বের হতো শান্তিগঞ্জ উপজেলার উথারিয়া পাথারিয়া বাঁধে বসানো দুটো বড় রিং দিয়ে। সেটাও বর্তমানে বন্ধ করা আছে। এ কারণে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থার উত্তরণের জন্য দ্রুত শান্তিগঞ্জের উথারিয়া পাথারিয়া বাঁধ দিয়ে পানি বের হওয়ার সুযোগ করে দেয়ার দাবি কৃষকদের।
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার কালিপুর গ্রামের কৃষক রুম্মান মিয়া বলেন, পৌরসভার যত ড্রেন আছে সব ড্রেনের পানি আসে এ হাওরে। এই ড্রেনের পানিও কিছু ক্ষতি করছে।
মোল্লাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য শাখাওয়াত হাসান রাজীব বলেন, জলাবদ্ধতায় হাওরের অবস্থা খারাপ। শান্তিগঞ্জের উথারিয়া পাথারিয়া বাঁধের পানি যাওয়ার স্থান বন্ধ করে দেয়ায় পানি নামতে না পেরে এ অবস্থা তৈরি হয়েছে। এ বাঁধ দিয়ে পানি নামার ব্যবস্থা করে দেয়ার জন্য ইউএনও অফিসেও গিয়েছি। এখন যা করার তাদেরই করতে হবে।
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রাকিবুল আলম ভোরের কাগজকে জানান, এ হাওড়ের পানি ইসলামপুর সøুইচ গেটের মাধ্যমে নামে। স্লুইচ গেট খোলা আছে, পানিও নামছে। তবে বৃষ্টি বেশি হওয়ায় পানি নামতে দেরি হচ্ছে। দুদিন বৃষ্টি না হলে পানি কমে যাবে। উথারিয়া পাথারিয়া বাঁধ নিয়ে আমরা শান্তিগঞ্জের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। বাঁধটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় এ বাঁধ কোনোভাবেই কাটা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন তারা।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা পারভীন ভোরের কাগজকে বলেন, বিষয়টি অবগত আছি। এটি নিয়ে কাজ চলছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড, কৃষি অফিস সবার সঙ্গে আলোচনা করে সমাধানের চেষ্টা চলছে।
জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী বলেন, দ্রুত বিষয়টি সরজমিন দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়